আবিমা টাইম নিউজ | The Abima Times 24 News https://theabimatimes24news.com Mon, 08 Apr 2024 22:14:37 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.7 স্বাধীনতা পদক ২০২৪: অরণ্যে রোদন https://theabimatimes24news.com/%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a7%e0%a7%80%e0%a6%a8%e0%a6%a4%e0%a6%be-%e0%a6%aa%e0%a6%a6%e0%a6%95-%e0%a7%a8%e0%a7%a6%e0%a7%a8%e0%a7%aa-%e0%a6%85%e0%a6%b0%e0%a6%a3%e0%a7%8d%e0%a6%af/?utm_source=rss&utm_medium=rss&utm_campaign=%25e0%25a6%25b8%25e0%25a7%258d%25e0%25a6%25ac%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25a7%25e0%25a7%2580%25e0%25a6%25a8%25e0%25a6%25a4%25e0%25a6%25be-%25e0%25a6%25aa%25e0%25a6%25a6%25e0%25a6%2595-%25e0%25a7%25a8%25e0%25a7%25a6%25e0%25a7%25a8%25e0%25a7%25aa-%25e0%25a6%2585%25e0%25a6%25b0%25e0%25a6%25a3%25e0%25a7%258d%25e0%25a6%25af Tue, 26 Mar 2024 09:24:57 +0000 https://theabimatimes24news.com/?p=4671 The post স্বাধীনতা পদক ২০২৪: অরণ্যে রোদন appeared first on The Abima Times 24 News.

(স্বাধীনতা পদক ২০২৪ প্রাপ্তিতে লুই  সাংমা’র একটি কবিতা ) আমি নিশ্চিত- স্বাধীনতা পদক তুমি রবি’র নয়তো শশী’র হবে, অথবা মানব জমিনে মেহনতি মানুষের ঘাম জড়ানো কাঁচা লঙ্কা মিশ্রিত এক মুঠো অন্ন তুমি, তুমি দেশ মাতৃকায় লড়াই সংগ্রামের অনন্য প্রতীক । কালের বিবর্তনে অজস্র প্রশ্ন বাণে স্বাধীনতা পদক বিবর্ণ কেন তুমি ? কেন পথভ্রষ্ট, লাঞ্ছিত তুমি আজ ? […]

The post is published by আবিমা টাইম নিউজ at The Abima Times 24 News - .

]]>
The post স্বাধীনতা পদক ২০২৪: অরণ্যে রোদন appeared first on The Abima Times 24 News.

(স্বাধীনতা পদক ২০২৪ প্রাপ্তিতে লুই  সাংমা’র একটি কবিতা )

আমি নিশ্চিত-

স্বাধীনতা পদক তুমি রবি’র

নয়তো শশী’র হবে, অথবা

মানব জমিনে মেহনতি মানুষের ঘাম জড়ানো

কাঁচা লঙ্কা মিশ্রিত এক মুঠো অন্ন তুমি, তুমি

দেশ মাতৃকায় লড়াই সংগ্রামের অনন্য প্রতীক ।

কালের বিবর্তনে অজস্র প্রশ্ন বাণে

স্বাধীনতা পদক বিবর্ণ কেন তুমি ?

কেন পথভ্রষ্ট, লাঞ্ছিত তুমি আজ ?

রক্তভেজা স্বাধীনতা ভুলে

নাম না জানা কত স্বাধীনতা পদক তোলে !

মিছে কেন ওরা স্বাধীনতার গান গায়;

সুরে বেসুরে নাচে আলতা রাঙা পায়।

 

আমি নিশ্চিত-

মুক্তিযোদ্ধা মরেনি, বিরঙ্গনার অশ্রুও থামেনি;

তবুও কেন প্রলোভনে স্বাধীনতা পদক,

ওরা কারা, কিসে প্রলোব্ধ করে,

কেন ওরা লোলুপ দৃষ্টি দেয় ;

ওরা কেন মুখে কুলুপ আঁটে!

 

আমি নিশ্চিত-

স্বাধীনতা পদক তুমি নিষ্কন্টক স্বর

থেকো সদা অম্লান ভাস্বর, মিছামিছি

দৃষ্টি ফেল না তুমি অরণ্যে রোদন;

দীপ্যমান হও তুমি আপন পর।

 

২৬ মার্চ, ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ

প্যারিস।

The post is published by আবিমা টাইম নিউজ at The Abima Times 24 News - .

]]>
4671
স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়ে আমাদের স্বাধীনতাকেই অসম্মান করছিনাতো ! https://theabimatimes24news.com/%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a7%e0%a7%80%e0%a6%a8%e0%a6%a4%e0%a6%be-%e0%a6%aa%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a7%87%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a7%87/?utm_source=rss&utm_medium=rss&utm_campaign=%25e0%25a6%25b8%25e0%25a7%258d%25e0%25a6%25ac%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25a7%25e0%25a7%2580%25e0%25a6%25a8%25e0%25a6%25a4%25e0%25a6%25be-%25e0%25a6%25aa%25e0%25a7%2581%25e0%25a6%25b0%25e0%25a6%25b8%25e0%25a7%258d%25e0%25a6%2595%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25b0-%25e0%25a6%25aa%25e0%25a7%2587%25e0%25a6%25af%25e0%25a6%25bc%25e0%25a7%2587 Tue, 19 Mar 2024 20:37:16 +0000 https://theabimatimes24news.com/?p=4666 The post স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়ে আমাদের স্বাধীনতাকেই অসম্মান করছিনাতো ! appeared first on The Abima Times 24 News.

গত ১৫ মার্চ ঘোষণা করা হয়েছে স্বাধীনতা পদক। মন্ত্রী পরিষদের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বছর ১০ ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কারটি দেওয়া হয়েছে। তবে সবাইকে ছাপিয়ে এ বছর সমাজ সেবা/জন সেবায় যিনি পুরস্কার পেয়েছেন, সেই মনোনীত গারো আদিবাসী অরণ্য চিরানকে নিয়েই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে জোর আলোচনা। খোদ গারো আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মধ্যে চলছে সমালোচনা আলোচনা। সবার একটিই […]

The post is published by আবিমা টাইম নিউজ at The Abima Times 24 News - .

]]>
The post স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়ে আমাদের স্বাধীনতাকেই অসম্মান করছিনাতো ! appeared first on The Abima Times 24 News.

গত ১৫ মার্চ ঘোষণা করা হয়েছে স্বাধীনতা পদক। মন্ত্রী পরিষদের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বছর ১০ ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কারটি দেওয়া হয়েছে। তবে সবাইকে ছাপিয়ে এ বছর সমাজ সেবা/জন সেবায় যিনি পুরস্কার পেয়েছেন, সেই মনোনীত গারো আদিবাসী অরণ্য চিরানকে নিয়েই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে জোর আলোচনা। খোদ গারো আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মধ্যে চলছে সমালোচনা আলোচনা। সবার একটিই জিজ্ঞাসা, কে এই অরণ্য চিরান?

আলোচিত অরণ্য চিরান সম্পর্কে জানার আগে, দেশে স্বাধীনতা পুরস্কার কিসে দেয় এবং কিভাবে মনোনীত হন, কোন কোন বিষয়ে সে সম্পর্কে কিছুটা ধারণা নেয়া যাক-

স্বাধীনতা পুরস্কার দেশের সর্বোচ্চ জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এই পুরস্কারটি দেওয়া হয়। সাধারণভাবে প্রতি বছর সর্বোচ্চ ১০ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের জারি করা ‘স্বাধীনতা পুরস্কার সংক্রান্ত নির্দেশাবলি’ অনুযায়ী একাধিক ধাপে যাচাই-বাছাই করে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করা হয়। ১৩ ক্ষেত্রে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়। ক্ষেত্রগুলো হলো স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, চিকিৎসাবিদ্যা, শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, পল্লী উন্নয়ন, সমাজসেবা বা জনসেবা, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, জনপ্রশাসন, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ এবং সরকার নির্ধারিত অন্য যেকোনো ক্ষেত্রে এই পুরস্কার দেওয়ার কথা। তবে পুরস্কারের সংখ্যা সাধারণভাবে কোনো বছরে ১০ এর বেশি হবে না। তবে প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছা পোষণ করলে কোনো বছর এই পুরস্কারের সংখ্যা বা ক্ষেত্র কমবেশি করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

এবার আপনি অরণ্য চিরানের নামটি যদি প্রথমবারের মতো শুনে থাকেন, তবে নোট করে জেনে রাখুন, তিনি নিজে সাম্প্রতিক সময়ের এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন তিনি ছাত্র জীবন থেকে সংগঠন করেন, ট্রাইভাল ওয়েলফেয়ারের এসোসিয়েশন ময়মনসিংহ শাখার এক্স জেনারেল সেক্রেটারী এবং সেন্ট্রালের, বর্তমানে তিনি সে সংগঠনের ময়মনসিংহ শাখার চেয়ারম্যান। এছাড়াও বিভিন্ন তথ্যে তাঁর সম্পর্কে জানা যায়, তিনি জেলা শিল্পকলা একাডেমির কনভেনর। ব্যাক্তি জীবন বা পেশাদারিত্বে সারা নামক বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের বেতনভোগী কর্মী। মোদ্দা কথা, মাত্র দুয়েকটি সংগঠনে সেবার বদৌলতে আরণ্য চিরানের ললাটে জুটেছে আজ জনসেবা শাখায় দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কারটি। তাঁর বিষয়ে আরও কিছু তথ্য হলো, তিনি লেখালেখি করেন, তিনি আওমীলীগ রাজনীতির মতাদর্শী। এতো ফিরিস্তির পর অরণ্য চিরানের দেয়া জনসেবাটি কি ছিল, কিভাবে এবং কেন, কাদেরকে, কোন জনগোষ্ঠীকে দিয়েছিল, সংখ্যায় কত ছিল, কত বছর ইত্যাদির পরিসংখ্যান জানার তীব্র আকাঙ্খা রয়েই গেল।

আরেকটু জেনে রাখা ভালো, স্বাধীনতা পুরস্কারের প্রক্রিয়া কি – স্বাধীনতা পদকের জন্য তো একটা নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন করতে হবে। এরপর যেকোনো স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি অথবা সরকারের যেকোনো সচিবের সেই আবেদনের পক্ষে সুপারিশ লাগে। এখন জনমনে প্রশ্ন জাগে, জানতে ইচ্ছে করে অরণ্য চিরানের জন্য সুপারিশ করেছিলেন কোন মন্ত্রণালয় এবং কোন সচিব, কিসের ভিত্তিতে সুপারিশ করেছেন !

আমারও ব্যক্তিগতভাবে জানতে ইচ্ছে করে,  স্বাধীনতা পদকের মতো রাষ্ট্রীয় মর্যাদাবান একটি সম্মাননা একজন অচেনা সমাজসেবক পাওয়ায় কেন ক্ষুব্ধ হবেন না, কেন সোশ্যাল মিডিয়াতে আলোচনা সমালোচনা হবে না। হয়তো গুটি কয়েক ব্যক্তি অরণ্যকে চেনেন, কিন্ত তাঁর সেবার বিষয়ে অনেকেই পরিচিত/অবগত নন তাহলে ব্যাপারটা কি দাঁড়ালো একবার ভাবুনতো !

আমার বিশ্বাস গারো সমাজসহ অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর মধ্যেও অর্থাৎ সবার একই প্রশ্ন হতে পারে। আমার কথা হলো, স্বাধীনতা পদকের মতো রাষ্ট্রীয় সম্মানে প্রশ্ন থাকবে কেন ?

রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তে যদি প্রশ্ন থাকে, প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে; তাহলে কিভাবে আমরা রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিতে তাঁদের অভিনন্দন জানাবো! তাও আবার স্বাধীনতা পুরস্কারে। শুধু অরণ্য চিরান নয়, দেশের আনাচে কানাচে যদি সত্যিকার সমাজ সেবক থাকে তাহলে এতোদিন এঁরা কেন গোচরে আসেনি। আজকাল আমাজন জঙ্গলের খবর মিডিয়াতে আসে, ফোকাস হয় তাহলে অরণ্য চিরানের জনসেবার খবর কেন বাদ যাবে, নাকি ইচ্ছে করেই বাদ পড়েছে ! এমন হাজারো প্রশ্ন থেকেই গেল।

শেষ কথা হলো, আপনি যোগ্য হলে অবশ্যই রাজ পথের মালা পড়বেন। আমরাই আপনাকে রাজ পথের মালা পড়াবো। শ্রদ্ধার সঙ্গে অভিনন্দন জানাবো। কিন্ত পুরস্কার দিতে গিয়ে, স্বাধীনতার পুরস্কার পেতে আমাদের স্বাধীনতাকেই অসম্মান করছি কিনা সেদিকেও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। অন্যদিকে পুরস্কার পাওয়া/আবেদনের আগে নিজেকেও ভাবতে সে পুরস্কারের আমি যোগ্য কি না।

আর যদি কাউকে শুধু ভালোবেসে পুরস্কার দেয়, পুরস্কৃত করে, পুরস্কৃত করতে চায় সেটি ভাবার বিষয় নয় আমাদের।

 

 

 

The post is published by আবিমা টাইম নিউজ at The Abima Times 24 News - .

]]>
4666
আজ পালিত হচ্ছে খ্রিস্টানদের শুভ বড়দিন https://theabimatimes24news.com/%e0%a6%86%e0%a6%9c-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a6%a4-%e0%a6%b9%e0%a6%9a%e0%a7%8d%e0%a6%9b%e0%a7%87-%e0%a6%96%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%a8/?utm_source=rss&utm_medium=rss&utm_campaign=%25e0%25a6%2586%25e0%25a6%259c-%25e0%25a6%25aa%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25b2%25e0%25a6%25bf%25e0%25a6%25a4-%25e0%25a6%25b9%25e0%25a6%259a%25e0%25a7%258d%25e0%25a6%259b%25e0%25a7%2587-%25e0%25a6%2596%25e0%25a7%258d%25e0%25a6%25b0%25e0%25a6%25bf%25e0%25a6%25b8%25e0%25a7%258d%25e0%25a6%259f%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25a8 Sun, 24 Dec 2023 21:45:42 +0000 https://theabimatimes24news.com/?p=4657 The post আজ পালিত হচ্ছে খ্রিস্টানদের শুভ বড়দিন appeared first on The Abima Times 24 News.

আ.বিমা টাইমস নিউজ ডেস্ক:  আজ শুভ বড়দিন। সারা বিশ্বে দিনটি খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। দুই হাজার বছর আগে আজকের এই দিনে জেরুজালেমের বেথলেহেমে কুমারী মাতা মেরির কোলে জন্মগ্রহণ করেন খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আজ বাংলাদেশে খ্রিস্টধর্মের অনুসারীরা যিশুর প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, ধর্মীয় আচার, প্রার্থনা ও অন্যান্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বড়দিন উদযাপন […]

The post is published by আবিমা টাইম নিউজ at The Abima Times 24 News - .

]]>
The post আজ পালিত হচ্ছে খ্রিস্টানদের শুভ বড়দিন appeared first on The Abima Times 24 News.

আ.বিমা টাইমস নিউজ ডেস্ক:  আজ শুভ বড়দিন। সারা বিশ্বে দিনটি খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। দুই হাজার বছর আগে আজকের এই দিনে জেরুজালেমের বেথলেহেমে কুমারী মাতা মেরির কোলে জন্মগ্রহণ করেন খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আজ বাংলাদেশে খ্রিস্টধর্মের অনুসারীরা যিশুর প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, ধর্মীয় আচার, প্রার্থনা ও অন্যান্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বড়দিন উদযাপন করবেন।

প্রচলিত ইতিহাস অনুযায়ী, ২২১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এই দিনটিতে বড়দিন হিসেবে উদযাপন শুরু হয়। খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, বিশ্বজুড়ে মানবিক বন্ধনকে দৃঢ় করা, পাপ ও অন্যায় থেকে মুক্তি, শোষণমুক্ত সমাজ এবং মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতে মানুষের রূপ ধরে মহামতি প্রভু যিশুর আগমন ঘটে এই পৃথিবীতে।

দিনটি খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের জন্য সবচেয়ে আনন্দের এবং গৌরবের দিন। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, মানবজাতিকে সত্য, সুন্দর ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করার জন্য যিশু খ্রিস্টের জন্ম হয়। তাঁর জন্মদিনটিকে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা তাই ধর্মীয় নানা আচার ও উৎসবের মধ্য দিয়ে উদযাপন করে থাকেন।

খ্রিষ্ট মন্ডলীর নিয়মানুসারে আজ রোববার ঠিক রাত ১২টায় যিশু খ্রিস্ট জন্মগ্রহণ করবেন। সে জন্মোৎসটি স্মরণ করে রাত বারোটায় বিশ্বের প্রতিটি খ্রিস্টিয় উপাসনালয়ে বিশেষ খ্রিস্টজাগ উৎস্বর্গ করবেন। পরদিন দিনটি অর্থপূর্ণ করতে নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে পালন করবেন সারা বিশ্বের খ্রিস্ট বিশ্বাসীরা।

 

 

 

The post is published by আবিমা টাইম নিউজ at The Abima Times 24 News - .

]]>
4657
ফ্রান্সের পার্লামেন্টে অভিবাসন সংস্কার আইন পাস https://theabimatimes24news.com/%e0%a6%ab%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a7%87-%e0%a6%85/?utm_source=rss&utm_medium=rss&utm_campaign=%25e0%25a6%25ab%25e0%25a7%258d%25e0%25a6%25b0%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25a8%25e0%25a7%258d%25e0%25a6%25b8%25e0%25a7%2587%25e0%25a6%25b0-%25e0%25a6%25aa%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25b0%25e0%25a7%258d%25e0%25a6%25b2%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25ae%25e0%25a7%2587%25e0%25a6%25a8%25e0%25a7%258d%25e0%25a6%259f%25e0%25a7%2587-%25e0%25a6%2585 Wed, 20 Dec 2023 19:08:27 +0000 https://theabimatimes24news.com/?p=4653 The post ফ্রান্সের পার্লামেন্টে অভিবাসন সংস্কার আইন পাস appeared first on The Abima Times 24 News.

আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক:  ফ্রান্সে আশ্রয় ও অভিবাসন প্রত্যাশীদের সামলানোর তাগিদে নতুন অভিবাসন বিল পাস করেছে বর্তমান ফরাসী সরকার। ফ্রান্সের পার্লামেন্টে গতকাল মঙ্গলবার একটি অভিবাসন বিল পাস করেছন। এই বিলের প্রতি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর সরকারের সমর্থন ছিল। সমর্থন থাকলেও নিজ দলের ভেতর থেকে অভিবাসন বিল নিয়ে বিরোধিতার মুখে পড়তে হয়েছিল মাখোঁকে। দীর্ঘ বির্তকের পর অবশেষে ৫৭৩ […]

The post is published by আবিমা টাইম নিউজ at The Abima Times 24 News - .

]]>
The post ফ্রান্সের পার্লামেন্টে অভিবাসন সংস্কার আইন পাস appeared first on The Abima Times 24 News.

আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক:  ফ্রান্সে আশ্রয় ও অভিবাসন প্রত্যাশীদের সামলানোর তাগিদে নতুন অভিবাসন বিল পাস করেছে বর্তমান ফরাসী সরকার। ফ্রান্সের পার্লামেন্টে গতকাল মঙ্গলবার একটি অভিবাসন বিল পাস করেছন। এই বিলের প্রতি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর সরকারের সমর্থন ছিল। সমর্থন থাকলেও নিজ দলের ভেতর থেকে অভিবাসন বিল নিয়ে বিরোধিতার মুখে পড়তে হয়েছিল মাখোঁকে। দীর্ঘ বির্তকের পর অবশেষে ৫৭৩ জন সদস্যের মধ্যে ভোট দেন ৫৩৫ জন, ৩৪৯ জন পক্ষে এবং ১৮৬ জন বিপক্ষে ভোট দেন।

গতকাল মঙ্গলবার ফরাসি পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থনে বিলটি পাস হয়েছে। শেষ পর্যন্ত বিলটি পাসে মারি লো পেনের কট্টর ডানপন্থী দল ন্যাশনাল র‍্যালির (আরএন) সমর্থন ক্ষমতাসীনদের প্রয়োজন হয়নি।

এ অভিবাসন বিল পাসের বিষয়ে বিরোধী নেতা মারি লো পেন বলেন, এটা আরএনের জন্য একটি আদর্শিক বিজয়। কেননা, এটা এখন জাতীয় অগ্রাধিকার হিসেবে আইনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

ফ্রান্সে আশ্রয় ও অভিবাসন নতুন বিলে কি ধরণের সংস্কার আনা হয়েছে এখনো তা পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। নতুন আইনে আগের চেয়ে জটিল হতে পারে যা সহজে অনুমেয়। যদিও নতুন আইনে কাজ করার শর্তে প্রতি বছর ১০ হাজার অবৈধ অভিবাসীকে বৈধ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সর্বপরি দেশের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য নতুন অভিবাসীদের সংখ্যা কমানোই এর মূল লক্ষ্য।

এছাড়াও আশ্রয় ও অভিবাসন আইন কঠোরে একমত ইইউ দেশ।

The post is published by আবিমা টাইম নিউজ at The Abima Times 24 News - .

]]>
4653
গারোহাব মিডিয়ার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, প্রাসঙ্গিক কিছু কথা https://theabimatimes24news.com/%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%ac-%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%a1%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%b2%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a7%8d%e0%a6%af/?utm_source=rss&utm_medium=rss&utm_campaign=%25e0%25a6%2597%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25b0%25e0%25a7%258b%25e0%25a6%25b9%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25ac-%25e0%25a6%25ae%25e0%25a6%25bf%25e0%25a6%25a1%25e0%25a6%25bf%25e0%25a6%25af%25e0%25a6%25bc%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25b0-%25e0%25a6%25b2%25e0%25a6%2595%25e0%25a7%258d%25e0%25a6%25b7%25e0%25a7%258d%25e0%25a6%25af Tue, 28 Nov 2023 17:58:25 +0000 https://theabimatimes24news.com/?p=4649 The post গারোহাব মিডিয়ার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, প্রাসঙ্গিক কিছু কথা appeared first on The Abima Times 24 News.

পৃথিবীতে গান অপছন্দ করে এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া মুশকিল ! অর্থাৎ গান মানুষের আত্মার খোরাক। একটি গান নিমেষেই আপনার খারাপ মন ভালো করে দিতে পারে। আবার আপনার মনও খারাপ করে দেবার জন্যে ঐ একটি গানই যথেষ্ট। একটি ভালো গান মানুষকে বিনোদিত করে। হাজার বছর ভালো গানকে মানুষ ধরে রাখে। সে গান বারংবার গায়, মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনে। […]

The post is published by আবিমা টাইম নিউজ at The Abima Times 24 News - .

]]>
The post গারোহাব মিডিয়ার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, প্রাসঙ্গিক কিছু কথা appeared first on The Abima Times 24 News.

পৃথিবীতে গান অপছন্দ করে এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া মুশকিল ! অর্থাৎ গান মানুষের আত্মার খোরাক। একটি গান নিমেষেই আপনার খারাপ মন ভালো করে দিতে পারে। আবার আপনার মনও খারাপ করে দেবার জন্যে ঐ একটি গানই যথেষ্ট।

একটি ভালো গান মানুষকে বিনোদিত করে। হাজার বছর ভালো গানকে মানুষ ধরে রাখে। সে গান বারংবার গায়, মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনে। বলতে গেলে এ গান এক প্রকার প্রাণ। যে প্রাণের টানে মানুষের প্রকৃত প্রাণটি আন্দোলিত হয়। একটি উৎকৃষ্ট মানের গান অর্থাৎ বাণীপ্রধান গান মানুষের অন্তরে স্থায়ী আসন পেতে বসে। বিশ্বের সব ভাষার মানুষই গানের ভেতরে অবগাহন করে। মানুষের আনন্দ ও সুখানুভূতিতে গান যেমন তৃপ্তিদায়ক, তেমনি দু :খ-কষ্ট বা ব্যথা-বেদনার নিরাময়ক।

কি কি বিষয়ে গান রচিত হতে পারে

যেকোন বিষয়ে গান হতে পারে। গানের কথায় যেমন থাকে মা-মাটি আর দেশ। তেমনি প্রেম-প্রীতি-ভালোবাসা, বিচ্ছেদ বা বিরহ, জীবনবোধ, আধ্যাত্মবাদ, ধর্মবোধ, ভক্তি মূলক পল্লী, ভটিয়ালি, মারফতিসহ আরও অনেক বিষয়ে গান রচিত হতে পারে।

বাংলা বা অন্য গানের প্রভাব

গানের কথা যদি বলি, আধুনিক বাংলা গানে আমরা পঞ্চকবির প্রভারের বিষয়টি জানি। এই পঞ্চকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রজনীকান্ত সেন, অতুল প্রসাদ সেন ও কাজী নজরুল ইসলামকেই অনুসরণ করে এখনকার গীতিকবিরা লিখে যাচ্ছেন। পঞ্চকবির সাথে লালন ও হাসান রাজা, ওয়েস্টার্ন প্রভাবও বাংলা গানে যথেষ্ট বলে প্রতীয়মান হয়।

গান তৈরিতে বাদ্য বাজনা এবং গাওয়ার রীতি-নীতি কলা-কৌশলও তৈরি করেছে মানুষ। ফলে এ গান সৃষ্টি এবং চর্চার ইতিহাস পুরোনো এটি স্পষ্ট। কিন্ত এক সময় গারো গান, গীতিকার, এবং গায়ক/গায়িকাদের পদাচরণা স্থবির অবস্থায় চলছিল। গারো গানের চর্চার ধারা প্রাচীন হলেও গারো গানের প্রভাব সম্পর্কে তেমন কোন গবেষণা বা তথ্য আমার গোচর হয় নি। এর মানে এই নয় যে গারো গানে কোন প্রভাব নেই। প্রভাব থাকতেও পারে এবং থাকে যা আমরা গবেষণা করে দেখি নি।

আমরা যা দেখছি, এ সংগীত যুগে যুগে এবং নানান সংগীত আয়োজনই পরিবর্তীত হচ্ছে। প্রযুক্তি আমাদের এগিয়ে দিচ্ছে। সংগীত ভক্তদের মাঝেও অনেক পরিবর্তন ঘটছে। তারা এখন বাংলা গানে পাশ্চাত্যের প্রভাবকে কাছে টেনে নিচ্ছে। কিংবা হিন্দি, আরবি, ফার্সি অথবা ভিন্ন জাতির গান গেয়ে তাদের চাহিদা মেটাতে শিল্পীরাও সেভাবেই গাইছেন।

গারো গায়ক এবং গীতিকার

আদিকাল থেকে গারোরাও সংগীত প্রিয় ছিল। ফলে নিজস্ব বাদ্যযন্ত্র থেকে শুরু করে গারোরা নারী পুরুষ উভয়ই অলঙ্কার ব্যবহারের প্রচলনও ছিলো। তবে নারী ও পুরুষের জন্য ভিন্ন ভিন্ন নক্সা ও আকারের অলঙ্কার তৈরী করা হতো। কালের আবর্তে গারোরা এসব অলঙ্কার স্বচোখে দেখাতো দূরের কথা, এদের নাম পর্যন্ত ভুলতে বসেছে। ইতোমধ্যে অনেকেই হয়তো ভুলেও গেছে। নতুন গারো প্রজন্মদের এসব অলঙ্কারের নাম এবং ব্যবহার সম্পর্কে জানার আগ্রহ থাকা উচিত। পুস্তক ঘাটাঘাটির পাশাপাশি গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তিদের কাছে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চাওয়া জরুরি বিষয়।

এহেন কথা বলছিলাম গারো গায়ক এবং গীতিকার বিষয় নিয়ে। গারোদের মধ্যে সংগীত বোদ্ধা অদ্যাবধি চোখে পড়ে নি। যাদেরকে গারো গায়ক, গীতিকার হিসেবে জানি তাও হাতেগোনা কয়েকজন। যারা নীরবে নিভৃতিতে নিজেদের প্রয়োজনে একটু-আধটু গান-টান গেয়ে থাকেন, গান লিখে থাকেন। সংগীত বিষয়ে শিক্ষা সেতো মাত্র শুরু। যারাও শিক্ষা শেষ করেছে এদের মধ্যে গারো সংগীতে অবদান এখনো পড়েনি। গারো সংগীতকে উচ্চ ধারায়, অনন্য ধাপে উঠাতে আরও সময় লাগবে বৈকি! গারো গান নিয়ে প্রচুর এবং আরও গবেষণা প্রয়োজন।

তথ্যপ্রযুক্তির হওয়ায় নতুন গারো গায়কদের আনাগোনা দেখি। এদের মধ্যে কেউ কেউ বাংলা গায়কী প্রভাব বেশি লক্ষণীয়। গারো বা আ.চিক গান গাওয়ার মতোন গায়কীপনা এদের মধ্যে খুব কম কোয়ালিটি রয়েছে। প্রথম যে দূর্বলতা লক্ষণীয় আর তা হলো গারো ভাষা। তাদের প্রবল আগ্রহ থাকলেও গারো ভাষা সঠিক চর্চা নেই বলে সহজে নিজস্ব গারো ভাষায় গান গাওয়া দূরহ কাজ। এদের সামনে কঠিন একটি চ্যালেঞ্জও বটে। ইতোমধ্যে দুয়েকজনের গাওয়া গারো সংগীত সোস্যাল মিডিয়াতে দেখে মেলে যা আমাদের বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দেয়। অর্থাৎ এতো অল্প সময়ে গান বেঁধে বা বানিয়ে বাজারে ছেড়ে দেয় যা আমাদের আরও ভাবিয়ে তোলে। যেখানে ভাষার উচ্চারণগত ভুল, সস্তায় মিউজিক নির্মাণসহ গানের নিয়মগুলো সঠিকভাবে অনুসৃত হয়নি। ফলে গান একটি বিনোদন কিংবা হৃদয়ঙ্গমের বিষয় তা পরিপূর্ণভাবে অনুপস্থিত। পাশাপাশি এমন একটি মানহীন গান শিল্পী, এবং মিউজিক নির্মাতাদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যকে নীচে নামিয়ে দেয়।

এবার আসা যাক গারো গীতিকার নিয়ে আমার নিজস্ব কিছু ব্যক্তিগত অভিমত। কারণ সংগীত করা বা তৈরি একার কোন বিষয় নয়। গারো গীতিকার তেমন নেই বলেই চলে। ছোট বেলায় দুয়েকজনের নাম শুনেছি। তাদের গানও শুনেছি; এখনো মাঝেসাজে শুনলে সে গান আমাকে বেশ আন্দোলিত করে। এটা সত্য তাদের গানে আধুনিকতা ছিল না; তবে কিছু গানে মর্মার্থ অত্যন্ত গভীর ছিল। বিনোদনের আলাদা জায়গা তৈরি করেছিল।

বর্তমান সময়ে কিছু গারো গান সৃষ্টির যেমন সময় লাগে না, তেমনি মিডিয়াতে আসতেও সময় লাগে না। যদি এমন হয় এবার বুঝতেই পারছেন গারো গানে বারোটা বাজলো, নাকি তেরোটা বাজছে! এমন গানের কথা, কাব্যিক গাঁথুনিবা কেমন, মিউজিক কম্বিনেশান ইত্যাদি গানের একটি ইউনিক বিষয়ে বড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন রয়েই যায়।

গারোহাব (GaroHub) এর উদ্দেশ্য লক্ষ্য

ইদানিংকালে কিছু তরুণ এবং কিছু অগ্রজ কবি ও গীতিকারদের দেখা মেলে যা হয়তোবা গারো গানকে অনন্য উচ্চতায় নিতে চেষ্টা করছে যা প্রশংসার দাবি রাখে। ব্যক্তি উদ্যোগে সংগীত এবং মিউজিক নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এর মধ্যে কিছু গারো ব্যান্ড দলও তৈরি হয়েছে। কিছু গারো মিউজিক প্রডিউসার তৈরি করছে নান্দনিক এবং আধুনিক ধারার গান। গারোহাব মিডিয়া পরিবার এদেরই সহযোদ্ধা। বিশুদ্ধ গারো গান উপহার দেবার নির্মিত্তে গেল বছর আবির্ভূত হয় সোস্যাল মিডিয়া জগতে। ভিন্ন ধারার একটি রিয়েল গারো প্লাটফর্ম। অর্থাৎ গারোহাব এর তৈরি গারো গানে আপনি রিয়েল গারো প্লেভারটি পেতে পারেন।

আরও জরুরি বিষয় যা না বললেই নয়; সংগীত জগত বিশাল একটি বিষয়। ফলে গান বিষয়টি খাটো করে দেখার নয়। যে বা যারা গারো গানকে নিছক ফানি বা সহজ একটি বিষয় মনে করছে, সেটি আসলে বিনোদন নয়। বাংলা গানের ঐতিহ্য যেমন অনেক শক্তিশালী। তেমনি গারো গানের ঐতিহ্য রয়েছে এবং সেগুলোকে সচেতনতার সঙ্গে রক্ষা করতে হবে। গারো ভাষা, এবং শব্দ প্রয়োগে আরও যত্নবান হওয়া উচিত। গারোহাব মিডিয়া পরিবার গারো গানে যে সমৃদ্ধ ঐতিহ্য রয়েছে সে পথ ধরেই গান লিখে প্রকাশ করে যাচ্ছে। কিন্ত একটি লক্ষণীয় বিষয় যুগের চাহিদা, মানসিকতার পরিবর্তন বা প্রযুক্তির ছোঁয়ায় গানের বাণী পরিবর্তীত হচ্ছে। যা যুগে যুগে হয়েছে। কিন্তু গান নষ্ট হয়ে যাচেছ সেটি বলা যাবে না। গান শোনার মাধ্যম পরিবর্তিত হচ্ছে। ভালো গানের সাথে কিছু দুর্বল গানও হচ্ছে। এটি আগেও ছিল এখনো আছে। দুর্বল গানকে পরিহার করা আমাদের অভ্যাসে পরিনত করতে হবে। গারোহাব মিডিয়া পরিবার সে পথ ধরে হাটছে। আরও অনেক দুর হেটে যেতে চায়।

প্রবন্ধের শেষ কথা, বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির স্বর্ণযুগে অনেক ভালো ভালো গারো গান হচ্ছে কিন্তু তার স্থায়ীত্বকাল বেশী দিন হচ্ছে না। গারোরাও গান প্রিয় জাতি। যুগে যুগে গান মানুষকে আন্দোলিত করেছেন, মোহিত করেছে। গারোরাও এমন এক জাতি যেখানে বিয়ে বাড়ি থেকে শুরু করে সব কাজে এখনো গান ব্যবহার করে। শোক সভা ও প্রার্থনায়ও গান হয়। সব ধরনের গান আমাদের টানে। বলতে হবে গান অনেক শক্তিশালী বিষয়।

একটা সময় ছিল যখন বাড়ির পাশ দিয়ে হেটে গেলেও প্রকৃতির টানে আনমনা ভাব থেকে বেড়িয়ে আসতো গানের কথা। অনেক সময় অবচেতন মনে গেয়েও নিতো দুই তিন লাইন। আর মাঝি-মাল্লা কৃষকতো হর হামেশাই সুর তুলতো। কিন্তু এখন চারপাশ ঢেকে যাচ্ছে ইট পাথর আর ভিন জাতিগোষ্ঠীর আবাসস্থল। সংকুচিত হচ্ছে নদী, গ্রাম, খাল, বিল ; এমন কি হারিয়ে যাচ্ছে নিজস্ব গারো ভাষা। এ অবস্থায় বাংলার রূপের বর্ণনা বা নাড়ীর টানের সেসব সুর ও কথা কীভাবে আসবে !

এমতাবস্থায় গারোহাব মিডিয়া পরিবার মনে করেন, এই পরিবেশ থেকে গারোদের প্রকৃত কথা ও সুর তুলে ধরা কঠিন। তবে ভাবনা জগত অনেক বড়। মানুষ চাঁদে বা স্বর্গে না গিয়েও সে সম্পর্কে লিখছে। ইচ্ছে থাকলে সেরকম ভাবনার পরিধি ভেঙ্গে অনেক কিছুই করা যায়।

লুই সাংমা

সংস্কৃতি কর্মী

পুনশ্চ: আরও তথ্যের জন্যে গারোহাব আর্কাভ ভিজিট করুন (https://garohub.com)

 

The post is published by আবিমা টাইম নিউজ at The Abima Times 24 News - .

]]>
4649
গারো কবি লুই সাংমার ৫টি নির্বাচিত কবিতা https://theabimatimes24news.com/%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8b-%e0%a6%95%e0%a6%ac%e0%a6%bf-%e0%a6%b2%e0%a7%81%e0%a6%87-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%82%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a7%ab%e0%a6%9f%e0%a6%bf-%e0%a6%a8%e0%a6%bf/?utm_source=rss&utm_medium=rss&utm_campaign=%25e0%25a6%2597%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25b0%25e0%25a7%258b-%25e0%25a6%2595%25e0%25a6%25ac%25e0%25a6%25bf-%25e0%25a6%25b2%25e0%25a7%2581%25e0%25a6%2587-%25e0%25a6%25b8%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%2582%25e0%25a6%25ae%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25b0-%25e0%25a7%25ab%25e0%25a6%259f%25e0%25a6%25bf-%25e0%25a6%25a8%25e0%25a6%25bf Mon, 27 Nov 2023 21:04:33 +0000 https://theabimatimes24news.com/?p=4645 The post গারো কবি লুই সাংমার ৫টি নির্বাচিত কবিতা appeared first on The Abima Times 24 News.

(লুই সাংমা’র বিভিন্ন কাব্যগ্রন্থ থেকে নেয়া)  ১. বেলা অবেলা আমি কখনো নিজেকে আমার করে ভাবতে পারি-নি, এভাবেই আমার কতটা প্রহর অন্যের হয়েছিলো, অথবা আমার কতটা দিন অন্যের হয়েছিলো নিজেও জানি-নে।   দিনের পর দিন, মাসের পর মাস কিংবা বছরের পর বছর আমি কেবল অন্যের হতে থাকি; নিজের প্রিয় কিছু শব্দ হারাতে থাকি; অন্যের হতে থাকে […]

The post is published by আবিমা টাইম নিউজ at The Abima Times 24 News - .

]]>
The post গারো কবি লুই সাংমার ৫টি নির্বাচিত কবিতা appeared first on The Abima Times 24 News.

(লুই সাংমা’র বিভিন্ন কাব্যগ্রন্থ থেকে নেয়া) 

১.
বেলা অবেলা

আমি কখনো নিজেকে আমার করে ভাবতে পারি-নি,

এভাবেই আমার কতটা প্রহর অন্যের হয়েছিলো, অথবা

আমার কতটা দিন অন্যের হয়েছিলো নিজেও জানি-নে।

 

দিনের পর দিন, মাসের পর মাস কিংবা বছরের পর বছর

আমি কেবল অন্যের হতে থাকি; নিজের প্রিয় কিছু শব্দ হারাতে থাকি;

অন্যের হতে থাকে নিজের ঘাম জড়ানো গচ্ছিত ক’খানা সিকি আধুলি,

শেষ সম্বল মাথা গোজার ঠাঁই কবে বেহাত হয়েছিলো নিজেও জানি-নে।

 

আমি কেবল শিগারেটের মতোন পুড়ে দিন দিন খাঁটো হতে থাকি

ছোট হতে থাকি অনু পরমানুর চেয়েও ফিনফিনে, অথবা

নরক যন্ত্রনায় কাতর ক্ষনিক ধরিত্রীর অলীক জলহীন বৃক্ষের মতোন;

তবুও অনাদরে পরে থাকা ছাইপাসে নিজেকে খুঁজিফিরি বিরামহীন

জলতরঙ্গ হয়ে নিজের মধ্যে অন্যরকম ছবি আঁকি।

 

আমি কখনো নিজেকে আমার করে ভাবতে পারি-নি

আমি কখনো নিজেকে আমার করে ভাবতে শিখি-নি

আজ বেলা অবেলাকে আপন করে ভাবতে শিখেছি

তোমার নিটোল পায়ের ছন্দ খুঁজে পেয়েছি।

মার্চ ২২, ২০১৫ খ্রী:

প্যারিস।

 

২.

ভালোবাসা’র ছুটি

নিদ্রাহীন রজনী
কিংবা নিসঙ্গ একাকীত্বে
ওমন বিমল আনন্দের
মিথ্যা দীর্ঘশ্বাস কাছে ফেল না তুমি।
অথবা সুনিপুন নৃত্য ভঙ্গিমায়,
আপন ভেবে খুব কাছে এসো না।

আমার হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা
সকল উচ্ছাস, যতো প্রেম সুর লহড়ী;
ফুঁ-দিয়ে উড়িয়ে দিলাম অন্য আকাশে।

তপ্ত বুক ফেটে কালো মেঘ করুক
শুন্য বুকে কঠিন বৃষ্টি ঝরুক;
হে স্বর্গীয় ভালোবাসা
আজ তোমায় দিলেম ছুটি।
২৫ জুন, ২০১৩ খ্রী:
প্যারিস

 

৩.

প্রথম চিঠি

কি লিখবো, লেখার অনেক বাকী, জানা-অজানা

লিখতে পারছি না তবু কিছুতেই; ওগো প্রিয়তমা।

থরথর কাঁপে কলমের ডগা, শীর্ণ আঙ্গুলের ভাঁজে

চৌচির সাদা কাগজ; মরণ আর্তনাদ, উন্মাদনা৷

 

অনেক বলার বাকী- সীমাহীন পাথর চেপেছে বুকে

বাক-রূদ্ধ, সংশয়ে লজ্জাবতির মত; গুটিয়ে যাই শুধু

অবিরাম রক্তঝরা কথামালা; যা বলা হয়-নি শোকে ৷

 

নিবিড় দৃষ্টিবদ্ধ হয়েছিলেম, কাছে আসবে কবে

তুলে দেব তোমার হাতে- প্রেমের শ্রেষ্ঠ গোলাপ,

নিশ্চুপ তুমি; চলে গেলে পাশ কাটিয়ে- নীরবে,

আহা, ঝরে গেলো স্পর্শকাতর গোলাপের বিলাপ ৷

 

নষ্ট সময় বেঁধে- রয়ে গেলো বুকে সহস্র ক্ষত-

অথচ হৃদয়ে অক্ষত রয়ে গেলো চিঠির ভাঁজটি;

প্রাণের প্রিয়তমা, বলো না- কেন চিঠি পড়লে না

শুধু তোমার জন্যে লিখা, এ আমার প্রথম চিঠি !

আগষ্ট ২৬, ২০১১ খ্রী:

প্যারিস৷

৪.

শাল অরণ্যের মেয়ে

জাগর স্বপ্ন নিয়া; পাখি ডাকা স্নিগ্ধ ভোরে

শিশির ভেজা দুর্বাঘাসে কোমল সবুজ মাঠ পেরিয়ে

মৃদু ছন্দময় নূপুর পায়ে, জংলি ফুল খোপায়,

ডালিম ফুলের মতো ঠোঁট রাঙিয়ে, তুমি এসো।

 

ওহে সুনয়না আমায় বিশ্বাস কর, আপন

সংস্কৃতি সাজে তুমি অনন্যা, অপরুপা;

তুমি এসো গ্রামীণ শৈল্পিক হস্ত খচিতো

তাঁতে বুনা লাল রঙের দকমান্দা পরে।

 

যতো ভিন গায়ের সংস্কৃতি ভুলে,

রাশি রাশি জংলি ফুল তুলে

সেরেজিং গীত নৃত্যের তালে;

তুমি এসো, ফিরে এসো তুমি

শাল অরণ্যের মেয়ে হয়ে।

জুলাই ৫, ২০১৩ খ্রী:

প্যারিস।

 

৫.

একদিন-তো হবে

এমন একটা সময় ছিলো খেতে গেলে সব খাদ্য অমৃত মনে হতো

এমন একটা দিন ছিলো বৃষ্টি রোদে দুরন্তপনায় দিনভর কাটতো ;

এমন কিছু রাত ছিলো রাতভর জেগে গানের জলসায় ডুবে যেতাম

এমন কিছু চাওয়া ছিলো কল্পিত কল্পনায় নিমিষেই জোছনা হয়ে যেতো।

আমি দিনের পর দিন এভাবেই প্রিয় কিছু স্বপ্নকে কোলেপিঠে লালন করতাম ;

আজ না হোক, কাল-তো হবে অথবা কাল না হোক, একদিন-তো হবে।

 

আমার কিছু চাওয়াগুলো মাতৃগর্ভে আসা মানব শিশু ভ্রুণের মতোন-

সন্তানসম্ভবা মায়ের স্বযত্নে সোনামুখি সুঁইয়ে গাঁথা সেলাই করা কাঁথার মতোন;

আমার কিছু চাওয়াগুলো কৃষকের লাঙল কাস্তে শাণ দেয়া ক্ষণের মতোন,

মৌসুম আসলেই ঝাঁপিয়ে পড়বে লাঙ্গল মাটির সশস্ত্র যুদ্ধে।

 

আজও কিছু অগনিত চাওয়া পাওয়া ঘুরেফিরে মনের গভীরে

নববধূ হয়ে আসে মনের জালনায় বারেবারে ফিরে;

আজ অনেকদিনপর ফেলে আসা দিনগুলো ফিরে পেতে ব্যাকুল

কিন্ত হায়! ওকুল গড়ে; ভাঙ্গে আমার এপার-ওপার দুÕকুলই।

 

এভাবেই আমি দিনের পর দিন প্রিয় কিছু স্বপ্নকে কোলেপিঠে লালন করি ;

আজ না হোক, কাল-তো হবে অথবা কাল না হোক, একদিন-তো হবে।

অক্টোবর ৩১, ২০১৫খ্রী:

প্যারিস।

 

The post is published by আবিমা টাইম নিউজ at The Abima Times 24 News - .

]]>
4645
রিলিজ হচ্ছে লুই সাংমার নতুন আ.চিক গান ‘মিনিল চু বিচ্ছি’ https://theabimatimes24news.com/%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a6%9c-%e0%a6%b9%e0%a6%9a%e0%a7%8d%e0%a6%9b%e0%a7%87-%e0%a6%b2%e0%a7%81%e0%a6%87-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%82%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%a8%e0%a6%a4/?utm_source=rss&utm_medium=rss&utm_campaign=%25e0%25a6%25b0%25e0%25a6%25bf%25e0%25a6%25b2%25e0%25a6%25bf%25e0%25a6%259c-%25e0%25a6%25b9%25e0%25a6%259a%25e0%25a7%258d%25e0%25a6%259b%25e0%25a7%2587-%25e0%25a6%25b2%25e0%25a7%2581%25e0%25a6%2587-%25e0%25a6%25b8%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%2582%25e0%25a6%25ae%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25b0-%25e0%25a6%25a8%25e0%25a6%25a4 Tue, 10 Oct 2023 07:55:07 +0000 https://theabimatimes24news.com/?p=4636 The post রিলিজ হচ্ছে লুই সাংমার নতুন আ.চিক গান ‘মিনিল চু বিচ্ছি’ appeared first on The Abima Times 24 News.

প্রায় বছর খানেক পর গারো লেখক লুই সাংমার লেখায় আরেকটা নতুন গান রিলিজ হতে যাচ্ছে। যার শিরোনাম ‘মিনিল চু বিচ্ছি ‘। চু বা মদ গারোদের অতি প্রাচীন ঐতিহ্য। মধুপুরের গারো মিনিল/মিমিল ‘চু’ এবং রমনীকে নিয়ে গান তৈরি হলো। এ গানে গারো ‘চু’ এবং রমনী নিয়ে সুরের মূর্ছনায় নতুন কিছু সৃষ্টি হলো। গানটিতে গারো রমনীর গতিবিধি […]

The post is published by আবিমা টাইম নিউজ at The Abima Times 24 News - .

]]>
The post রিলিজ হচ্ছে লুই সাংমার নতুন আ.চিক গান ‘মিনিল চু বিচ্ছি’ appeared first on The Abima Times 24 News.

প্রায় বছর খানেক পর গারো লেখক লুই সাংমার লেখায় আরেকটা নতুন গান রিলিজ হতে যাচ্ছে। যার শিরোনাম ‘মিনিল চু বিচ্ছি ‘।

চু বা মদ গারোদের অতি প্রাচীন ঐতিহ্য। মধুপুরের গারো মিনিল/মিমিল ‘চু’ এবং রমনীকে নিয়ে গান তৈরি হলো। এ গানে গারো ‘চু’ এবং রমনী নিয়ে সুরের মূর্ছনায় নতুন কিছু সৃষ্টি হলো। গানটিতে গারো রমনীর গতিবিধি এবং গারো চু’য়ের যে রিচুয়্যাল তেজ দুটো বৈশিষ্ট্যের দারুণ মিশেলে, লুই সাংমার চমৎকার কাব্যকথায় তৈরি হয়েছে এ নতুন গান। যেকোন অনুষ্ঠান, মদের আসরে যা বিনোদন প্রেমীদের ভিন্ন রকম বিনোদন যোগাবে বলে গারোহাব মিডিয়া পরিবারের প্রত্যাশা।

গানটির শিরোনাম ‘মিনিল চু বিচ্ছি’ সমাপন, টগর এবং লাক্সমি

কবি লুই সাংমা প্রবাসে বসেও দেশমাতৃকার বন্দনা, তথা গারো জাতিগোষ্ঠির প্রতি অসীম দরদ দেখিয়ে যাচ্ছেন তাঁর অসংখ্য লেখনীতে। তিনি প্রবাসে বসে জাতিসত্তাকে ভালোবেসে কবিতা, গান উপহার দিয়ে চলেছেন। প্রতি বছর নিয়মিত গান রিলিজ করে যাচ্ছেন গারোহাব মিউজিক পরিবার। তারই ধারাবাহিকতায় আরেকটি ভিন্নমাত্রার একটি আ.চিক গারো গান রিলিজ করছে।

এ বছরের শুরুতে ‘কা.সা বাল.আ’ শিরোনামে ভারত বাংলাদেশের গারো শিল্পীদের মিলেমিশে গানটি রিলিজ করেছিল।

এই গানটির গীতিকার লুই সাংমা এবং কণ্ঠ ও সুর সমাপন স্নাল। আরও কন্ঠ দিয়েছেন এ সময়ের তরুণ উদীয়মান শিল্পী টগর দ্রং এবং লাক্সম্মি থিগিদি। এক কথায় বলতে গেলে গারো লেখক লুই সাংমা তিনি বহু প্রতিভার অধিকারী। এরই মধ্যে লুই সাংমার লেখা কিছু আ.চিক গান শ্রোতাদের মন কেড়েছে, যেমন ‘নিথুগিপ্পা আঙনি চা.মে’, ‘নাঙকন নামনিকা’ ইত্যাদি শিরোনামে। লুই সাংমার প্রথম গানটি রিলিজ হয়েছিল ২০২১ সালে ডিসেম্বর।

গানটির মিউজিক কম্পোজ এন্ড আইডিয়া করেছেন এফ এ প্রীতম,  রেকর্ডিং টিউন হাউজ, মিক্স মাস্টার সজীব, ঢাকা বাংলাদেশ।

এই গানটি অফিসিয়ালি আগামী ১৩ অক্টোবর ২০২৩ ইউরোপীয় সময় দুপুর ১২টায় গারোহাব ইউটিউব চ্যানেলে শুনতে পাবেন। এছাড়াও গারোহাবের নিজস্ব ওয়েভসাইট আর্কাভ, ইউটিউব চ্যানেলে ভিজুয়্যাল ভিডিওসহ অডিওটি বিভিন্ন প্লাটফরমে শেয়ার করা হবে।

নতুন অডিও রিলিজ সম্পর্কে জনাব সাংমা তিনি বলেন, আধুনিক ঢংয়ে অর্থাৎ ডিজে মিশ্রিত গাওয়া রোমান্টিক গানটিতে ফেলে আসা ভালোবাসা এবং ভালোবাসা না পাওয়ার বেদনার সারল্যের বহি:প্রকাশ। এ গানটিতে মূলত দুজনার স্মৃতিগুলোর মুহ্যমান চাওয়া গানের কথা ও সুরে দারুনভাবে ফুটে উঠেছে।

লেখক ও গীতিকার লুই সাংমা

গারোহাব দর্শক শ্রোতাদের সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, গারোহাব মিডিয়া গানের সংখ্যায় বিশ্বাসী নয়, দেরিতে হলেও ভালো কিছু করতে ভালোবাসে। সুতরাং ভালো কিছুর জন্যে আপনাদের অপেক্ষা করতে হবে। অতএব এখন আপনাদের অপেক্ষার পালা।

গারোহাব পরিবারের শুভান্যুধায়ী ও গানটি প্রকাশে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে এ গুণী প্রযোজক।

আপনি গারোহাব ইউটিউব চ্যানেলে নতুন হয়ে থাকলে চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে ভালো এবং পরিচ্ছন্ন মিউজিক এর গর্বিত সদস্য/সদস্যা হতে পারেন (https://www.youtube.com/@garohub9047/videos) ।

The post is published by আবিমা টাইম নিউজ at The Abima Times 24 News - .

]]>
4636
প্যারিসের পথেঘাটে: প্যারিসের ফুটপাতে ভাসমান নরসুন্দর https://theabimatimes24news.com/%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a6%a5%e0%a7%87%e0%a6%98%e0%a6%be%e0%a6%9f%e0%a7%87-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%b0/?utm_source=rss&utm_medium=rss&utm_campaign=%25e0%25a6%25aa%25e0%25a7%258d%25e0%25a6%25af%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25b0%25e0%25a6%25bf%25e0%25a6%25b8%25e0%25a7%2587%25e0%25a6%25b0-%25e0%25a6%25aa%25e0%25a6%25a5%25e0%25a7%2587%25e0%25a6%2598%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%259f%25e0%25a7%2587-%25e0%25a6%25aa%25e0%25a7%258d%25e0%25a6%25af%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25b0 Tue, 26 Sep 2023 11:23:33 +0000 https://theabimatimes24news.com/?p=4629 The post প্যারিসের পথেঘাটে: প্যারিসের ফুটপাতে ভাসমান নরসুন্দর appeared first on The Abima Times 24 News.

এ সময়ে এটি জনপ্রিয় শুধু  যে পেশা তা নয়; এ বিষয়ে বিভিন্ন ইউনিভার্সিতে একটি সম্মানজনক ডিগ্রি অর্জনের ফ্যাকাল্টি বা ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে বলে আমার ধারণা। নরসুন্দর বা নাপিত বিষয়টি কিছুটা হাস্যকর, অবহেলিত বিষয় মনে হলেও জ্ঞানের খোরাকতো বটেই; অন্যদিকে এটি সহজ এবং কম অর্থ ইনভেস্ট করে অনুন্নত দেশেও উন্নত সেবা নিশ্চিত করে একটি লাভজনক ব্যবসা […]

The post is published by আবিমা টাইম নিউজ at The Abima Times 24 News - .

]]>
The post প্যারিসের পথেঘাটে: প্যারিসের ফুটপাতে ভাসমান নরসুন্দর appeared first on The Abima Times 24 News.

এ সময়ে এটি জনপ্রিয় শুধু  যে পেশা তা নয়; এ বিষয়ে বিভিন্ন ইউনিভার্সিতে একটি সম্মানজনক ডিগ্রি অর্জনের ফ্যাকাল্টি বা ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে বলে আমার ধারণা। নরসুন্দর বা নাপিত বিষয়টি কিছুটা হাস্যকর, অবহেলিত বিষয় মনে হলেও জ্ঞানের খোরাকতো বটেই; অন্যদিকে এটি সহজ এবং কম অর্থ ইনভেস্ট করে অনুন্নত দেশেও উন্নত সেবা নিশ্চিত করে একটি লাভজনক ব্যবসা হতে পারে বৈকি!

নাপিত বা নরসুন্দর। নরসুন্দর বা চুল দাড়ি কাটার নাপিত বাংলাদেশের সর্বত্রই দেখা মেলে। কিন্ত ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের পথে ঘাটেও এমন ভাসমান নরসুন্দর দেখা মিলবে ভাবনাটি আপনার কাছে কেমন তা জানি না; তবে কেন জানি আমার কাছে অবাস্তব মনে হতো। এমন দৃশ্য দেখলে আপনিও প্রতিবেদকের মতোন ভেবাচেকা খেয়ে যেতেন বোধয়, নয় কি!

এমন তিলোতমা নগরীতে চুল দাড়ি কাটার চেয়ার, টুল বা বসার কোন ব্যবস্থা নেই তা কি করে হয়! তাও আবার রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে চুল দাড়ি কাটার ভাসমান কি অভিনব ব্যবসা ভাবতে পারেন ! জাস্ট রাস্তায় পথচারীদের নিরাপত্তায় বসানো কনক্রিটের পিলারে কাস্টমারকে দিব্যি বসিয়ে এমন রমরমা ব্যবসা। আবারও বলছি, ইউরোপের মতোন দেশেও ‍চুল দাড়ি কাটার ভাসমান ব্যবসা কিছু একটা কি আপনি ভাবতে পারেন! আমি আবার বলছি, আমার ভাবনায় আসেনি এবং এখনো আসে না। বাংলাদেশের গ্রাম্য হাট বাজারেরও চেয়ার না হলেও অন্তত টুল বা পিড়িতে বসিয়ে এমন ব্যবসা দৃশ্যের দেখা মেলে। মেয়েরা চুল কাটার জন্যে লাইন ধরে বসে থাকতেও দেখা যায়। সহসায় প্রশ্ন আসে কিন্ত কেন ?

ইউরোপে খুব সাধারণ মানের চুল দাড়ি কাটাতে পুরুষদের মিনিমাম বারো ইউরো গুনতে হবে, যা বাংলাদেশি টাকায় পনেরশত টাকা। মেয়েদের ক্ষেত্রে এর দাবল চার্জ কিংবা তারও বেশি হতে পারে। সেটি নির্ভর করছে আপনি কোন এলাকায় সেবাটি নিতে যাচ্ছেন। আর তাছাড়া অন্যান্য পরিসেবার জন্য আলাদা আলাদা করে চার্জ দিতে হবে। কোন কোন ক্ষেত্রে এসব সেবা নিতে গেলে আগে থেকে এ্যাপয়মেন্ট নিতে হবে। পাঠক হয়তো ভাবতে পারে মানুষের নজর কাড়তে এমন প্রতিবেদন। আবার আপনি ধরে নিতে পারেন প্রতিবেদকের অন্তর দৃষ্টিশক্তির ঘাটতি আছে। এমন ভাবাটাও অস্বাভাবিক, অমূলক কিছু নয় !

প্যারিসে রাস্তার ওপর ভাসমান সেলুন, নরসুন্দর চুল কাটছে; ছবি: আ.বিমা টাইমস, প্যারিস ম্যারে  

এমন পেশায় জড়িত ব্যক্তির ওপর সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি বা পরিসেবার বিষয়টিও অত্যন্ত উঁচু মানের তা কিন্ত নয়। অর্থাৎ প্রকৃত অর্থে নরসুন্দরদের সামাজিক অবস্থানও মিশ্র ধরনের। এ পেশার প্রতি সাধারণ মানুষের মনোভাব নেতিবাচক হলেও নাপিত ছাড়া কোন শ্রেণীপেশার চলতে পারে না। যে পেশাই কাজ করুক; বাস্তবতা হলো পেশাতো পেশা-ই। নাপিত বা নরসুন্দর বলতে এমন এক শ্রেণীর পেশাজীবিদের বুঝায় যারা মানুষের চুল ছাঁটেন এবং দাড়ি গোঁফ কামিয়ে জীবন ধারণ করেন। এক কথায় বলতে গেলে চুল দাড়ি ছাঁটা বা কাটা তার মূল এবং প্রধান পেশা।

উন্নত দেশেও সব পেশার মানুষের দেখা মেলে। তবে কাজের ধরণ এক হলেও এর ব্যবস্থাপনা ভিন্ন এবং উন্নত হবে এটা উন্নয়নশীল দেশের কমন ধারণা। ঠিক এমন কিছু বাস্তব চিত্র নিয়ে আ.বিমা টাইমস ভিন্নরকম প্রতিবেদন ‘প্যারিসের পথেঘাটে’ শিরোনামে প্রতিবেদন তৈরি করার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে মাঝেমধ্যেই।

এহেন প্রশ্ন জাগে মনে, নাপিত বা নরসুন্দর পেশায় কোন প্রেণীর বা কোন জাতিগোষ্ঠিরা জড়িত। হিন্দু ও মুসলমান উভয় সমাজে নাপিত ছিল একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান স্বরূপ। আগেকার দিনে হিন্দু সস্প্রদায়ের বিয়ে ও জন্ম উৎসবে নাপিতরা কিছু ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করত। মুসলিম পরিবারবর্গও নবাগত শিশুর মাথা ন্যাড়া করার জন্যে নরসুন্দরের দ্বারস্থ হতো। হিন্দু পরিবারে কারও মা অথবা বাবা মারা গেলে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পর নাপিত তার ছেলেদের মাথা ন্যাড়া করে দেয়। তবে খুব জরুরি প্রয়োজনে এবং বয়স্কদের চুল দাড়ি কামাতে অনুরোধে অনেক নাপিত বাড়িতে গিয়েও চুল ছেঁটে দেন।

নরসুন্দর বিষয়ক তথ্য উপাত্ত ঘেটে আরও কিছুটা অবাক করার তথ্য পাওয়া গেল যে, পৃথিবীর প্রথম পাস করা শল্যবিদ বা সার্জনদের মধ্যে অনেকেই প্রথম জীবনে পেশায় নাপিত ছিলেন। ইংল্যান্ডে এখনও ডাক্তারদের ‘ডক্টর’ এবং সার্জনদের ‘মিস্টার’ নাপিত বলার রেওয়াজ আছে। সার্জনদের ‘ডক্টর’ বললে ডক্টররা নাকি অপমানিত বোধ করেন ! মধ্যযুগে ইউরোপের নাপিতেরা দলে দলে প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন শল্যবিদ্যায় ডিগ্রি নিতে। এই নাপিতেরা যখন পেশাদার সার্জন ছিলেন না, তখন রোগীর শরীরে তাঁরা ইচ্ছেমতো ক্ষুর চালাতেন।

আগেকার দিনে কিংবা এখনো গ্রামের বাজারে বা শহরের অলিতে গলিতে নাপিতদের নির্দিষ্ট দোকান আছে। সেখানে লোকেরা তাদের চুল, দাঁড়ি কাটা, ছাঁটা, নখ কাটা এবং ছোটখাট কাটাছেঁড়ার কাজ করায়। এসব সেবা প্রদানের মাধ্যমেই নাপিত উপার্জন করে থাকে। এই উপার্জন অর্থ হতে পারে, আবার কোন দ্রব্যসামগ্রীও হতে পারে। আগেকার দিনে নাপিতদেরকে কাজের বিনিময়ে সাধারণত দ্রব্যসামগ্রী দেওয়া হতো। এই বিনিময় প্রথার নাম ছিল যজমানি ব্যবস্থা। গ্রামের লোকজন সারা বৎসরের সেবার বিনিময়ে, নাপিতদের ফসলের মৌসুমে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্যশস্য দিত। চালাকিপনা, রসিকতা, আড্ডাবাজি ও গল্প বলায় নাপিতদের বিশেষ দক্ষতা ছিল। এক পরিবার থেকে আরেক পরিবারে এবং এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে তথ্য আদানপ্রদান হতো নাপিতদের মাধ্যমে। এছাড়া শিশুর জন্ম-সংবাদের বাহক হিসেবে তারা কাজ করত। আর নবজাতক ছেলে শিশু হলে সে খবর সরবরাহ করে উভয় পক্ষ থেকে তারা উপহার পেত।

প্রতিবেদন লেখার শুরুতেই বলেছিলাম যে, নরসুন্দরদের সামাজিক অবস্থানও মিশ্র ধরনের। কেউ কেউ মনে করেন, নাপিত এসেছে ক্ষত্রিয় পিতা এবং শূদ্র মাতার পরিবার থেকে। অনেকের ধারণা নাপিতের উৎপত্তি দেবতা শিব থেকে, যিনি তাঁর স্ত্রীর নখ কেটেছিলেন। নাপিতরা কতিপয় অনুসস্প্রদায়ে বিভক্ত, যথা আনারপুরিয়া, বামানবেন, বরেন্দ্র, রাঢ়ী, মাহমুদাবাজ, সপ্তগ্রাম, সাতঘরিয়া, খোট্টা ইত্যাদি। ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়, অনেক গুল নিন্মসম্প্রদায়ের কাছে অস্পৃশ্যী হলেও নাপিতের হাতে পানি তারা পান করতেন।  অধিকাংশ নাপিতই বৈষ্ণব। ধর্মীয় কাজে তারা ব্রাহ্মণদের পুরোহিত হিসেবে নিযুক্ত করে থাকে। তাদের মৃতদেহ আগুনে পোড়ানো হয়। মৃত্যুর একত্রিশ দিন পর শাস্ত্রমতে তাদের শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠিত হয়। খাবারদাবার পরিবেশনে তারা হিন্দুশাস্ত্র মেনে চলে। বৈষ্ণব নাপিত মাংস খায় না, নিরামিষভোজি হলেও এরা কিন্তু মাছ খায়।

দিনকে দিন এ পেশায় এবং পেশাদারিত্বে অনেক পরিবর্তন এসেছে। অর্থাৎ শহুরে নাপিতদের অবস্থান ও চিত্র একেবারেই ভিন্ন। এসব পরিসেবা বলতে, বলতে গেলে রাজকীয় ব্যাপারসেপার হয়ে দাড়িয়েছে। এখানে নারীপুরুষ বা ছেলেমেয়ে উভয়ের জন্য ঘরোয়া সেলুন আছে। রয়েছে উন্নতমানের বসার সিট এবং সেবার যন্ত্রপাতিগুলো আধুনিকসহ পেশাদার নাপিত বা সাঁজশিল্পী। সাধারণত মেয়েদের জন্য আলাদা নরসুন্দর থাকে। মেয়েদের নরসুন্দরও মেয়ে হয় এবং তারা সাধারণত পার্লারে তাদের চুল কাটা, অবাঞ্ছিত লোম উত্তোলন সহ রূপ চর্চার যাবতীয় কাজ করে থাকে। শহুরে নাপিতরা চুল কাটার আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে দক্ষতার সাথে সেলুনে কাজ করে। গ্রামের নাপিতদের চেয়ে শহুরে নরসুন্দরদের উপার্জন অনেক বেশি। শহুরে নাপিত চুলকাটা ও কেশসজ্জা এবং কখনও বা মাথা মালিশ করা ছাড়াও অন্য অনেক সেবা দিয়ে থাকেন।শহুরে পার্লারে বা সেলুনে এমন সেবার পাশাপাশি অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে। তবে গ্রামের নাপিতরা কেশবিন্যাস বা মালিশের কাজ প্রায় করে না বললেই চলে। সম্প্রতি মুসলমান ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদেরও নরসুন্দর হতে দেখা যায়।

এ সময়ে এটি জনপ্রিয় একটি শুধু যে পেশা তা নয়; এ বিষয়ে বিভিন্ন ইউনিভার্সিতে একটি সম্মানজনক ডিগ্রি অর্জনের ফ্যাকাল্টি বা ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে বলে আমার ধারণা। নরসুন্দর বা নাপিত বিষয়টি কিছুটা হাস্যকর, অবহেলিত বিষয় মনে হলেও জ্ঞানের খোরাকতো বটেই; অন্যদিকে এটি সহজ এবং কম অর্থ ইনভেস্ট করে অনুন্নত দেশেও উন্নত সেবা নিশ্চিত করে একটি লাভজনক ব্যবসা হতে পারে বৈকি!

 

প্রাবন্ধিক

লুই সাংমা, প্যারিস।

The post is published by আবিমা টাইম নিউজ at The Abima Times 24 News - .

]]>
4629
আদিবাসী সংগঠনগুলোর দেহ আছে; শুধু নেই যৌবন https://theabimatimes24news.com/%e0%a6%86%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a7%80-%e0%a6%b8%e0%a6%82%e0%a6%97%e0%a6%a0%e0%a6%a8%e0%a6%97%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%8b%e0%a6%b0-%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b9-%e0%a6%86/?utm_source=rss&utm_medium=rss&utm_campaign=%25e0%25a6%2586%25e0%25a6%25a6%25e0%25a6%25bf%25e0%25a6%25ac%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25b8%25e0%25a7%2580-%25e0%25a6%25b8%25e0%25a6%2582%25e0%25a6%2597%25e0%25a6%25a0%25e0%25a6%25a8%25e0%25a6%2597%25e0%25a7%2581%25e0%25a6%25b2%25e0%25a7%258b%25e0%25a6%25b0-%25e0%25a6%25a6%25e0%25a7%2587%25e0%25a6%25b9-%25e0%25a6%2586 Mon, 31 Jul 2023 19:02:08 +0000 https://theabimatimes24news.com/?p=4619 The post আদিবাসী সংগঠনগুলোর দেহ আছে; শুধু নেই যৌবন appeared first on The Abima Times 24 News.

আদিবাসী সংগঠনগুলোর দেহ আছে; শুধু নেই যৌবন পারিবারিক, সামাজিক উন্নয়ন, সমাজ সংস্কারের নামে রাষ্ট্রে, দেশে অগণিত মানব সংগঠনের জন্ম হয়েছে। গ্রাম থেকে নগর পর্যন্ত গারোসহ বহু আদিবাসী  সংগঠন সদর্পে আবির্ভাব হয়েছে। নতুন চিন্তা চেতনায় আর্বিভূত হয়েছে। এসব সংগঠনের কার্যক্রম, নতুনভাবে অবিভূর্ত হবার ক্রিয়া প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে, ধাবিত থাকবে নিকট ভবিষ্যতেও। কিন্ত আমাদের কাছে এমন নজিরও […]

The post is published by আবিমা টাইম নিউজ at The Abima Times 24 News - .

]]>
The post আদিবাসী সংগঠনগুলোর দেহ আছে; শুধু নেই যৌবন appeared first on The Abima Times 24 News.

আদিবাসী সংগঠনগুলোর দেহ আছে; শুধু নেই যৌবন

পারিবারিক, সামাজিক উন্নয়ন, সমাজ সংস্কারের নামে রাষ্ট্রে, দেশে অগণিত মানব সংগঠনের জন্ম হয়েছে। গ্রাম থেকে নগর পর্যন্ত গারোসহ বহু আদিবাসী  সংগঠন সদর্পে আবির্ভাব হয়েছে। নতুন চিন্তা চেতনায় আর্বিভূত হয়েছে। এসব সংগঠনের কার্যক্রম, নতুনভাবে অবিভূর্ত হবার ক্রিয়া প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে, ধাবিত থাকবে নিকট ভবিষ্যতেও। কিন্ত আমাদের কাছে এমন নজিরও হাতে আছে ঘর আলোকিত না করতেই ব্যক্তি স্বার্থের রোষানলে, ক্রোধের দাবদাহে বা জ্বালায় পড়ে অকালে সংগঠনের আলো চিরতরে নিভে গেছে। আবার কোন কোন সংগঠন ভঙ্গুর প্রায় এখন।

ধরুন খোদ মধুপুর আ.বিমায় সে পথ ধরে ট্রাইভাল ওয়েলফার এসোসিয়েশান, জয়েনশাহী উন্নয়ন পরিষদ, আ.চিক মিছিক সোস্যাইটি, আজিয়া, জেএসএফ, বাগাছাস, গাসু আরও অজানা সংগঠনের হয়তো জন্ম। এদের শাখা প্রশাখা তৈরি হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার মারফতে জানতে পারলাম, অতি সম্প্রতি দীর্ঘদিন বিরতির পর টিডাব্লিউর নির্বাচন, আজিয়া নামক সংগঠনের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। এভাবে কাউন্সিলের পর কাউন্সিল হবে, সংগঠনের নির্বাচন হবে, গঠনতন্ত্র পরিবর্তন, পরিমার্জন হবে। অগ্রজ অনুজ মিলিয়ে, নতুন নেতৃত্ব আসবে। এটাই সংগঠনের ধর্ম, সাংগঠনিক স্বকীয়তা।

এসব সকল সংগঠনের আস্ত ফিরিস্তি তুলে ধরা আজকের প্রতিপাদ্য বিষয় নয়। তুলে ধরার ইচ্ছেও নেই। গোটা ফিরিস্তি লিখতে গিয়ে তখন এমন হতে পারে কেঁচো খুড়তে গিয়ে সাপ বেড়িয়ে আসবে। অনেক সংগঠনের চোখে দেয়া সুরমা বা কাজল, কপালের টিপ, দেহে পড়নের কাপড় ঠিক নেই; অথবা হতে পারে দেহ, আত্মা আছে কিন্ত যৌবন নেই, হাড্ডিসার চিত্র এমন কঠিন দুরাবস্থাগুলি সুর সুর করে কলমের ডগায় বেড়িয়ে আসবে এটা সুনিশ্চিত।

মানুষের ধর্ম সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। অর্থাৎ পেছন নয়; সামনের দিকে পথ চলা, নিশ্চিত গন্তব্যে আরও এগিয়ে যাও। নদীও তাই। জীবন্ত নদী বোবা কালা হলেও নদীর গন্তব্য নদী নিজেও কিন্ত ভালো জানে। নদী আসলে জন্মান্ধ সে কথা বলা যাবে না। নদীও আপন ছন্দে এঁকেবেঁকে, কখনোবা সমান্তরালভাবে চলে। তাই বলে নদীকে কখনো গন্তব্যহীন, ছন্দহীন বলা যাবে না।

সংগঠনগুলো গঠিত হয়েছে তার নিজস্ব গঠনতন্ত্র ও নিয়ামকের ওপর ভিক্তি করে। গঠনতন্ত্রে সংগঠনের সুস্পষ্ট উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য উল্লেখ রয়েছে। গঠিত সংগঠনের লক্ষ্য উদ্দেশ্যগুলো নামে টেকসই, জুটসই হলেও বহু গারো সামাজিক সংগঠন পথ চলায় ছন্দ কোন নেই; নেই কোন গতি। প্রাজ্ঞরা বলেন, যদি সে পথ চলায় গতি না থাকে তাহলে সে চলার পথে দুর্গতি অনিবার্য হয়ে দাঁড়ায়।

আমরা এও জানি, জীবনের কোনো উদ্দেশ্য না থাকলে তা নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। তেমনি উদ্দেশ্যহীন, গতিহীন, ছন্দহীন সংগঠন মানুষের জীবনে, সমাজে বিরুপ প্রভাব পড়তে পারে। দেখা দিতে পারে বিরোধ, বিভেদ, অরাজগতা, বিশৃঙ্খলা, সমন্বয়হীনতার মতোন নানা সামাজিক, ব্যক্তিগত কিংবা সাংগঠনিক সমস্যা। সর্বপরি জাতীয় ঐক্য তৈরিতে এটি একটি প্রধান অন্তরায়।

এহেন উদ্দেশ্যহীন জীবনের প্রভাব উদাহরণ হিসেবে টানা যেতে পারে। আগে বলে নিচ্ছি বলছি এটা কোনো মনগড়া কথা নয়। উদ্দেশ্যহীন জীবন ব্যক্তির শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক বলয়ে কেমন প্রভাব ফেলতে পারে এসব কিছু গবেষণায় উঠে এসেছে। দীর্ঘদিনের গবেষণার পর একদল স্নায়ুবিজ্ঞানী পরামর্শ দিয়েছেন, জীবনের একটি লক্ষ্য ঠিক করুন, দেখবেন নাকডাকা কিংবা অনিদ্রা দূর হয়ে গেছে। ঘুমের জন্য ওষুধের ওপর নির্ভরশীল হতে হবে না। গবেষণাটি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ‘নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি’র একদল স্নায়ুবিজ্ঞানী। মোট ৮০০ জনের ওপর দুই বছর ধরে গবেষণা চালিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের বয়স ৬০ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে। গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখার চেষ্টা করেছেন, জীবনের কোনো লক্ষ্য থাকা-না থাকার সঙ্গে ঘুমের সম্পর্ক আছে কি না। তাতে দেখা গেছে, যাদের জীবনের কোনো উদ্দেশ্য নেই, তারা অনিদ্রাসহ নানা সমস্যায় ভোগে। অন্যদিকে জীবনের উদ্দেশ্য আছে এমন ব্যক্তিদের এ জাতীয় সমস্যা নেই বললেই চলে। গবেষকরা বলছেন, এই গবেষণার ফল যেকোনো বয়সী মানুষের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হতে পারে। গবেষক অধ্যাপক ড. জ্যাসন ওং বলেন, ‘জীবনের একটা উদ্দেশ্য খুঁজে বের করতে পারলে অনেককেই অনিদ্রার জন্য ওষুধের ওপর নির্ভরশীল হতে হবে না।’

গারো সংগঠনগুলোর জীবন, যৌবন, উদ্দেশ্য, গতি নেই বলে বাংলাদেশে আদিবাসী স্বীকৃতি, আদিবাসীদের ভূমি অধিকার, মধুপুর, শেরপুর, সিলেটে গারোদের আবাসভূমি সমস্যা ফাইল বন্দি হয়ে আছে যুগের পর যুগ। এছাড়াও যেকোন আইনী সহায়তায় সরকারের উদাসীনতা বড্ড পিড়া দেয়, অসম্ভব যন্ত্রণা এবং বেদনার কথা।

দেশের অন্যান্য আদিবাসী সংগঠনগুলোর অবস্থাও তাই। জাতীয় পর্যায়ের আদিবাসী সংগঠন তাদের অবস্থাও যেন খালি তাদের দেহ আছে; কিন্ত যৌবন নেই। নানান সোর্স থেকে পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়ার পরও তাঁদের নৌকার পালে হাওয়া লাগে না। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দুয়েকটা দিবস পালন, মিটিং সিটিংয়ে আসন গ্রহণ, মিছিল মিটিং কিংবা প্রতিবাদ অনুষ্ঠানে সিনা টান করে রাজনৈতিক বক্তব্য ছাড়ার পর তাদের মাজায় জোর থাকে না এমন অবস্থা।

গারো সংগঠনগুলোর নির্বাচন, কাউন্সিল, নবীন বরণ, মিটিং মিছিল, নামমাত্র সামাজিক কিছু অনুষ্ঠানিকতা করে যুবকদের সামনে বন রুটিকে দিল্লির লাড্ডু বলে প্রলুব্ধ করলেই সংগঠনের শতভাগ সফলতা বলা যাবে না। টেকসই কিছু করতে হবে, এবং আমাদের সংগঠনের লক্ষানুযায়ী কাজ করা উচিত।

মোদ্দা কথা, গারোসহ আদিবাসী সংগঠনগুলোর দেহ কিংবা রুপে চকচকে জৌলুশ থাকলে হবে না। সংগঠনের নিভু নিভু প্রাণ থাকলে হবে না। দেহে পুরো যৌবন, জৌলুশ থাকতে হবে। দেহ মনে আত্মায় সে জৌলুশ আজীবন ধরে রাখতে হবে। তাতে শুধুমাত্র পরিবার, সমাজই উপকৃত হবে না। উপকৃত হবে গোটা গারো জাতি তথা দেশের আদিবাসী। সর্বপরি জাতিগত অধিকার আদায়ে বড় ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে।

আগামী ৯ আগস্ট ২০২৩  আদিবাসী দিবস সফল হোক।

The post is published by আবিমা টাইম নিউজ at The Abima Times 24 News - .

]]>
4619
মধুপুরে আদিবাসীদের ধানি জমিতে লেক খনন প্রকল্প বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ https://theabimatimes24news.com/%e0%a6%ae%e0%a6%a7%e0%a7%81%e0%a6%aa%e0%a7%81%e0%a6%b0-%e0%a6%86%e0%a6%ae%e0%a6%a4%e0%a6%b2%e0%a7%80-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%87%e0%a6%a6%e0%a7%87-%e0%a6%86%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a6%ac%e0%a6%be/?utm_source=rss&utm_medium=rss&utm_campaign=%25e0%25a6%25ae%25e0%25a6%25a7%25e0%25a7%2581%25e0%25a6%25aa%25e0%25a7%2581%25e0%25a6%25b0-%25e0%25a6%2586%25e0%25a6%25ae%25e0%25a6%25a4%25e0%25a6%25b2%25e0%25a7%2580-%25e0%25a6%25ac%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%2587%25e0%25a6%25a6%25e0%25a7%2587-%25e0%25a6%2586%25e0%25a6%25a6%25e0%25a6%25bf%25e0%25a6%25ac%25e0%25a6%25be Fri, 16 Jun 2023 21:57:06 +0000 https://theabimatimes24news.com/?p=4593 The post মধুপুরে আদিবাসীদের ধানি জমিতে লেক খনন প্রকল্প বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ appeared first on The Abima Times 24 News.

আ.বিমা টাইমস নিউজ ডেস্ক: টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর দোখলায় আদিবাসী জনগোষ্ঠির ধানি জমিতে (আমতলী বাইদে) লেক খনন প্রকল্প বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে এলাকার আদিবাসী গোষ্ঠি। আজ শুক্রবার দুপুরে ‘মধুপুরের বিক্ষুব্ধ আদিবাসী জনগণ ’এর ব্যানারে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বিক্ষোভ সমাবেশকে সফল করতে মধুপুরের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসে পীরগাছা সেন্ট পৌলস […]

The post is published by আবিমা টাইম নিউজ at The Abima Times 24 News - .

]]>
The post মধুপুরে আদিবাসীদের ধানি জমিতে লেক খনন প্রকল্প বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ appeared first on The Abima Times 24 News.

আ.বিমা টাইমস নিউজ ডেস্ক: টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর দোখলায় আদিবাসী জনগোষ্ঠির ধানি জমিতে (আমতলী বাইদে) লেক খনন প্রকল্প বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে এলাকার আদিবাসী গোষ্ঠি। আজ শুক্রবার দুপুরে ‘মধুপুরের বিক্ষুব্ধ আদিবাসী জনগণ ’এর ব্যানারে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বিক্ষোভ সমাবেশকে সফল করতে মধুপুরের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসে পীরগাছা সেন্ট পৌলস উচ্চ বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন। এরপর বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে দোখলা বাজার প্রদক্ষিণ করে দোখলায় বন বিভাগের রেঞ্জ কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ করেন।

প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি মি. ইউজিন নকরেকের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন পরিষদের সাবেক সভাপতি মি. অজয় এ মৃ, মুক্তাগাছা ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মি. হিউবাট মৃ, মধুপুর কোচ আদিবাসী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মি. গৌরাঙ্গ বর্মন, বাংলাদেশ গারো ছাত্রসংগঠনের (বাগাছাস) সভাপতি এ্যাড. জন যেত্রা, বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের সভাপতি মি. অলিক মৃ, নারী নেত্রী কৌশলা নকরেক, জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের নেতা মি. প্রবীন চিসিম প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন যে, যুগ যুগ ধরে এবং বংশ পরম্পরায় আদিবাসীরা এ ধানি জমিতে ধান চাষ করে আসছেন। কৃষি জমিতে লেক খনন, শিশু বিনোদন পার্ক হোক তা এলাকার আদিবাসীরা চান না। ফলে প্রকল্প বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন সময় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। আবাদি জমিতে লেক খনন, ও বিদোন পার্ক প্রকল্পটি অনতি বিলম্বে বাতিল করতে হবে।

এ ছাড়াও বক্তারা আরও বলেন ‘আদিবাসী’ হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে এবং সমতল এলাকার ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠনেরও দাবি জানান।

সমাবেশকে সফল করতে মধুপুর এলাকার গারো, কোচ ও বিভিন্ন সংগঠনের নারী-পুরুষ-ছাত্র-শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, দোখলার আমতলী বাইদে প্রকল্পের আওতায় মোট ৪৭ বিঘা ধানি জমি রয়েছে। বংশ পরম্পরায় ধান চাষ করে আসছে এলাকার ১৪টি গারো আদিবাসী পরিবার। ‘স্থানীয় ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সহায়তায় মধুপুর জাতীয় উদ্যানে ইকো ট্যুরিজম উন্নয়ন ও টেকসই ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ওই জমিতে লেক খননের উদ্যোগ নেয় বন বিভাগ।

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার দোখলা আমতলী বাইদে আদিবাসীদের কৃষি জমিতে বনবিভাগ কর্তৃক লেক প্রকল্প ঘোষণা করার পর থেকে আদিবাসী – বনবিভাগ পরস্পর সাংঘর্ষিক অবস্থানে রয়েছে। লেক প্রকল্পের আওতায় ১৪ টি গারো আদিবাসীর জমি রয়েছে। ফলে শুরু থেকেই জমির মালিকসহ আদিবাসীরা এই কৃত্রিম লেক খনন প্রকল্পের বিরোধীতা করে আসছেন। তাদের দাবী ওই জমিতে লেক খন করা হলে আদিবাসীদের একমাত্র আবাদী জমি হারাবে। এছাড়াও লেকের চারপাশে অবস্থিত আদিবাসীদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যহত হবে। সামাজিক, সাংস্কৃতিক পরিবেশ বিপর্যস্ত হবে।

 

 

The post is published by আবিমা টাইম নিউজ at The Abima Times 24 News - .

]]>
4593