মতামত | The Abima Times 24 News https://theabimatimes24news.com Thu, 16 Feb 2023 07:28:53 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.7 তেজ নেইতো কি, তবুও নাম তাঁর তেজপাতা – প্রসঙ্গ হিরো আলম https://theabimatimes24news.com/%e0%a6%a4%e0%a7%87%e0%a6%9c-%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%87%e0%a6%a4%e0%a7%8b-%e0%a6%95%e0%a6%bf-%e0%a6%a4%e0%a6%ac%e0%a7%81%e0%a6%93-%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%ae-%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%81%e0%a6%b0/?utm_source=rss&utm_medium=rss&utm_campaign=%25e0%25a6%25a4%25e0%25a7%2587%25e0%25a6%259c-%25e0%25a6%25a8%25e0%25a7%2587%25e0%25a6%2587%25e0%25a6%25a4%25e0%25a7%258b-%25e0%25a6%2595%25e0%25a6%25bf-%25e0%25a6%25a4%25e0%25a6%25ac%25e0%25a7%2581%25e0%25a6%2593-%25e0%25a6%25a8%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25ae-%25e0%25a6%25a4%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%2581%25e0%25a6%25b0 Wed, 15 Feb 2023 14:51:35 +0000 https://theabimatimes24news.com/?p=4442 The post তেজ নেইতো কি, তবুও নাম তাঁর তেজপাতা – প্রসঙ্গ হিরো আলম appeared first on The Abima Times 24 News.

সোশ্যাল মিডিয়াতে শোরগোল ফেলে দিয়েছে আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। যিনি হিরো আলম নামে অধিক পরিচিত। একদিকে হিরো আলমকে নিয়ে সমাজের কিছু স্তরের মানুষের তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের অন্ত নেই; তেমনি এই হিরো আলমের প্রতি গভীর সহানুভূতিশীল, সংবেদনশীল, দানশীল মানুষেরও অভাব নেই। শুধু তাই নয়, হিরো আলম সকল কাজের কাজী, হিরো আলম শিক্ষিত নেতার চেয়েও সুযোগ্য […]

The post is published by আবিমা টাইম নিউজ at The Abima Times 24 News - .

]]>
The post তেজ নেইতো কি, তবুও নাম তাঁর তেজপাতা – প্রসঙ্গ হিরো আলম appeared first on The Abima Times 24 News.

সোশ্যাল মিডিয়াতে শোরগোল ফেলে দিয়েছে আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। যিনি হিরো আলম নামে অধিক পরিচিত। একদিকে হিরো আলমকে নিয়ে সমাজের কিছু স্তরের মানুষের তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের অন্ত নেই; তেমনি এই হিরো আলমের প্রতি গভীর সহানুভূতিশীল, সংবেদনশীল, দানশীল মানুষেরও অভাব নেই। শুধু তাই নয়, হিরো আলম সকল কাজের কাজী, হিরো আলম শিক্ষিত নেতার চেয়েও সুযোগ্য নেতা, প্রান্তিক মানুষের জন্য অদম্য আইকন তকমা দিতেও অনেকেই দ্বিধা করছেন না। অর্থাৎ ওঁরা কেও কেও হিরো আলমকে নেতা, সমাজ সেবক হিসেবে দেখতে চাইছেও। প্রসঙ্গত তিল পরিমাণ বাড়িয়ে বলছি না। মোদ্দা কথা, এ দুপক্ষই হিরো আলমের পক্ষে বিপক্ষে যুক্তির ওপর পাল্টা যুক্তি দিতে আগ্রহের ঘাটতি নেই।

হিরো আলম

সাংবাদিক এবং নির্বাচনে হিরো আলম 

হিরো আলমের কোন বিষয় নিয়ে এতো প্রশ্ন উঠছে- হিরো আলমের এ চেহেরায় কীভাবে হিরো বা নায়ক হয়, কাক ‍কন্ঠে কীভাবে গায়ক হয়, অভিনয়ে তালিম নেই অভিনেতা কি করে হয়, সামঞ্জস্যহীন ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে কীভাবে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়, আর সর্বশেষ ইস্যূ হলো শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই কীভাবে সাংসদ বা এমপি  হবে, সাংসদে কি অবদান রাখবে ইত্যাদি বিষয় জন মানুষের কাছে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন হিরো আলম। এই হিরো আলম থেমে নেই, কখন এবং কোথায় থামবে তাও জানা নেই কারোর!

হিরো আলমকে নিয়ে কেন এতো প্রশ্ন উঠছে- হিরো আলমের অতীত থেকে পাঠ নিয়ে যা বুঝতে পারি, অর্থাৎ অতীতে হিরো আলম সোশ্যাল মিডিয়াতে তুলকালাম কিছু ঘটনা ঘটানোর পর মানুষের এমন প্রশ্ন জাগতেই পারে। তাঁর যোগ্যতা নিয়ে সন্দিহান থাকতেই পারে, প্রশ্ন তোলা যেতেই পারে। যেহেতু প্রশ্ন তোলার ব্যাপারে হিরো আলম কোন প্রশ্নাতীত, সন্দেহাতীত বা পরিক্ষীত কোন ব্যক্তি নয়। অর্থাৎ তিনি এমন কোন অসাধ্য কর্ম সাধন করেনি কিংবা বংশ পরাম্পর উত্তারাধিরী সূত্রে পাওয়া তকমাও তাঁর নেই।

হিরো আলম পিক২

আরও প্রশ্ন জাগে মনে- এসব ইস্যূ নিয়ে হিরো আলমের প্রতি আমরা অন্যায় করছি কি না; অথবা হিরো আলমের প্রতি খামকা সংবেদনশীল হয়ে উঠছি কি না। আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে নিচের আলোচনা থেকে বুঝে নেয়ার চেষ্টা করবেন, এবং নিজে নিজেই সিদ্ধান্ত নিবেন; এসব সঠিক সিদ্ধান্ত নেবার দায়িত্বও আপনার-

আমরা জানি, সোশ্যাল মিডিয়াতে সামঞ্জস্যহীন কনটেন্ট ক্রিয়েট করতে গিয়ে হিরো অলমের স্পর্ধা প্রশাসন পর্যন্ত গড়িয়েছিল। সেখানেও হিরো আলম থামেনি। নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে এবার হিরো আলম স্পর্ধা দেখিয়েছে রাজনীতির ময়দানে; অর্থাৎ বগুড়া-৪ দুটি আসনে সংসদ নির্বাচন করে। নির্বাচনের ফল নিয়ে সেখানেও হিরো আলম ওপেন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন আওয়ামী লীগের সম্পাদক জনাব ওবায়দুল কাদেরকে যে, আসুন খেলা হবে! তিনি শক্তিশালী দলের সঙ্গে খেলতে চান। ওখানেও হিরো আলম থামবেন কি না আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। হিরো আলমকে নিয়ে ভদ্র, অভদ্রসমাজে কখন স্বস্তি ফিরবে তাও ঐ হিরো আলম জানে, নয়তো এক আল্লাহ মাবুদই জানে ভালো।

যদিও কিছু বুদ্ধিজীবি বলছেন সর্বশেষে সংসদের উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে আমাদের এই ভদ্রসমাজের মানসিকতাকে আরও উন্মোচিত করেছেন তিনি। আবার কেউবা বলছেন লেখাপড়া, ডিগ্রি, শিক্ষাগত যোগ্যতা ওয়্যালা চোর, বদমাইশ নেতা দিয়ে কি হবে? ওখানেই শেষ নয়, কেউবা স্বস্তির ঢেকুর ফেলবেন অনেকেই এটা ভেবে যে অশিক্ষিত ভাগ্য মডেল হিসেবে। যদি সত্যি সত্যিই তিনি এমপি হয়ে যান, হ্যাঁ হিরো আলমকে জীবন সংগ্রামের বিরল সফল ব্যক্তি হিসেবে পাঠ নেয়া যেতে পারে; তার মানে এ নয় যে সকল ক্ষেত্রে, সফলভাবে এবং সমানভাবে জনকল্যাণে হিরো আলম সকলকে পাঠ দিতে পারবেন, পারবেন কি!

হিরো আলমের কাছে পাঠ নিতে পারেন জাস্ট কিছু স্পর্শকাতর বাক্য দিয়ে, এবং এসব বিষয়ে শিক্ষা নেওয়ার বিষয়টি হিরো আলম ভালো জানেন। তিনি মিডিয়াতে অহরহ বলেছেন, ‘শিক্ষিত সমাজের কিছু লোক আছেন, যাঁরা আমাকে মেনে নিতে চান না। তাঁরা মনে করেন, আমি পাস করলে বাংলাদেশের সম্মান যাবে। আমরা এত শিক্ষিত, হিরো আলমের মতো মূর্খকে স্যার ডাকতে হবে। এ জন্য তাঁরা আমাকে মানতে চান না।’

যদিও হিরো আলমের এসব অভিযোগ আমরা অস্বীকার করতে পারবো না। হিরো আলমের অভিযোগ যেমন অস্বীকার করারও উপায় নেই; তেমনি হিরো আলমের সামান্য যোগ্যতা দিয়ে কাজে প্রমাণ না করা পর্যন্ত হিরো আলমকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করার যৌক্তিকতা নেই। আমরা যারা হিরো আলমের সাংসদ হবার যোগ্যতা প্রশ্নে, এটা সমাজের কণ্ঠহীন, অবয়বহীন আর ক্ষমতাহীন মানুষদের প্রতি আমাদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য বলে বাহব্বা দিচ্ছেন, হিরো আলম এমন সুবিধাবঞ্চিত সমাজ থেকে উঠে এসেছে তাঁর কণ্ঠ, চেহারা, এমনকি ক্ষমতা আমাদের দেখাতে পারছেন সদর্পে, এটা সহ্য হয় না মনে করছেন তাদের জন্য বলি, কোথায় আমরা বরং আমরা অভিযোগ করবো যে, হিরো আলম রুচিহীন ও নিম্নমানের, তাঁর গান ও অভিনয় সহ্য করা যন্ত্রণাদায়; সেখানে তাঁর পক্ষ নিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেবার দু:সাহস যুগিয়ে যাচ্ছি। হিরো আলমের অযোগ্যতাকে আপনারা আমরা আবেগের তাড়নায়, জেনেশুনে জনসম্মুখে স্বীকৃতি দিয়ে, এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে অন্যকেও করতে উৎসাহিত করছিনাতো!

হিরো আলম সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আমাদের যে বিষয়গুলো ভেবে দেখা উচিত, যেমন- তিনি সাংসদ তাহলে যে দায়িত্ব অর্পিত হবে তা পালন করতে আদৌ পারবেন কি না, এমন যোগত্য তাঁর আছে কি না- তা ভালো করে বিবেচনা করুন। একজন সাংসদের আসলে কাজটা কি – দেশের আইন বিভাগ হিসেবে আইন প্রণয়ন সংসদ সদস্যদের প্রধান কাজ হলেও রাষ্ট্রের যেকোনো অভ্যন্তরীণ কিংবা আন্তরাষ্ট্রীয় বিষয়ে সরকারি নীতি নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা-সমালোচনা হওয়ার জায়গা সংসদ। সংসদের আলোচনার মাধ্যমে একটা রাষ্ট্রের আইন তৈরি এবং রাষ্ট্রীয় নীতি ঠিক হওয়ার কথা। অন্তত তাত্ত্বিকভাবে সংসদীয় গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সংসদই সব রকম কর্মকাণ্ড পরিচালনার মূল কেন্দ্রবিন্দু। এহেন আমরা খুব সহজে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছি কোন একজন সংসদ সদস্য যখন সংসদে যান, তাঁর জানা থাকার কথা যে তিনি আইন প্রণয়ন এবং রাষ্ট্রীয় নীতি পর্যালোচনা এবং সংশোধনে সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখবেন। সংসদের রাষ্ট্রের নানা বিষয়ে আইন তৈরি হবে। দ্বিমত প্রকাশ করতেও পারবেন। আসল কথা হলো, উত্থাপিত বিলে তিনি পক্ষে না বিপক্ষে, ভোট দেবেন, সেই সিদ্ধান্ত স্বাধীনভাবে দেওয়ার জন্য বিলটি সম্পর্কে তাঁর যথেষ্ট ধারণা প্রয়োজন হবে। সংসদে গিয়ে সত্যিকারের সংসদ সদস্য হয়ে উঠতে হবে।

সর্বপরি সংসদে নির্বাচিত সদস্যরা যে একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড থেকেই আসুক না কেন, প্রতিটি বিষয়ে তাঁদের মৌলিক ধারণা নিতেই হবে। না হলে তাঁর পক্ষে স্বাধীনভাবে কোনো বিলের পক্ষে কিংবা বিপক্ষে অবস্থান নেয়া কঠিন হবে। অপর দিকে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং আন্তর্জাতিক ভূরাজনৈতিক ইস্যুতে দেশের অবস্থান কেমন হবে, সেটার জন্য একজন সংসদ সদস্যকে এসব বিষয়েও যথেষ্ট ধারণা রাখতে হবে। সেটার ভিত্তিতেই এসব ক্ষেত্রে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের পক্ষে কিংবা বিপক্ষে, ভূরাজনৈতিক অনেকে বিষয়ে গঠনমূলক অবস্থান নিতে হবে। অর্থাৎ সংসদে অনেক বিষয়ে আলোচনা হবে সে বিষয়ে কিছু না কিছু মৌলিক ধারণা থাকা অবশ্যক, কিন্ত সে এটা বলতে পারবেন না, এ বিষয়ে তাঁর কোন ধারণা নেই। সর্বোপরি একজন সংসদ সদস্য যেহেতু আইনপ্রণেতা, তাই তাঁর পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান থাকতে হবে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন, সংবিধান সম্পর্কে। এ ক্ষেত্রে আমি আইনজ্ঞ কিংবা সংবিধানবিশেষজ্ঞ নই, এ কথা বলার কোনো সুযোগ নেই।

হিরো আলম যেভাবে সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁর গান, আর অভিনয় দেখতে না চাইলেও পরোক্ষভাবে দেখতে মানুষকে বাধ্য করছেন, এও মিথ্যে নয়। আর গান, অভিনয় আর সংসদের ভূমিকা বিষয়টি এক নয়। হিরো আলম গান, অভিনয় না পারলেও উনি বলেই ফেলেন যে, ওঁরা পারলে আমিও পারবো। কথার কথায় হিরো আলম সবই করতে পারবেন, অর্থাৎ পারেন না বলে তাঁর অভিধানে কোন শব্দ নেই। এসব শাখায় তিনি গ্রহণযোগ্য কোন কিছুই কিন্ত করতে পারেন নি, দেখাতে পারেননি এখনো। হিরো আলমের ’আমিও পরি’ এবং ‘পারার’ বিষয়টি এখনো প্রুফ নয়, ভবিষ্যতেও পারবেন এর কোন নিশ্চয়তা নেই, সে দিতে পারবেন না। পারলে আমাকে তখন বিশ্বাস করতেই হবে যে তিনি আসলেই যা মুখে বলেন তা বাস্তবেও করতে পারেন। এখনই হিরো আলম ‘আমি পারবো, আমিও পারি’ বলে জনগণের সঙ্গে মিথ্যাচার করছে। একজন সাংসদ, কিংবা জনপ্রতিনিধি হলে আজকের এই হিরো আলম কতশত মিথ্যে বলবে, সেও আট দশটা নেতার মতোন হরহামেশায় মিথ্যে বলতে পারে হয়তো তা সময় বলে দিবে আমাদের।

আমার ব্যক্তিগতভাবে আরও প্রশ্ন জাগে, কিছুদিন আগেও হিরো আলমকে নিয়ে যে সোশ্যাল মিডিয়া চোখ উল্টিয়ে কথা বলতো, আজ সেসব সোশ্যাল মিডিয়া বিনয়ের চোখে তাঁর পক্ষে কথা বলেন। তাঁর পক্ষে কথা বলেন আরও কিছু এলিট শ্রেণীর মানুষও। বিষয়টি ভাবতে অবাক করে আমাকে বৈকি! নাকি বলবো এক হিরো আলমের জন্য বাংলাদেশের সকল মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গেছে, বদলে গেছে কি!

এহেন আমার শেষ কথা হলো, হিরো আলম বলেছেন তিনি নেতা হয়ে দেশের সেবা করবেন। এর জন্যে তিনি ভোটে নির্বাচন করছেন। তিনি ব্যতিক্রম এবং ভালো নেতা হবেন। খুব ভালো কথা। যাতে তাঁকে মানুষ অনুসরণ করেন। যদি তাই হয়, ভালো কাজ, অথবা অনুসরণ করার পৃথিবীতে অনেক উপায় রয়েছে। অনেক ভাবেই উদাহরণ তৈরি করা যায়। সমাজে রাষ্ট্রে রোল মডেল বা আইকন হওয়া যায়। মোদ্দা কথা, আপনার যদি আলু পটল বিক্রির যোগ্যতা থাকে; তাহলে আলু পটল বিক্রি করে কোটিপতি হোন, সমাজ সেবা করেন। কোটিপতি হতে, সমাজ সেবা করতে আপনার কোন বাধা নেই, দেখি না। আলু পটলের যোগ্যতা দিয়ে সাংসদ, মন্ত্রী হবার, দেশ পরিচালনা স্বপ্ন আপনার সঙ্গে যায় না এটা প্রত্যেককে বুঝতে হবে। সে লজ্জা আপনার নয়, তা হবে দেশ এবং জাতির। সেটি বুঝার যোগ্যতাও আপনার থাকতে হবে। আলু পটল বিক্রি করে কোটিপতি হয়ে দেশ ও দশেরও সেবা করা যায়, যদি আপনার সে ইচ্ছা থাকে। সে জন্য আপনাকে এমপি, মন্ত্রী, নেতা হতেই হবে এমনও নয়। বেশির ভাগ এমপি, মন্ত্রী, নেতা হয়ে তাঁরা কি দায়িত্ব পালন করেন তা আমাদের অজানা কিছু নয়।

সংবিধানে নির্বাচন করার অধিকার নিশ্চিত হলেও আপনাকেই নিশ্চিত হতে হবে যে, সে দায়িত্ব বা কাজ করার যোগ্যতা আপনার মধ্যে রয়েছে কি না। মানুষ হিসেবে, দেশের নাগরিক হিসেবে ভাত কাপড়ের অধিকার সমান হতে পারে; কিন্ত ক্ষেত্র বিশেষে, পেশাদারিত্বে পার্থক্য এবং সেটি যোগ্যতার ভিক্তিতে নির্ণয়মান হয় এবং হওয়া উচিত। নিজের অধিকার নিশ্চিত করতে গিয়ে দেশ ও দশের ক্ষতি করবেন না, অযোগ্য বিষয়টি নিয়ে নিজেই হাসির পাত্র হবেন না। ‘তেজপাতা’ নাম দিয়ে সকল কাজে তেজ দেখিয়ে লাভ নেই। আপনি হিরো আলম যা পারেন তা করে যান, সময় বলে দিবে আপনি হিরো আলম আসলে কি পারেন, আর কি পারবেন না। এ হিরো আলম যদি এ দেশের প্রান্তিক মানুষের জন্য অদম্য আইকন হন, সত্যিকার হিরো হিসেবে তাঁদের ‘স্যার’ বলতে, স্যালুট দিতেও কারোর অসুবিধা থাকার কথা নয়।

আপনাদের প্রতি আমার ব্যক্তিগত প্রশ্ন হলো- যদি এমন কোন গুণ হিরো আলমের মধ্যে নাই থাকে; তাহলে হিরো আলম এমন কি যাদু ভেলকিতে সেই আপনি আপনারা তাঁর ভালোবাসায় মজে গেলেন, সে এক হিরো আলমের প্রতি আপনি কেন এতো সহানুভূতিশীল, সংবেদনশীল হবেন! হিরো আলমের কিছু যোগ্যতা আগে প্রমাণীত হোক, তবেই না বলতে পারবেন ‘তেজপাতা’ নাম হয়েছেতো কি, এবার সে তেজপাতার তেজ দেখে যাও। তখন তেজপাতার তেজ দেখতে, মানতে কারোর অসুবিধা থাকার কথা নয়। শুধু হিরো আলম নয়, সংসদে এমন অযোগ্য ব্যক্তি যাঁরা রয়েছেন তাঁদের প্রতিও এটি সুস্পষ্ট বার্তা দেয়, দেয় কি ! হিরো আলমের অদম্য ব্যর্থ প্রচেষ্টাকে আমরা আপনারা যারা আইকন মনে করছেন  আপনাদের বিবেচনাবোধ নিয়ে প্রশ্ন জাগা অস্বাভাবিক কিছু নয়! এক হিরো আলমকে বাহবা দিয়ে দেশের ইমেজের বারোটা বাজাচ্ছেনাতো !

লুই সাংমা

সাংস্কৃতিক কর্মী, ফ্রান্স।

 

 

 

 

The post is published by আবিমা টাইম নিউজ at The Abima Times 24 News - .

]]>
4442
‘ক্ষুদ্র’র মিশেলে বিশাল একটি আদিবাসী সমাজ গড়ে উঠুক- বাপন নেংমিঞ্জা https://theabimatimes24news.com/%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a7%81%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a7%87%e0%a6%b2%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a6%be%e0%a6%b2/?utm_source=rss&utm_medium=rss&utm_campaign=%25e0%25a6%2595%25e0%25a7%258d%25e0%25a6%25b7%25e0%25a7%2581%25e0%25a6%25a6%25e0%25a7%258d%25e0%25a6%25b0%25e0%25a6%25b0-%25e0%25a6%25ae%25e0%25a6%25bf%25e0%25a6%25b6%25e0%25a7%2587%25e0%25a6%25b2%25e0%25a7%2587-%25e0%25a6%25ac%25e0%25a6%25bf%25e0%25a6%25b6%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25b2 Mon, 08 Aug 2022 20:43:46 +0000 https://theabimatimes24news.com/?p=4020 The post ‘ক্ষুদ্র’র মিশেলে বিশাল একটি আদিবাসী সমাজ গড়ে উঠুক- বাপন নেংমিঞ্জা appeared first on The Abima Times 24 News.

 ত্রি-সীমানায় পিকনিক স্পট নির্মাণ বন্ধের দাবি, বাড়ির বিজাতি প্রতিবেশিকে নিজের সঠিক পরিচয় প্রদান, স্কুলে – অফিসে উপজাতি কিংবা ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী ডাকের প্রতিবাদ কিংবা নেতৃত্বে থাকা আদিবাসী ব্যাক্তি বর্গকে রাষ্ট্রের অগোচরেই আদিবাসী শব্দটি সবার কানে পৌছে দিতে হবে। শুধু রাজপথ নয় বাড়িতে থেকেও দুজন মানুষের অভিমত চিন্তাধারা বদলিয়ে আমাদেরকে এই আন্দোলনের দীর্ঘপথে সামিল হতে হবে। […]

The post is published by আবিমা টাইম নিউজ at The Abima Times 24 News - .

]]>
The post ‘ক্ষুদ্র’র মিশেলে বিশাল একটি আদিবাসী সমাজ গড়ে উঠুক- বাপন নেংমিঞ্জা appeared first on The Abima Times 24 News.

 ত্রি-সীমানায় পিকনিক স্পট নির্মাণ বন্ধের দাবি, বাড়ির বিজাতি প্রতিবেশিকে নিজের সঠিক পরিচয় প্রদান, স্কুলে – অফিসে উপজাতি কিংবা ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী ডাকের প্রতিবাদ কিংবা নেতৃত্বে থাকা আদিবাসী ব্যাক্তি বর্গকে রাষ্ট্রের অগোচরেই আদিবাসী শব্দটি সবার কানে পৌছে দিতে হবে। শুধু রাজপথ নয় বাড়িতে থেকেও দুজন মানুষের অভিমত চিন্তাধারা বদলিয়ে আমাদেরকে এই আন্দোলনের দীর্ঘপথে সামিল হতে হবে।

সম্ভবত ২০১৭ সালের প্রথম দিকের কথা। ঝালকাঠি জেলায় বিটিভির একটি রিয়েলিটি শোর শুটিং এ সিনেমাটোগ্রাফার হয়ে গিয়েছি। শুটিং ছিলো সেই জেলার একটি স্কুলে। দু’দিন কঠোর পরিশ্রম শেষে শুটিং শেষ করেছি। এবার স্কুলের হেডমাস্টারসহ স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে ধন্যবাদ মূলক একটি আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ঢাকা ফিরবো। এই সময় হঠাৎ আমি এবং আমার সাথে থাকা কয়েকজন আদিবাসী চেহারার দিকে ইশারা করে প্রধান শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীদের বললেন, ‘এই যে তোমরা অনেক উপজাতিদের কথা শুনেছ তাই না? এরাই হল সেই উপজাতি’। কথাগুলো শুনে আমার তেমন কোন রিয়েকশন হয়নি। হয়নি কারণ এই রিয়েকশন না হওয়াটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। সরকার আমাকে দেখিয়ে পুরো দেশবাসীকেই এই কথাটা বিভিন্ন জায়গায় বলেছে আমরা উপজাতি, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী ইত্যাদি।

এখন প্রশ্ন যদি আমাকে কেউ করে ভাই এখানে রিয়েকশন হওয়ার কি আছে? শুধু তখনই আমার উত্তর দেওয়ার জায়গা থাকে আর সেটি হলো আমরা উপজাতি নই। আমরা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীও নই। আর কথার শেষে আমাকে বলতে হবে ‘আমি আদিবাসী’। কিন্তু আপনি হয়তো জানেন-ই না বাংলাদেশের অফিসিয়াল কোন কাগজপত্রে এই আদিবাসী শব্দ লেখা নেই। অফিসিয়াল বা রাষ্ট্র কর্তৃক আপনাকে ধরে বেঁধে দেওয়া হয়েছে নিজেকে বর্তমানে ক্ষুদ্র, নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী হিসেবে পরিচয় দিতে হবে। এই পরিচয় নাকচ করার শক্তি কিন্তু এই প্রান্তিক মানুষদের নেই। কারণ তাদের এই নামেই ত্রাণ নিতে হয়। ক্ষুদ্র, নৃ_তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী হিসেবেই সরকারী ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সাহায্য পেতে হয়। এই পরিচয়েই ক্লাস ওয়ান থেকে মাস্টার্স অবধি শিক্ষা গ্রহণ করতে হয়। আর পরিশেষে কেউ বিসিএস ক্যাডার হয়, কেউ হয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, কেউবা হয় বড় সরকারী চাকরীওয়ালা, আর এরা সবাই সরকারী কোষাগার থেকে বেতন তুলে, খায়, মারা যায়। আর নিউজ পেপারে তাদের মৃত্যুর পর সংবাদ লেখা হয় মারা গেলের ক্ষুদ্র, নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর একজন মেধাবী মানুষ। আর আমরাই সেই নিউজ দেখে খুশী হই এই ভেবে যে, যাক মানুষটার মৃত্যু সংবাদ পত্রিকায় গুরুত্ব দিয়ে ছাপা হয়েছে। এই যে ‘গুরুত্ব’ শব্দটি বললাম ! এই গুরুত্বের মধ্যেই সব রহস্য নিহিত আছে। কেন জানেন? সরকারও গুরুত্ব দিয়েই নজর রেখেছে দেশে যাতে আদিবাসী শব্দের দৌরাত্ব না বাড়ে। গুরুত্ব দেয় বলেই প্রতিবার আদিবাসী দিবসের আগে উনাদের নানা ধরণের নাটকের সম্মুখীন হতে হয় আমাদের।

গারো আদিবাসী মেয়ে, ছবি: ফিডেল ডি. সাংমা

এবার আসি এই বছরের আদিবাসী দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে। ‘ঐতিহ্যগত জ্ঞান সংরক্ষণ ও বিস্তারে আদিবাসী নারীদের ভূমিকা’ এই প্রতিপাদ্যের প্রথম অংশটা ঐতিহ্যগত জ্ঞান সংরক্ষণের ব্যাপারে বলা হচ্ছে। এখন সবচেয়ে বড় যে প্রশ্ন সেটি হলো কোন দেশের আদিবাসীদের ঐতিহ্যগত জ্ঞান সংরক্ষণে সেই দেশের সরকারের আচরণ কেমন হওয়া উচিত? সরকার তো বলছেনই দেশে আদিবাসী নেই। সুতরাং এই ঐতিহ্যগত জ্ঞান সংরক্ষণে আমরা নিজেরা যদি এগিয়েও আসি আমরা কতটুকু সফল হতে পারবো? সর্বোচ্চ পঞ্চাশ শতাংশ! আর বাকি অর্ধেক অর্থায়ন, পৃষ্ঠপোষকতা, আন্তর্জাতিক মহলের সাহায্যের অভাব, নিজেদের মধ্যে কিছু রাজাকার জাতীয় সরকার পন্থী আচরণ ইত্যাদির কারণে কখনোই সম্ভব হবে না। এই প্রতিপাদ্য বিষয় কিন্তু শুধু আজকের না। আদিবাসীদের পৃথিবীতে টিকিয়ে রাখার মূলমন্ত্র কিন্তু এখানেই নিহিত আছে।

সরকার যখন স্বীকারই করে না দেশে আদিবাসী আছে। কোন আন্তর্জাতিক মহল এগিয়ে এসে আমাদের হাত ধরতে পারবে না। আমরা পিছিয়ে পরা প্রান্তিক এই জনগোষ্ঠীর মানুষেরা নিজ পেটের দায়ে বিনা পয়সায় এই কাজে সময় ব্যয় করতে চাইবো না। তাহলে কি সব পথই বন্ধ? বন্ধ নয়। কিছু পথ কিন্তু অনেক আগে থেকেই খোলা আছে। রাষ্ট্রের অনুমোদিত কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে নিজেদের আদিবাসী ভাবা মানুষেরা চাইলেই নিজেদের স্বার্থ অন্যভাবে হাসিল করে নিতে পারে। কিন্তু সেইসব প্রতিষ্ঠানের গদিতে যারা বসে আছেন তারা আদিবাসী হলেও অনেকেই আদিবাসী বান্ধব নন বা সুযোগের সদ্ব্যাবহার করার প্রতি তাদের মনোনিবেশ নেই। তাদের দোষ দিয়েও তেমন লাভ নেই। কারণ গদিতে তারাই বসেছেন যাদেরকে উপরওয়ালারা মুখে ফুঁ দিয়ে ঝারফুক মেরে দিয়েছেন। সহজ কথায় দল করেন গদি পাবেন। আর দল করা মানে মেনেই নিচ্ছেন আপনি ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর একজন। সুতরাং যে লাউ সেই কদু। তবে শুধু প্রতিবাদের রাস্তাই খোলা থাকে। কিন্তু আমরা যে সব পন্থায় প্রতিবাদ করে অভ্যস্ত সেই সব প্রতিবাদ কি কোন কাজে আসছে? নাকি উল্টো আমাদের জন্য সমস্যা তৈরি করছে? একটি উদাহারণ দেই, ধরেন মন্টু মিয়া পুকুরে পাছ পালন করেন। উনি থালার ভাত শেষ না করতে পারলে প্রায়শই সেই ভাত পুকুরে ফেলে দেন যাতে মাছেরা খেতে পারে। কিন্তু একদিন ভুল করে তিনি ভাতের সাথে মাছের কাটা পুকুরে ফেলে দিলেন। পুকুরের মাছেরা বুঝতে পারল মন্টু মিয়া তাদের স্বজাতিকে ধরে ধরে প্রতিদিন আহার সারছেন। ব্যাস, শুরু হয়ে গেল মাছেদের আন্দোলন। ধরুন মাছেরা প্লেকার্ড, ব্যানার নিয়ে জল ছেড়ে ডাঙায় উঠে এলো আর মিছিল করতে শুরু করল তখন মন্টু মিয়ার আর কষ্ট করে জাল ফেলে মাছ ধরতে হবে না। উনি পুকুরের পার থেকে টপাটপ মাছ ধরবেন আর চুলায় চালান করে দেবেন। তাহলে কি মনে করেন মাছেদের এই আন্দোলনের কৌশল ঠিক ছিল? মোটেও না। বরং এই আন্দোলন তাদের জন্য সর্বনাশ ডেকে এনেছিল। আর আমাদের আন্দোলনও যদি এই রকম হয় তবে ভালো না হয়ে মন্দের আগমন নিশ্চিত।

আমরা প্রতিবার আন্দোলনে রাজপথে দাঁড়ায় অন্যদিকে রাজপথের লড়াকু মানুষেরা পরে যায় টার্গেটে। এদের জীবন যাত্রায় শুরু হয় দুর্যোগ। সুযোগে কিছু রাজাকার পক্ষ নেয় অপজিশন দলের সাথে। আর এক সময় আমাদের গোপন সব তথ্য চলে যায় তাদেরই হাতে যারা চায় না আমরা আমাদের অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকি। কেন মাছেরা যদি পুকুরে থেকেই প্রতিবাদ করা শুরু করত তবে সেই প্রতিবাদ মন্টু মিয়ার কর্ণগোচর না হলেও কি চুলায় পুড়ে মরতে হতো? হতো না। বরং মাছেরা সাবধান হয়ে বর্শির টোপ গিলা থেকে নিজেকে সংবরণ করে তাদের নিজেদের জন্য যৎসামান্য উপকার ডেকে আনতে পারতো। কথাটা এমনি বলছি না। পুকুরে থেকেই মানে ঘরে থেকেই আমাদের আন্দোলন শুরু করতে হবে। ত্রি-সীমানায় পিকনিক স্পট নির্মাণ বন্ধের দাবি, বাড়ির বিজাতি প্রতিবেশিকে নিজের সঠিক পরিচয় প্রদান, স্কুলে – অফিসে উপজাতি কিংবা ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী ডাকের প্রতিবাদ কিংবা নেতৃত্বে থাকা আদিবাসী ব্যাক্তি বর্গকে রাষ্ট্রের অগোচরেই আদিবাসী শব্দটি সবার কানে পৌছে দিতে হবে। শুধু রাজপথ নয় বাড়িতে থেকেও দু’জন মানুষের অভিমত চিন্তাধারা বদলিয়ে আমাদেরকে এই আন্দোলনের দীর্ঘপথে সামিল হতে হবে।

নারীদের ভুমিকার কথা যেভাবে প্রতিপাদ্যে বলা হয়েছে সে ক্ষেত্রে দেশ আসুক কিংবা না আসুক, এনজিও আসুক কিংবা না আসুক নারী শিক্ষাকে প্রসারিত করে সমাজের বিভিন্ন স্তরে নারীদের অবদান রাখতে জায়গা তৈরি করে দিতে হবে। আর সেটা আমাদের নিজেদেরই করতে হবে। জাতির কথা ভেবে স্বার্থের কথা ভেবে, মাঝে মাঝে স্বজন প্রীতি করে হলেও নারী নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে। শিক্ষাঙ্গনে আদিবাসী নারীদের পদচারণা আর নিজস্ব মাতৃভাষায় শিক্ষা ব্যবস্থাকে বেগবান না করলে আমরা আজীবন ক্ষুদ্রই থেকে যাবো।

আদিবাসী দিবস ২০২২ সফল হোক।

 

The post is published by আবিমা টাইম নিউজ at The Abima Times 24 News - .

]]>
4020
বাপন নেংমিঞ্জা –  ‘দেশে আদিবাসী নেই’ এই কৌতুক কতদিনের ?  https://theabimatimes24news.com/%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%aa%e0%a6%a8-%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%82%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%9e%e0%a7%8d%e0%a6%9c%e0%a6%be-%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b6%e0%a7%87-%e0%a6%86%e0%a6%a6%e0%a6%bf/?utm_source=rss&utm_medium=rss&utm_campaign=%25e0%25a6%25ac%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25aa%25e0%25a6%25a8-%25e0%25a6%25a8%25e0%25a7%2587%25e0%25a6%2582%25e0%25a6%25ae%25e0%25a6%25bf%25e0%25a6%259e%25e0%25a7%258d%25e0%25a6%259c%25e0%25a6%25be-%25e0%25a6%25a6%25e0%25a7%2587%25e0%25a6%25b6%25e0%25a7%2587-%25e0%25a6%2586%25e0%25a6%25a6%25e0%25a6%25bf Thu, 28 Jul 2022 22:59:23 +0000 https://theabimatimes24news.com/?p=3983 The post বাপন নেংমিঞ্জা –  ‘দেশে আদিবাসী নেই’ এই কৌতুক কতদিনের ?  appeared first on The Abima Times 24 News.

বাংলাদেশ সরকার সাম্প্রতিককালে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে যে, কোনভাবেই এই দেশে আদিবাসী শব্দ ব্যবহার করা যাবে না। রাষ্ট্র ডিরেক্টলি বলেছে আসছে আদিবাসী দিবসে কোনভাবেই এই শব্দকে ব্যবহার করে আইন লংঘন করা যাবে না। এখন আপনি যখন নিজেকে বহু বছর ধরে আদিবাসী ভেবে আছেন বা আদিবাসী হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিচ্ছেন সেখানে আপনার কি করার থাকতে পারে? […]

The post is published by আবিমা টাইম নিউজ at The Abima Times 24 News - .

]]>
The post বাপন নেংমিঞ্জা –  ‘দেশে আদিবাসী নেই’ এই কৌতুক কতদিনের ?  appeared first on The Abima Times 24 News.

বাংলাদেশ সরকার সাম্প্রতিককালে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে যে, কোনভাবেই এই দেশে আদিবাসী শব্দ ব্যবহার করা যাবে না। রাষ্ট্র ডিরেক্টলি বলেছে আসছে আদিবাসী দিবসে কোনভাবেই এই শব্দকে ব্যবহার করে আইন লংঘন করা যাবে না। এখন আপনি যখন নিজেকে বহু বছর ধরে আদিবাসী ভেবে আছেন বা আদিবাসী হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিচ্ছেন সেখানে আপনার কি করার থাকতে পারে? কি করার থাকতে পারে তার আগে কি করার নেই সেটি ভাবতে হবে। বাংলাদেশ ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনা করতে গেলে এই দেশকে কেউ আবিষ্কার করেনি। আমি বলতে চাচ্ছি আমেরিকাকে কলম্বাস যেভাবে আবিষ্কার করেছিলেন সেইভাবে এই দেশকে আবিষ্কার করার দরকার পরেনি। তারমানে বলাই যাচ্ছে এই দেশে বহু বহু বছর ধরেই মানুষের বসবাস ছিল এবং তাবৎ পৃথিবীর সবাই সেটা জানতো। তাহলে এই বহু বহু বছর ধরে এই দেশে কারা বসবাস করে আসছিল সেটিই আমাদের প্রধান প্রশ্ন। আর যে দেশের ভূখণ্ড এতটাই পুরনো সে দেশে আদিবাসী নাই কথাটিও অনেকটা জোকসের মতোন। এখন আপনি বলতে পারেন অনেক দিন ধরে বসবাস করলেই কি আদিবাসী হয়ে যায়? না হয় না। কিন্তু আদিবাসী হওয়ার যে শর্তগুলো জাতিসংঘ দিয়েছে তার সাথে কিন্তু এই দেশে বসবাসরত অনেক জনগোষ্ঠীরই মিল আছে। আচ্ছা এই বিষয় অনেক পুরনো তাই এই বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই না। কথা বলতে চাই একটি বিষয় নিয়ে সেটি হলো, এই দেশে যারা নিজেদের আদিবাসী বলছে তারা যদি আদিবাসী নাই হয়, তাহলে প্রকৃত আদিবাসী কারা সেটি চিহ্নিত করে দেওয়া উচিৎ রাষ্ট্রের। এই কাজ যদি সরকার করে দিতে পারে তবে বিচার বিশ্লেষণ, গবেষণা করে তারপর না হয় নিশ্চিত হওয়া যাবে আসলেই এই দেশে তারাই স্বীকৃত আদিবাসী হওয়ার যোগ্যতা রাখে।

আদিবাসী শিশু

আদিবাসী শিশু, ছবি: বাপন

সরকার বাহাদুর আর রাষ্ট্র এতদিন ধরে একটি কথাই বলে এসেছে তারা ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষ। ক্ষুদ্র শব্দটি কি অর্থে ব্যবহার হয়েছে সেটি বুঝা বড় দুষ্কর। এই পৃথিবীর বেশী শতাংশ আদিবাসীদের সংখ্যাই নগন্য। তারা সব দেশের বসবাসকারী লিডিং জনগোষ্ঠীর চায়তে সবখানেই অল্প মাত্র। সংখ্যা গননা করে যদি বাংলাদেশের মত ইতর যুক্তিকে কাজে লাগিয়ে অন্যান্য দেশের আদিবাসীদের নামকরণ করা হয় তবে পৃথিবীর সব দেশের আদিবাসীই শুন্য হয়ে যাবে। কিন্তু বড় প্রশ্ন হল আদিবাসীরা সব দেশেই সংখ্যায় কেন নগন্য? আদিবাসীরা সংখ্যায় নগন্য নয়। আদিবাসীরা মূলত একটি গাছের শিকড়ের মতোন। মাটির নিচে এদের বিস্তার কম এবং অল্পই দেখা যায় কিন্তু গাছের শাখা প্রশাখা মিলিয়ে আদিবাসীদের প্রভাব অনেক বড়। যেকোন দেশ বা ভূখন্ডে আদিবাসীরাই যেকোন জাতির প্রসারে পরোক্ষও প্রত্যক্ষভাবে অবদান রাখে। দেশের অতীত, বর্তমান, জলবায়ু, আবহাওয়ার তথ্য তাদের কাছেই গচ্ছিত থাকে। প্রযুক্তির অভাবে নুয়ে থাকা এই আদিবাসীদের সরল সহজ জীবন যাপনকে পুঁজি করে রিফিউজিরা সেখানে এসে রুটির লোভে, বন্দুকের নলের ডগায় কিংবা, খাবারের লোভে লুফে নেয় সব জ্ঞান। ভূখণ্ডের আদিম কৃষি ব্যাবস্থা, সার্ভাইব করার কায়দা কানুন তারা শিখে নেয় কৌশলে। তারপরই শুরু হয় রিফিউজিদের সেই এলাকায় উত্থান। এই উত্থানে যে ডালপালা গজায় সেটিই আমরা গাছের মত দেখতে পাই আর নীচে পরে থাকে শেকড়। সেই শেকড়কেই বাংলাদেশ এখন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বলছে।

এখন আসি প্রকৃতি আর আদিবাসীদের কথায়। দেশে ইদানিং রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা কমে গেছে। হিসাব মতে চিড়িয়াখানায় যতগুলো জলহস্তি আছে তার অর্ধেকও বাংলাদেশে আর রয়েল বেঙ্গল নেই। এখন রয়েল বেঙ্গল বাংলাদেশের অস্তিত্বে যেহেতু সংখ্যায় নগন্য আর সংখ্যায় বেশী হয়ে গেছে জলহস্তি তাহলে কি আপনি জলহস্তিকে বাংলাদেশের জাতীয় পশু বলবেন? ধরুন দেশে এখন যেহারে বিদেশি গাছ ইউকেলিপ্টাসের চাষ বেড়েছে তার চায়তে আম গাছের সংখ্যা খুবই নগন্য তাহলে কি আপনি ইউকেলিপ্টাসকে দেশের জাতিয় গাছ বলবেন? এই প্রসঙ্গ এনেছি একারনেই দেশের কিছু প্রভাবশালী মহল সংখ্যার হিসেব দিয়ে জাতির যেমন নামকরণ করছে তেমনি বিশ্বের দরবারে সেভাবেই তুলে ধরছে। অথচ দেশের জাতীয় পশুর অস্তিত্ব এতটাই হুমকির মুখে কিন্তু বিশ্বের সামনে এই রয়েল বেঙ্গলের নাম ভেঙে চালিয়ে দিচ্ছে। এই যে আমাদের জাতীয় পশুর সংখ্যার দিন দিন কমে যাওয়ার যে অবস্থা তেমনিই এই অবস্থার শিকার হচ্ছে দেশের আদিবাসীরাও। আদম শুমারিতো বিভিন্ন অজুহাতে তাদের সংখ্যাও কম দেখাচ্ছে আবার প্রকৃতপক্ষে বিতাড়িত হচ্ছে দেশ থেকেও। প্রকৃতির এই খেয়াল কিন্তু পুরনো নয়। আদিম সবকিছুই কমে যায় যখন সেখানে কৃত্রিম কিংবা পরদেশি-ভিনদেশি-ভিনজাতির রাজত্ব বৃদ্ধি পায়। বিশ্বাস না হলে যারা নিজেদের আদিবাসী ভাবা মানুষদের এলাকা ঘুরে আসুন দেখবেন সেখানে প্রকৃতি এখনও উত্তাল হয়ে নিজের পরশ ছড়াচ্ছে। বন এখনও বনই থেকে গেছে। পাহাড় এখনও উঁচু হয়েই দাঁড়িয়ে আছে। আপনারা যারা শহর থেকে পাহাড়ে ঘুরতে গিয়ে পাহাড়ের বিশালতা দেখে মুগ্ধ হন সেলফি তুলেন সেই বনের এই অবস্থা টিকে থাকার কারণ একটাই সেখানে এখনও আদিবাসীরা টিকে আছে। তারপরও আপনারা বাসায় এসে নিজেদেরকে আদিবাসী দাবি করেন। আদিবাসী শব্দ আওড়াতে নিয়ম বেধে দেন। এই লজ্জা কি আমাদের?

বায়ান্নতে বাংলাকে হারিয়ে যদি উর্দুকে রাষ্ট্র ভাষা মেনে নিতে হতো, একাত্তরে পাঞ্জাবি সেনাদের জুতার তলেই যদি পুর্ব পাকিস্তান থেকে যেতো তাহলে আপনারা বুঝতেন একজন আদিবাসীকে ক্ষুদ্র, উপজাতি, এইসব বলার কষ্ট কাকে বলে।

The post is published by আবিমা টাইম নিউজ at The Abima Times 24 News - .

]]>
3983
এমন ভণ্ডামির শেষ কোথায়?  https://theabimatimes24news.com/%e0%a6%8f%e0%a6%ae%e0%a6%a8-%e0%a6%ad%e0%a6%a3%e0%a7%8d%e0%a6%a1%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b6%e0%a7%87%e0%a6%b7-%e0%a6%95%e0%a7%8b%e0%a6%a5%e0%a6%be%e0%a7%9f/?utm_source=rss&utm_medium=rss&utm_campaign=%25e0%25a6%258f%25e0%25a6%25ae%25e0%25a6%25a8-%25e0%25a6%25ad%25e0%25a6%25a3%25e0%25a7%258d%25e0%25a6%25a1%25e0%25a6%25a6%25e0%25a7%2587%25e0%25a6%25b0-%25e0%25a6%25b6%25e0%25a7%2587%25e0%25a6%25b7-%25e0%25a6%2595%25e0%25a7%258b%25e0%25a6%25a5%25e0%25a6%25be%25e0%25a7%259f Thu, 02 Jun 2022 22:18:10 +0000 https://theabimatimes24news.com/?p=3820 The post এমন ভণ্ডামির শেষ কোথায়?  appeared first on The Abima Times 24 News.

ভন্ডদের কাছে হাজারটি অস্ত্র নেই। ফলে ভন্ড মানুষ কিন্তু ভয়ংকর রকমের সাহসী। এই সাহস কিন্তু সে একা তৈরি করেনি। এই সাহস কোন গ্যাং তৈরি করেছে। যে দেশে এখনও ভুত তাড়াতে ঝাড়ু পিটা করা হয়, চোর ধরতে চালপড়া খাওয়ানো হয়, সাপ কামড়ানো রুগিকে ওঝা ডেকে বিষ নামানোর চেষ্টা করা হয় সেই দেশে নতুন ইশা নবী জন্মাবেই। […]

The post is published by আবিমা টাইম নিউজ at The Abima Times 24 News - .

]]>
The post এমন ভণ্ডামির শেষ কোথায়?  appeared first on The Abima Times 24 News.

ভন্ডদের কাছে হাজারটি অস্ত্র নেই। ফলে ভন্ড মানুষ কিন্তু ভয়ংকর রকমের সাহসী। এই সাহস কিন্তু সে একা তৈরি করেনি। এই সাহস কোন গ্যাং তৈরি করেছে। যে দেশে এখনও ভুত তাড়াতে ঝাড়ু পিটা করা হয়, চোর ধরতে চালপড়া খাওয়ানো হয়, সাপ কামড়ানো রুগিকে ওঝা ডেকে বিষ নামানোর চেষ্টা করা হয় সেই দেশে নতুন ইশা নবী জন্মাবেই। সে দেশে আধুনিক এই ইশা নবীর ভক্তও বাড়বে।

তখন আমি ৮ম কি ৯ম শ্রেণির ছাত্র। মধুপুরের জলছত্রের কর্পোস খ্রিস্টি উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ি। প্রয়াত ফাদার তামস আজিম বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তখন ম্যাজিক দেখাতেন। সেখান থেকেই ম্যাজিসিয়ান হওয়ার প্রবল আকাঙ্খা জন্মেছিল আমারও। আমি অনেকগুলো ম্যাজিকের ভিতরের রহস্য নিজে নিজে উম্মোচন করা চেষ্টা করতাম। কিন্তু সফল হয়নি। অবশেষে ম্যাজিক শিখার বই কিনতে শুরু করলাম। স্টাডি রুমের ড্রয়ারে ছোট ছোট ম্যাজিক শিখার বই জমতে শুরু করল। অনেক কিছু শিখলাম কিন্তু কাউকে দেখিয়ে তাক লাগিয়ে দেওয়ার মত সাহস আমার হয়নি। দেখাতে গেলেই কোথাও না কোথাও তালগোল লেগে যেত। আবার কাউকে দেখতাম দুটা যদু মদু টাইপের ম্যাজিক জেনেই উলটো আমাকে তাগ লাগিয়ে দিতো। বিষয়টা আসলে শিখার না বিষয়টা প্রয়োগের। শিখা যায় কিন্তু প্রয়োগ করার বা উপস্থাপন করার স্কিল সবার থাকে না। কথাটা এই কারনেই বলছি হাত আর মগজের সুনিপুন কসরত ব্যাবহার করে আপনি শুধু মাত্র একটি ম্যাজিক শিখেই দশজনকে বিমোহিত করে দিতে পারেন। কিন্তু সেই কসরত যদি সুনিপুন ভাবে আপনি দেখাতে না পারেন তবে যতই ম্যাজিক জানা থাকুক না কেন কাজে আসবে না।

এখন বলি ভন্ডদের কথা। এরা আসলে কোন না কোন সেন্সিটিভ বিষয় নিয়ে আপনাকে মগজ ধোলাই দেবে। তার কাছে হাজারটি অস্ত্র নেই। আছে দু একটি যেটি সে সুনিপুন ভাবে আপনাকে বশ করে নিতে ব্যাবহার করতে পারে। একটা উদাহারণ দেই। আমি হুমায়ুন আহমেদের একজন বিগ ফ্যান। তাঁর বই সামনে যা পেয়েছি সেগুলো গাপুসগুপুস করে গিলেছি। তাঁর একটি বইয়ে একটা বিষয় লেখা ছিল জ্যোতিষী হয়ে উঠা কোন বিষয় না। কারো মনের কথা গরগর করে বলে দেওয়াটাও কোন বিষয় না। এই ধরুন আমি আপনার হাত দুবার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখে আপনার দিকে গম্ভির দৃষ্টিতে তাকালাম। তারপর বললাম, ভাই তোমার জীবনে কিন্তু অনেক বাধা বিপত্তি আছে; কিন্তু তুমি এখনও যুদ্ধ করে টিকে আছো। তারপর বললাম, আরে আপনার জীবনেতো অতিতে একটি বড় ঘটনা ঘটে গেছে দেখি ! তারপর আবার কিছুক্ষণ পর বললাম, ভাই আপনি আসলে এমন মানুষ আপনি যা চান মানুষেরা সেটা বুঝে না। আপনি কি সেটা আপনিই জানেন। আপনার ভবিষ্যতে আমি উজ্জ্বল নক্ষত্র দেখতে পাচ্ছি। আর- ব্যাস আপনি মাথা নাড়বেন; আর বলবেন, বাহ আপনি এতকিছু কিভাবে জানলেন? এরপরই লোকটা আপনাকে প্রচন্ড রকমের বিশ্বাস করে বসবে। কেন জানেন? এই পৃথিবীর সকল মানুষই নিজেকে রহস্যময় ভাবতে পছন্দ করে। এটি কিন্তু আমার কথা না হুমায়ুন আহমেদ এর কথা। এইভাবে একজন মানুষকে অনেক সহজেই হিপোটাইজড করা যায়। আর এই কৌশল কাজে লাগিয়ে একজন ভন্ড জুটিয়ে নিতে পারে আপনার মন। আর আপনি হয়ে উঠতে পারেন সেই ভন্ডের ভক্ত। এইভাবে এক ভক্ত আরেক জনকে ধরে আনে আবারও একই অস্ত্র চালায় ভন্ড আবারও বাড়ে ভক্তের সংখ্যা।

কত সাল ঠিক মনে পড়ছে না। তখন আমি বিভিন্ন অলৌকিক বিষয় বা গুজব ইত্যাদি নিয়ে মাথা ঘামায়। সংবাদ সংগ্রহ করি। তখনই একটি এলাকায় আরেকজন দাবি করে বসলেন তিনি যীশু খ্রীস্টের দর্শন পেয়েছেন। প্রতিদিন হাজার মানুষ তার কাছে ভীর করছেন সুস্থ হওয়ার জন্য। আমি ছুটে গেলাম সেই মানুষটার বাড়িতে। মানুষটা আমার বাবাকে চিনতেন আর আমি মিডিয়া কর্মী পরিচয় দেওয়ার কিছুটা অস্বস্তিতে পড়লেন। অনেক বলে কয়ে তার সাথে একান্ত আলাপের সুযোগ পেলাম। বাইরে হাজার ভক্তের ভীর উপেক্ষা করে আমি তার সাক্ষাৎকার নিতে শুরু করলাম। কিছুক্ষণ ডুমে গেলাম বিশ্বাস-অবিশ্বাসের মাঝ নদীতে। ছবি তুলে আর কথা রেকর্ড করে ফিরব তখন দেখলাম দর্শনপ্রাপ্ত মানুষটার বাড়িতে ক্রাউড কন্ট্রোলের জন্য স্বেচ্ছা সেবক দলও রাখা হয়েছে। তাদের সবার হাতে লাঠি। কি করব কি বলব না ভেবে মুচকি হাসি দিয়ে বাড়ি ফিরে এলাম। তিনি এমন কথাগুলো বললেন মনে হচ্ছিল আমিও তার প্রতি বিশ্বাস করে ফেলি। এই যে কথাগুলো এই কথাগুলো কিন্তু আসলেই তারা দর্শন থেকেই পেয়েছেন। দর্শন বলতে বহুদিনের কষ্টে অর্জিত কিছু ট্রিক্স । যে ট্রিক্স দেখতে আসা সব মানুষই খায় কিন্তু সবার পায়ুপথ দিয়ে বেড় হয়ে যায় না। আর যাদের পায়ুপথ সেগুলো বের করে দিতে পারে না তারা থেকে যান ভক্ত হয়ে।

হালুয়াঘাটের ইশা নবী বা খ্রীস্টানদের যীশুর কথা কেই বা না শুনেছে ! মানুষটা কিন্তু ভয়ংকর রকমের সাহসী। এই সাহস কিন্তু সে একা তৈরি করেনি। এই সাহস কোন গ্যাং তৈরি করেছে। হঠাৎ গ্যাং এর কথা বলার কারনও আছে। সেই যে যীশু দ্বারা দর্শন প্রাপ্ত ব্যাক্তিটির বাড়ি গিয়েছিলাম ! সেখান কার স্বেচ্ছা সেবকরা কিন্তু শুধু স্বেচ্ছা সেবকই ছিল না। তারা ধীরে ধীরে মানুষটিকে সাপোর্ট দিয়ে সত্য মিথ্যার যুদ্ধ বাধিয়ে দিয়েছিল। আর এই সন্দীপ রিছিল মানুষটাও বোধয় একা না। একা না দেখেই, আশেপাশে সাপোর্ট ছিল দেখেই, সফল কসরত কারবারি করেছে দেখেই কিছু ভক্তও জন্মে গিয়েছে। যে দেশে এখনও ভুত তাড়াতে ঝাড়ু পিটা করা হয়, চোর ধরতে চালপড়া খাওয়ানো হয়, সাপ কামড়ানো রুগিকে ওঝা ডেকে বিষ নামানোর চেষ্টা করা হয় সেই দেশে নতুন ইশা নবী জন্মাবেই। সে দেশে আধুনিক এই ইশা নবীর ভক্তও বাড়বে। তাকে জেলে ভরে রাখলে সে এও বলবে, মানব পুত্র যীশু যতবার জন্ম নিয়েছে তার ভাগ্যে শুধু অত্যাচার অনাচারই জুটবে। কারণ এই দাবিদার চালাক বান্দা জানে কেউ একদিন, কেউ না কেউ তার এই ভণ্ডামির বিপরীতে উচিত শিক্ষা দেবেই। লেখাটি পড়ে কোন ভক্তের হৃদয় ভেঙে দেওয়া গেলে মন্দ হবে কি?

লেখকঃ বাপন নেংমিঞ্জা
জুন ২, ২০২২

The post is published by আবিমা টাইম নিউজ at The Abima Times 24 News - .

]]>
3820
মধুপুরে আদিবাসী কৃষকের পেটে লাথি মেরে বঙ্গবন্ধু উন্নয়ন প্রকল্প আসলে কতটা যৌক্তিক? – লুই সাংমা https://theabimatimes24news.com/%e0%a6%ae%e0%a6%a7%e0%a7%81%e0%a6%aa%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%86%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a7%80-%e0%a6%95%e0%a7%83%e0%a6%b7%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%aa/?utm_source=rss&utm_medium=rss&utm_campaign=%25e0%25a6%25ae%25e0%25a6%25a7%25e0%25a7%2581%25e0%25a6%25aa%25e0%25a7%2581%25e0%25a6%25b0%25e0%25a7%2587-%25e0%25a6%2586%25e0%25a6%25a6%25e0%25a6%25bf%25e0%25a6%25ac%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25b8%25e0%25a7%2580-%25e0%25a6%2595%25e0%25a7%2583%25e0%25a6%25b7%25e0%25a6%2595%25e0%25a7%2587%25e0%25a6%25b0-%25e0%25a6%25aa Thu, 28 Apr 2022 08:03:58 +0000 https://theabimatimes24news.com/?p=3750 The post মধুপুরে আদিবাসী কৃষকের পেটে লাথি মেরে বঙ্গবন্ধু উন্নয়ন প্রকল্প আসলে কতটা যৌক্তিক? – লুই সাংমা appeared first on The Abima Times 24 News.

একজন কৃষিমন্ত্রী হয়ে দেশের কৃষি উন্নয়নের কথা ভাববেন এটা মানা যায়। বোধকরি জনগণও মানবেন। কিন্ত দেশের আবাদী জমিতে (ধানক্ষেত) প্রমোদের জন্যে কৃত্রিম লেক খনন করে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি ধরে রাখতে হবে এমন আজব চিন্তার উন্নয়ন যিনি করেন, ভাবেন; যিনারা প্রকল্পটি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাদের উন্নয়ন কর্মকান্ডকে ঠান্ডা মাথায় ভাবতে গেলে আমার ভয়ঙ্কর খটকা লাগে। আপনাদের লাগে […]

The post is published by আবিমা টাইম নিউজ at The Abima Times 24 News - .

]]>
The post মধুপুরে আদিবাসী কৃষকের পেটে লাথি মেরে বঙ্গবন্ধু উন্নয়ন প্রকল্প আসলে কতটা যৌক্তিক? – লুই সাংমা appeared first on The Abima Times 24 News.

একজন কৃষিমন্ত্রী হয়ে দেশের কৃষি উন্নয়নের কথা ভাববেন এটা মানা যায়। বোধকরি জনগণও মানবেন। কিন্ত দেশের আবাদী জমিতে (ধানক্ষেত) প্রমোদের জন্যে কৃত্রিম লেক খনন করে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি ধরে রাখতে হবে এমন আজব চিন্তার উন্নয়ন যিনি করেন, ভাবেন; যিনারা প্রকল্পটি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাদের উন্নয়ন কর্মকান্ডকে ঠান্ডা মাথায় ভাবতে গেলে আমার ভয়ঙ্কর খটকা লাগে। আপনাদের লাগে কি না জানি না। আমার এমন লাগাটাই স্বাভাবিক। আমার মতোন শান্ত সুবোধ নাক চ্যাপটা চ্যাপা সুটকি খাওয়া নাখান্দা মানুষের মাথায় যদি ম্যাজিক কারেন্টের মতোন স্যুইচ দেয়ার আগেই বাতি জ্বলে, অর্থাৎ চ্যান্নত করে বিষয়টি ধরে ফেলে, আর আপনি ঘি মাখন খাওয়া নাক উঁচু মাথায় এটা খেলে না তা কি করে হয়!

মধুপুরের মধুবন নিয়ে কিছু বাঙালী অসাধু থেকে শুরু করে সরকার বাহাদুরও বহুদিন যাবত খেলছে। দৃশ্যত যা দেখি দেশের সকল আদিবাসী নিশ্চিহ্ন না করা পর্যন্ত আদিবাসীদের নিয়ে খেলার রাজনীতি কোনদিন বন্ধ হবার নয়। যার ফলে বৃটিশ পিরিড থেকে মধুপুরসহ বিভিন্ন আদিবাসী অঞ্চলে নানা প্রকল্পের আলামত পাওয়া যায়। আসলে সেটি উন্নয়ন প্রকল্প নয়, উন্নয়নের নামে সেখানকার আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলায় এর প্রধান এবং অন্যতম উদ্দেশ্য বললে একেবারেই অত্যুক্তি হবে না।

বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজরিত এলাকায় উন্নয়ন সংরক্ষণ প্রয়োজন। সেটাও না হয় মানলাম। কিন্ত যে উন্নয়ন কর্মকান্ড করতে গিয়ে সেখানকার জনগোষ্ঠীর স্বাভাবিক জীবন যাপন, জীবন বৈচিত্রকে মারাত্মক ব্যাহত করে, তাদের অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ঠেলে দেয় এমনসব প্রকল্পকে কোন প্রকল্পের ভাষায় উন্নয়ন প্রকল্প বলে সেটির ব্যাখ্যা আমাদের কারোর জানা নেই। আপনার (কৃষিমন্ত্রী) জানা থাকতে পারে। আপনি যদি একা জেনে থাকেন তাহলে সেখানকার সচেতন আদিবাসী জনগণকে নিয়ে প্রকল্প করার আগে বসুন। বিষয়টি সমাধা করুন। এরপর সঠিক সিদ্ধান্ত নিন। যেকোন টেকসই উন্নয়নকে তরান্বিত এবং বাস্তবায়ন করতে হলে সেখানকার জনগোষ্ঠীকে সম্পৃত করুন। আপনি সেখানকার আদিবাসীদের পাশকাটিয়ে আবার সেই আদিবাসীদের আবাদী জমিতে প্রকল্প করবেন, বঙ্গবন্ধুর নামে অমুক তমুক করেন; এমন উন্নয়নের ভাষা সেখানাকার আদিবাসীরা বুঝে না, বুঝবে না তা ভাবলে আপনি বড় ভুল করছেন। আপনাদের মতোন সরকারের উন্নয়নের ভাষা সকল আদিবাসী জনগণের তর তর করে মুখস্ত হয়ে গেছে।

আদিবাসী গারোদের মুখস্ত হয়ে গেছে মধুপুর গড়াঞ্চলে ১৯২৭ সালের ভূমি সমস্যা। ১৯২৭ সালের উপনিবেশিক বন আইনের ৬ ধারার মাধ্যমে তৎকালীন পূর্ববঙ্গীয় বন বিভাগ ১৯৫৫ সালের ফরেস্ট গেজেট। ১৯৬২ সালে আইয়ুব খান ও মোনায়েম খানের আমলে স্থানীয় গারোদের উচ্ছেদের জন্য ‘জাতীয় উদ্যান’নাম দিয়ে বিশ হাজার আটশো সাতাশ একর শালবনে কাটা তারের বেড়া। ১৯৭৮ সালে টেলকি গ্রামের দক্ষিণে নয়াপাড়া পুরো গারো গ্রাম উচ্ছেদ করে সে এলাকায় প্রতিষ্ঠা করা হয় বিমান ফায়ারিং রেঞ্জ। ১৯৮৯ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সহায়তায় ‘উডলট বাগান’ করার প্রকল্প। উডলট বাগান হল মধুপুর গড় এলাকার শালবন বা দীর্ঘ মেয়াদে বেড়ে উঠা প্রাকৃতিক বনজ গাছ নিধন করে বিদেশি ইউকেলিপটাস প্রজাতির গাছ লাগানো। দিবালোকে উজার করা হয় প্রাকৃতিক শালবন। ফলে কেউ ভুমি হারায়, কেউবা আবার ৪০ শতাংশ লাভের আশায় নিজের ভূমি তুলে দেয় বনবিভাগকে। ২০০০ সালে মধুপুরে ইকোপার্ক নির্মাণের পদক্ষেপ গ্রহণ করে দেশের বনবিভাগ। বিশ্বব্যাংক ও এশিয়ান ব্যাংকের কাছ থেকে সাহায্যের সংবাদ পাওয়ার পর মধুপুরের শালবনে ৪৭৮ বর্গকিলোমিটার ব্যাপী ইকোপার্ক স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। যেখানে থাকবে ছয়টি ব্যারাক ও ১০টি পিকনিক স্পট। ১৯৮৬ সালের টাঙ্গাইল জেলার মধপুরের পীরগাছায় তিন হাজার একর জায়গা জুড়ে গড়ে তোলা হয় রাবার বাগান। এখানে প্রায় ১ লাখ ৫৫ হাজার রাবার গাছ রয়েছে। এখানে গারোদের জমাজমিও দখল হয়েছে রাবার বাগান তৈরিতে। সম্প্রতি বন বিভাগ বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় ‘সাসটেইনেবল ফরেস্ট অ্যান্ড লাইভলিহুড’ বা সুফল প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এছাড়া ‘মধুপুর জাতীয় উদ্যানের ইকোটুরিজম উন্নয়ন ও টেকসই ব্যবস্থাপনা’র আওতায় বন বিভাগ স্থানীয় মানুষের ভূমিতে সীমানা প্রাচীরসহ আরবোরেটাম বাগান, দ্বিতল গেস্টহাউস, ভূগর্ভস্থ জলাধার নির্মাণসহ নানা স্থাপনা নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন। ২০২০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর আরেকটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটায় বনবিভাগ। শোলাকুড়ি ইউনিয়নের পেগামারি গ্রামে বংশপরম্পরায় জমি ভোগকারী বাসন্তী রেমার ৪০ শতাংশ জমির পাঁচশ’কলাগাছ কেটে ফেলে বনবিভাগ…..ইত্যাদি ইত্যাদি অর্থাৎ মধুপুর গড়াঞ্চলের ইতিহাস পড়ে, এ অঞ্চলে বনবিভাগ কর্তৃক সকল উন্নয়নের গাণিতিক এবং জ্যামিতিক সূত্র পড়তে পড়তে আদিবাসীরা মুখে ফেনা তুলে ফেলেছে। সুতরাং আপনার সরকারের প্রকল্পের ভাষা বুঝা কঠিন কোন বিষয় নয়; বরং আপনারা ক্ষমতা বলে, জোর জবরদস্তি করে আদিবাসীদের অধিকার বিষয়ে সাংঘর্ষিক যে সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড করছেন সেখানকার আদিবাসীদের জন্য বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে আপনি/ আপনারা তা কি বুঝতে পারেন?

দোখলা লেক প্রকল্প ২০২২

ছবি: দ্বিতীয় দফায় টাঙ্গানো লেক প্রকল্পের ব্যানার

দেশের সরকার যদি কোন এলাকায় প্রকল্প করতে চায় তাহলে সে এলাকার ভূমি অধিগ্রহণ করে এরপর সেটি বাস্তবায়ন করা আইনগতভাবে বৈধতা দেয়। কিন্ত মধুপুর এলাকার আদিবাসী মানুষ এমন প্রকল্প চায় না, যা জাতিসত্তার জন্যে হুমকি মনে করে; তাহলে সে আবাদী জমিতে জোর জবরদস্তি করে রাতের আঁধারে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দিয়ে সেখানকার নিরাপরাধ মানুষকে হয়রানি করছেন, বনবিভাগ অবৈধভাবে ভূমি দখল করতে চায় তা অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ারই নামান্তর। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা স্বপ্নের পরিপন্থী।

বাংলাদেশ স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি, পায়ের ধূলোকণা দেশের প্রতিটা অঞ্চলে থাকতে পারে এবং রয়েছে। তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রেখে বলছি, তাঁর পায়ের ধূলো থেকে শুরু করে সকল স্মৃতি চিহ্ন ধরে রাখতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় এমনসব স্থাপনা তৈরি করলে সংকোচিত আবাদী জমির অবশিষ্ট আর থাকে কী! আবাদী জমিতে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিস্তম্ভ এবং নানা স্থাপনা তৈরিতে ব্যবহার করে, আদিবাসীদের হুমকির মধ্যে ঠেলে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর মৃত আত্মা শান্তি পাবে কী? মোদ্দা কথা দেশের কৃষকের পেটে লাঠি মেরে কোন দেশের উন্নয়ন হতে পারে না। বঙ্গবন্ধুর সোনার দেশ গড়ার স্বপ্ন এমনটা বোধয় ছিল না। ফলে জুতসই এবং টেকসই উন্নয়নের কথা ভাবুন। আদিবাসীদের পেছনে ফেলে, শোষিত বঞ্চিত করে নয়। সমঅধিকার, সমউন্নয়নের কথা ভাবুন। বঙ্গবন্ধুর সোনার দেশ গড়ে তুলুন।

গত সোমবার সম্মিলিত আদিবাসী জনতার ব্যানারে মধুপুরের দোখলায় আয়োজিত সমাবেশের মধ্যে দিয়ে গারোদের জমিতে বন বিভাগের লেক খনন প্রকল্প না করার জোড় দাবি উঠে, এবং প্রকল্প বাতিল করাসহ আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে হয়রানি বন্ধ না করলে আরও কঠোর আন্দোলন করবে বলে কঠোর হুশিয়ারি দেন এলাকার আদিবাসী ছাত্র জনতা। আমি একজন শুধু আদিবাসী হিসেবে নয়, একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে এ আন্দোলনকে সমর্থন করি, আন্দোলন এবং প্রকল্প প্রতিহত করার যেীক্তিকতা দাবি করছি।

 

 

 

 

The post is published by আবিমা টাইম নিউজ at The Abima Times 24 News - .

]]>
3750
আহা, মাতৃভাষার প্রতি কি টান আমার ? – ফিডেল ডি সাংমা https://theabimatimes24news.com/%e0%a6%86%e0%a6%b9%e0%a6%be-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%83%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%b7%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a4%e0%a6%bf-%e0%a6%95%e0%a6%bf-%e0%a6%9f%e0%a6%be/?utm_source=rss&utm_medium=rss&utm_campaign=%25e0%25a6%2586%25e0%25a6%25b9%25e0%25a6%25be-%25e0%25a6%25ae%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25a4%25e0%25a7%2583%25e0%25a6%25ad%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25b7%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25b0-%25e0%25a6%25aa%25e0%25a7%258d%25e0%25a6%25b0%25e0%25a6%25a4%25e0%25a6%25bf-%25e0%25a6%2595%25e0%25a6%25bf-%25e0%25a6%259f%25e0%25a6%25be Fri, 18 Feb 2022 14:24:18 +0000 https://theabimatimes24news.com/?p=3657 The post আহা, মাতৃভাষার প্রতি কি টান আমার ? – ফিডেল ডি সাংমা appeared first on The Abima Times 24 News.

আহা, নিজ ভাষা সংস্কৃতির প্রতি কি ভালোবাসা আমার! না কি- আমি নিজেই আমার গারো মাতৃভাষাকে অবজ্ঞা করে চলেছি…? বাংলাদেশ বেতার ঢাকা কেন্দ্র থেকে গারোদের জন্য গারো ভাষায় “সালগিত্তাল” নামে একটি অনুষ্ঠানে “নাআদে গ্রংজাজক, আঙাদে রেআংনাজক, আংখো অক্কামথাইওবা আঙাদে সকবাজানাজক…” গানটি এক সময় খুব জনপ্রিয় গান হিসাবে বেশ জনপ্রিয় ছিলো, তেমনই গানটি আমারও গারো ভাষার জনপ্রিয় […]

The post is published by আবিমা টাইম নিউজ at The Abima Times 24 News - .

]]>
The post আহা, মাতৃভাষার প্রতি কি টান আমার ? – ফিডেল ডি সাংমা appeared first on The Abima Times 24 News.

আহা, নিজ ভাষা সংস্কৃতির প্রতি কি ভালোবাসা আমার! না কি- আমি নিজেই আমার গারো মাতৃভাষাকে অবজ্ঞা করে চলেছি…?
বাংলাদেশ বেতার ঢাকা কেন্দ্র থেকে গারোদের জন্য গারো ভাষায় “সালগিত্তাল” নামে একটি অনুষ্ঠানে “নাআদে গ্রংজাজক, আঙাদে রেআংনাজক, আংখো অক্কামথাইওবা আঙাদে সকবাজানাজক…” গানটি এক সময় খুব জনপ্রিয় গান হিসাবে বেশ জনপ্রিয় ছিলো, তেমনই গানটি আমারও গারো ভাষার জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে একটি। এ গানটির বাংলায় তর্জমা করলে অর্থটা এমন হবে- “তুমিতো দেখা করলে না, আমি যে চলে যাবো, পুনরায় ডাকলেও আমার আর ফেরা হবে না…”। শিল্পীর নাম সম্ভবত রবেতা ম্রং, তবে আমি নিশ্চিত নই, গীতিকারের নামও আমার জানা নেই (আসলে সে সময় উক্ত অনুষ্ঠানে গীতিকারের নাম বলতে শোনা যেতো না, শুধু শিল্পীর নাম ঘোষণা করা হতো); এমন কি এতো সুন্দর গানের কথাগুলোও ভুলে গেছি।
বাংলাদেশ বেতার ঢাকা কেন্দ্র থেকে প্রতি রবিবার বিকাল ০৫.০৫ টায় গারোদের জন্য গারো ভাষায় “সালগিত্তাল” নামে একটি অনুষ্ঠান হতো। হয়তো, এ অনুষ্ঠানটি এখনও প্রচার হয়, কিন্তু দেশ থেকে রেডিওর ব্যবহার প্রায় শেষ হয়ে গেছে/যাচ্ছে এবং আমি নিজেও রেডিও ব্যবহার করি না বলে গারো ভাষার অনুষ্ঠানটি আর শোনা হয় না। এই সালগিত্তাল অনুষ্ঠানটি শুনি না বলে গারোদের খবর শুনি না, চমৎকার হৃদয়কারা গানগুলো শুনি না। এক সময়ের অত্যন্ত জনপ্রিয় তারা নকরেক-এর গাওয়া “ও পান্থে মেথ্রারাং চুয়া সিম্মাকবো, মিকগিল নিছাবো নাসং খ্রেংথকরিমবো (অনুবাদঃ হে যুবক যুবতীরা জাগো, চোখ মেলো, সচেতন হও)” গানটি কতদিন ধরে শুনি না, গাই না। বলা যায়, জাতিকে চেতনাদায়ী এমন সব আমি/আমরা ভুলেই যাচ্ছি। আহা, নিজ ভাষা সংস্কৃতির প্রতি কি ভালোবাসা আমার!
১৯৫২, ২১শে ফেব্রুয়ারির ভাষা আন্দোলনে শহীদ আব্দুস সালাম, শহীদ রফিক উদ্দিন আহমদ, শহীদ আবুল বরকত, শহীদ আব্দুল জব্বার, শহীদ শফিউর রহমান, শহীদ অহিউল্লাহর প্রাণের বিনিময়ে বাংলা ভাষা এই দেশের রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাই, ফেব্রুয়ারি মাসটা হয়ে গেলো বাংলা ভাষার মাস। বিশেষ করে বাংলাদেশের মানুষ সারা বছর, সারা জীবন বাংলায় কথা বললেও এই ফেব্রুয়ারি মাস জুড়েই বাংলা ভাষার মাস হিসাবে সবার মুখে মুখে আলোচিত হয়, রেডিও টেলিভিশনে টক শো হয়, গান নাটক প্রচারিত হয়। মোদ্দা কথা, এই বাংলাকে এবং বাংলা ভাষাকে ভালোবেসে অত্যন্ত শ্রদ্ধাভরে ২১শে ফেব্রুয়ারির দিবসটি পালিত হয়। দিবসটির গুরুত্ব, তাৎপর্য আরো সহস্র গুণে বেড়েছে ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করার পর। সুতরাং ২১শে ফেব্রুয়ারির মাতৃভাষা দিবসটি এখন আর শুধু বাংলাদেশ বা বাংলাভাষীর নয়; বরং সারা বিশ্বের সকল দেশের সকল জাতির, সকল ভাষাভাষির। বিশেষ করে জাতিসংঘের সদস্যদেশসমূহের সকল ভাষাভাষির জনগণ নিজ নিজ মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধাভরে দিবসটি পালন করে এসেছে, এভাবে প্রতিবছরই পালন করবে, এবং করতেই থাকবে।
আমার দেশ বাংলাদেশ হলেও আমি জাতিতে গারো, আমারও একটা নিজস্ব ভাষা আছে; আমি আমার জন্মের পরথেকে মায়ের কাছথেকে যে ভাষা শিখেছি, বলে এসেছি এবং আমরা জাতিগতভাবে, সামাজিকভাবে, পারিবারিকভাবে আমি/আমরা আমাদের নিজস্ব ভাষা গারো ভাষা”-তেই কথা বলি। খুব মনে আছে, ছোটবেলায় ২১শে ফেব্রুয়ারির দিনে মা মাসীদের কোলে চড়ে শহীদমিনারে ফুল দিতে যেতাম। স্কুল কলেজথেকে শুরু করে বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের সাথে ভাষা দিবস পালন করেছি, অনেক সুন্দর সুন্দর অনুষ্ঠান করেছি। আজ ভাষার এই মাসে আমার মনে বারবার একটি কথাই উদয় হচ্ছে, আমি আমার জীবনে অনেক অনুষ্ঠান দেখেছি, নিজেও অনেক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছি এবং এরকম বেশ কিছু বড় বড় অনুষ্ঠানের দায়িত্বও আমি পালন করতে হয়েছে। কিন্তু আমি একজন গারো হিসাবে গারো ভাষার জন্যে কি কখনও অনুষ্ঠান করেছি? তা না হলে আমি যে গারো, আমার গারো মাতৃভাষাকে যে আমি শ্রদ্ধা করি, ভালোবাসি, লালন করি- এরইবা প্রমাণ কি? আমি দ্বিধাহীন স্বীকার করি- আমি কোনদিনই আমার গারো মাতৃভাষার প্রতি এমন শ্রদ্ধা, ভালোবাসা দেখাই নি বা দেখাতে পারি নি; হয়তো সেরকম সুযোগ পরিবেশ আমি পাই নি অথবা সুযোগ গ্রহণ করি নি। আহা, নিজ ভাষার প্রতি কি শ্রদ্ধা আমার!
আমি বারবার বলি, অত্যন্ত গর্ব করে বলি- আমি (বা আমরা) নাগরিক হিসাবে বাংলাদেশী হলেও আমার/আমাদের আলাদা পরিচয় আছে- আমি জাতিতে গারো, আমার মা গারো, আমার মাতৃভাষা গারো। আমি জন্মের পর আমার মায়ের মুখে গারো ভাষা শুনেছি, আমার মুখথেকে প্রথম যখন কথা ফুটেছে, আমি গারো ভাষায় মাকে “আমা”, বাবাকে “আপফা” বলে ডাক দিয়ে শুরু করেছি। শুধু তাই, গারো ভাষায় কাছথেকে বাঙ্গালীর যেমন ইতিহাস ঐতিহ্য রয়েছে, তেমনই আমার জাতি এবং ভাষারও রয়েছে আলাদা ইতিহাস ও ঐতিহ্য। “বাংআ জাবুচ্চুম দুখনি সাগাল বালজ্রোয়ে, সকবাজক চিঙা দাআল, রামা গিত্তালোনা (অনুবাদ- হাজার পাহাড় দুঃখ নদী পেরিয়ে, এসে গেছি আজ আমরা নতুন এক সীমানায়)”- গানের কথার রেশ ধরে আমরা কি আমাদের আদি ইতিহাস ঐতিহ্যকে স্মরণ করতে, ভালোবাসতে, শ্রদ্ধা করতে পারি না? এই ফেব্রুয়ারি মাসে বা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে একটিবার এক ঘন্টার জন্যে গারো ভাষাকে স্মরণ করতে, শ্রদ্ধা প্রদর্শণ করতে পারি না? তবে, অবশ্যই বাংলা ভাষাকে পাশ কাটিয়ে নয়। কারণ এই বাংলা ভাষার জন্যেই আমরা এবং বিশ্ববাসী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসটি পেয়েছে। প্রতি বছরই সারা বিশ্বের বিভিন্ন জাতি এবং ভাষাভাষির জনগণ সকলেই নিজ নিজ মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধাভরে দিবসটি পালন করছে, আমি কেন আমার গারো মাতৃভাষার জন্য দিবসটি পালন করি না? আমার মতে, বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষে বা সম্মিলিতভাবে নিজ নিজ এলাকায় যার যার সুবিধা অনুসারে সকলেই (অন্যান্য ভাষাভাষির লোকেরাও) নিজ নিজ মাতৃভাষাকে কেন্দ্র করে আলোচনা বা কোন অনুষ্ঠান করতে কেউ আমাদের বাঁধা দেবে না। আমার বিশ্বাস, আমরা নিশ্চয়ই নতুন চেতনা নিয়ে সমস্বরে গাইতে পারি- “জাতথাংনা খা.সাওদে, থাঙে রাখনা আমোদে, খু,সান অংবো আনো আদানে, আপসান অংবো আনো আদানে (যদি নিজের জাতকে ভালোবাসো, জীবনে যদি প্রতিষ্ঠিত হতে চাও, তবে সমবেত হও, একমত হও”। না কি- আমি নিজেই আমার গারো মাতৃভাষাকে অবজ্ঞা করে চলেছি…?

The post is published by আবিমা টাইম নিউজ at The Abima Times 24 News - .

]]>
3657
গারোদের জাতীয় মূল্যবোধ আজ কোন পথে? – ফিডেল ডি. সাংমা https://theabimatimes24news.com/%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%80%e0%a7%9f-%e0%a6%ae%e0%a7%82%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%ac%e0%a7%8b%e0%a6%a7-%e0%a6%86/?utm_source=rss&utm_medium=rss&utm_campaign=%25e0%25a6%2597%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25b0%25e0%25a7%258b%25e0%25a6%25a6%25e0%25a7%2587%25e0%25a6%25b0-%25e0%25a6%259c%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25a4%25e0%25a7%2580%25e0%25a7%259f-%25e0%25a6%25ae%25e0%25a7%2582%25e0%25a6%25b2%25e0%25a7%258d%25e0%25a6%25af%25e0%25a6%25ac%25e0%25a7%258b%25e0%25a6%25a7-%25e0%25a6%2586 Sun, 13 Feb 2022 23:33:25 +0000 https://theabimatimes24news.com/?p=3647 The post গারোদের জাতীয় মূল্যবোধ আজ কোন পথে? – ফিডেল ডি. সাংমা appeared first on The Abima Times 24 News.

কোন ব্যক্তি বা জাতির মধ্যে ভালো মন্দ উভয় দিকই থাকতে পারে। সোয়েটার শীতের সময়ের জন্য ভালো, কিন্তু গরমকালের জন্য অনুপযুক্ত। সেকারণে সময়ের কথা ভেবে নিত্য নতুন পোষাক তৈরী হয়। মনকাড়া (অথবা কারোর অপছন্দের) ডিজাইনের, ফ্যাশনের জিনিস তৈরী হয়ে থাকে। কোন ব্যক্তি চিন্তা-চেতনা, চাল-চলন, আচার-ব্যবহার এবং জাতীর সংস্কৃতি, রীতিনীতিও এমনই। অতীতে যা ছিলো, তাঁদের দৃষ্টিকোন থেকে […]

The post is published by আবিমা টাইম নিউজ at The Abima Times 24 News - .

]]>
The post গারোদের জাতীয় মূল্যবোধ আজ কোন পথে? – ফিডেল ডি. সাংমা appeared first on The Abima Times 24 News.

কোন ব্যক্তি বা জাতির মধ্যে ভালো মন্দ উভয় দিকই থাকতে পারে। সোয়েটার শীতের সময়ের জন্য ভালো, কিন্তু গরমকালের জন্য অনুপযুক্ত। সেকারণে সময়ের কথা ভেবে নিত্য নতুন পোষাক তৈরী হয়। মনকাড়া (অথবা কারোর অপছন্দের) ডিজাইনের, ফ্যাশনের জিনিস তৈরী হয়ে থাকে। কোন ব্যক্তি চিন্তা-চেতনা, চাল-চলন, আচার-ব্যবহার এবং জাতীর সংস্কৃতি, রীতিনীতিও এমনই। অতীতে যা ছিলো, তাঁদের দৃষ্টিকোন থেকে সেগুলোই তাঁদের কাছে উপযুক্ত, যৌক্তিক মনে হয়েছিলো। অথচ, আজ যা দেখছি, সময়ের বিবর্তনে সেগুলোই হয়তো আমাদের চোখে খারাপ, অনুপযুক্ত ভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে।

গারো সংস্কৃতি

কোন একটা পোস্টে বলেছিলাম, “সংস্কৃতি (কর্ষণ/কালচার) একটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রক্রিয়াগত সূত্রেই যুগে যুগে সে পরিবর্তনশীল। শুধু গারো জাতি/সমাজ কেন, পৃথিবীর সকল জাতি গোষ্ঠীর ক্ষেত্রে একইভাবে স্রোত প্রবাহিত। সেখানে উত্থান-পতন স্বাভাবিক; সাময়িক। আসলে আমরা কখন, কোনটাকে কম-বেশি গুরুত্ব দিবো, কোনটা কার মনে ইতিবাচক হয়ে প্রকাশিত হয়, এর উপর নির্ভর করে, সে ধারাটি কোনদিকে প্রবাহিত হচ্ছে।” অর্থাৎ সংস্কৃতির ধারানুযায়ী সে যুগে যুগে পরিবর্তন হতেই থাকবে। আবার এই ধারাটি ভেঙ্গে (অনেকটা জোর করে) হলেও যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এরকম অনেক কিছুরই পরিবর্তন করতে হতে পারে, তা বোধয় আমার সাথে একমত হওয়ার মতো মানুষও কম হবে না।

এবার আসল কথায় আসি। অন্যান্য জাতীর মতো গারোও একটা জাতি; যার আলাদা সত্তা, সংস্কার, রীতি-নীতি রয়েছে। কিন্তু অবস্থা দৃষ্টে যা মনে হচ্ছে- আজ গারো জাতীর লোকেরাই গারো জাতীর সত্তা, সংস্কার, রীতি-নীতিকে মোটের ওপর আর সহ্য করতে পারছেন না; যা একটা জাতীর স্বাভাবিক চলমান প্রক্রিয়ার অন্তরায়। শুধু তাই নয়, কতিপয় গারো ফেবুয়ানদের এবং তাদের সঙ্গীদের কথা/পোস্ট দেখে মনে হয়, তারা জীবনেও নিজেদের (এবং গারো জাতীর) মধ্যে ভালো কিছু কখনোই দেখেন নাই। যেকারণে যত্রতত্র জাতীর উপর অশ্রাব্য গালি উদগীরণ করে পুরো জাতিকে (নাকি নিজেকেই) অন্যদের কাজে হেয় করছেন। তারা এতটাই উন্মত্ত হয়েছেন যে, কোথায় কি/কোন মন্তব্য করতে হয়, সে জ্ঞানটাও যে হারিয়ে ফেলেছেন- তা বলাই বাহুল্য। তাদের প্রতি আমার অনুরোধ, উদার, নিরপেক্ষ, ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে সামনে পেছনে ভেবে কাজ করুন। এ গারো জাতি আমার, আপনার, সকলের। অনুরোধ নির্বিচারে জাতিকে হেয় করার প্রক্রিয়া বন্ধ করুন।

The post is published by আবিমা টাইম নিউজ at The Abima Times 24 News - .

]]>
3647
বর্তমান ওয়ানগালা সত্যিকার ওয়ানগালা নয়, এটা পলিটিক্স ওয়ানগালা- তর্পণ ঘাগ্রা https://theabimatimes24news.com/%e0%a6%ac%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8-%e0%a6%93%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%be-%e0%a6%b8%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%be/?utm_source=rss&utm_medium=rss&utm_campaign=%25e0%25a6%25ac%25e0%25a6%25b0%25e0%25a7%258d%25e0%25a6%25a4%25e0%25a6%25ae%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25a8-%25e0%25a6%2593%25e0%25a7%259f%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25a8%25e0%25a6%2597%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25b2%25e0%25a6%25be-%25e0%25a6%25b8%25e0%25a6%25a4%25e0%25a7%258d%25e0%25a6%25af%25e0%25a6%25bf%25e0%25a6%2595%25e0%25a6%25be Tue, 30 Nov 2021 11:14:06 +0000 https://theabimatimes24news.com/?p=3508 The post বর্তমান ওয়ানগালা সত্যিকার ওয়ানগালা নয়, এটা পলিটিক্স ওয়ানগালা- তর্পণ ঘাগ্রা appeared first on The Abima Times 24 News.

ফাদার বা বিশপ ইচ্ছে করলেই নিজের মনগড়া অনুষ্ঠান করতে পারে না। উপর ওয়ালার পারমিশন লাগে, তাইতো একি তারিখে একদিনে সব মিশনে ওয়ানগালা অনুষ্ঠান করে। উপর ওয়ালারাও বসে থাকে না কোন জাতির আদি সংস্কৃতির ভালো খারাপ হিসেব করে দেখে ভালোর দিক বিবেচনায় সংযোজন করে। গারোদের আদি পর্ব ওয়াগালায় ভালোর দিক খুঁজে পাওয়া যায়, নিজেদের কষ্টের ফলানো […]

The post is published by আবিমা টাইম নিউজ at The Abima Times 24 News - .

]]>
The post বর্তমান ওয়ানগালা সত্যিকার ওয়ানগালা নয়, এটা পলিটিক্স ওয়ানগালা- তর্পণ ঘাগ্রা appeared first on The Abima Times 24 News.

ফাদার বা বিশপ ইচ্ছে করলেই নিজের মনগড়া অনুষ্ঠান করতে পারে না। উপর ওয়ালার পারমিশন লাগে, তাইতো একি তারিখে একদিনে সব মিশনে ওয়ানগালা অনুষ্ঠান করে। উপর ওয়ালারাও বসে থাকে না কোন জাতির আদি সংস্কৃতির ভালো খারাপ হিসেব করে দেখে ভালোর দিক বিবেচনায় সংযোজন করে। গারোদের আদি পর্ব ওয়াগালায় ভালোর দিক খুঁজে পাওয়া যায়, নিজেদের কষ্টের ফলানো ফসল, প্রথম সৃষ্টি কর্তাকে উৎসর্গ দিয়ে তারপর নিজেরা খায়। এরকম ভালো নিয়ম অন্য জাতির সংস্কৃতিতে বেশী দেখা যায় না, তাই ক্যাথলিকেরা ওয়ানগালা নামের আগে আরো কিছু শব্দ সংযোজন করে যীশু খ্রীষ্টের নামে, খ্রীষ্ট রাজার পর্ব ওয়ানগালা নাম দিয়ে পালন করে।

গতকাল ফেসবুকে ঢাকা নকমান্দি থেকে প্রতাপ রেমা মেসেঞ্জারে ওয়ানগালার তারিখ আমন্ত্রণ পত্র ও প্রোগ্রাম পাঠিয়েছিল। ফেসবুকে লেখার কেন জানি ইচ্ছে হয় না, আগে ঢাকায় ব্রাদারেরা ওয়ানগালা করে শুরু করে প্রার্থনা, গান, বাইবেল পাঠ শেষে সংস্কৃতি আনুষ্ঠান। তারপর মেঘালয়ে যেতাম শত ঢামার ওয়ানগালা দেখতাম, মনমতো হতো না, তাই বিশিষ্ট লোকদের কাছে প্রশ্ন করতাম গারোদের ওয়ানগালা কি এরকমি? তারা সত্যি কথা বলল, এই আসিনাং জায়গার ওয়ানগালা সত্যিকার ওয়ানগালা নয়, এটা পলিটিক্স ওয়ানগালা। সরকার টাকা দেয়, বড় বড় নেতারা আসে, ওয়ানগালার সময় যে নাচ গান বা গ্রিগা মেসা হয় সেটাই দেখায়।

পরের বছর অক্টোবরের ১৫ তারিখে আবার গেলাম আসল সাংসারে ওয়ন্না ওয়ানগালা দেখতে, গিয়ে দেখি ছোটখাটো অনুষ্ঠান, প্রস্তুতির পর্বগুলো শেষ হয়ে গেছে। বলে সব পর্ব দেখতে হলে আরো আগে আসতে হবে ভাবলাম চোখে দেখা না হলেও প্রশ্ন করেতো জানা যাবে। দেখছি আর সময় সুযোগ মতোন প্রশ্ন করছি জানলাম ওয়াগালা নামের অর্থ, কয়টি ভাগ আছে এবং কি কি।

‘ওয়ানগালা’ এখানে দুটো শব্দ আছে ওয়ান+গালা = ওয়ানগালা ‘ওয়ান’ মানে হলো ‘ওয়ানতি পুড়া’ আবেং গোত্রের গারোরা চাউল গুড়োকে ‘মানতি পুড়া’ বলে। আর আ.চিক গোত্রের গারোরা ‘ওয়ানতি পুড়া’ বলে। শব্দটি আ.চিক গোত্রের ভাষা থেকে এসেছে। ‘গালা’ অর্থ অনুষ্ঠান শেষ করে ফেলে রেখে দেওয়া অর্থাৎ গালা মানে ফেলে দেওয়া এইভাবেই বললেন। গারোরা সবসময় ওয়ানগালার সময় চাউল গুড়ো করে পানিতে মিশিয়ে সাদা রং বানিয়ে কপালে, গালে, পিঠে, ছেলেরা বুকে, মাখায় এটাকে সাংসারেক গারোরা ‘ওয়ানতি পুড়া থকগা’ বলে। এই ওয়ানতি পুড়া থেকে ‘ওয়ান্না’ শব্দটি এসেছে, আমি এইভাবে পেয়েছি, আরো অন্য রকম ব্যাখ্যাও থাকতে পারে। ওয়ানগালার তিনটি পর্ব থাকে, যেমন- ১। রোগালা, ২। চাচাৎ স-ওয়া, এটাকে চাচাৎ লিখলাম কারন রোমান অক্ষরে chachat লেখা, এবং ৩। ক্রাম গগাদা বা জল ওয়াৎদা।

‘রোগালা’ এই পর্ব বিকালে শুরু হয়, পুরোহিতের কাজ শেষ হলে, যুবক যুবতীরা উঠানে একত্র হয় যে যেভাবে পারে সেজেগুজে আসে। ছেলেরা দামা বা ঢোল, আদুরো, বাংশি, রাং, ক্রাম নিয়ে মেয়েদেরকে মাঝখানে রেখে চারিদিকে গোল হয়ে দাঁড়ায় বাজনার তালে তালে গান করে ছন্দ মিলিয়ে নাচে। প্রত্যেক বাড়ি বাড়ি ঘুরে বাদ্য বাজিনা বাজায় নাচে, গান করে, অনেকে বলে সাংসারেক গারোদের এই পর্বটি বড় দিনের সময় গারোরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে বাদ্য বাজিনা বাজিয়ে যীশুর গান বা কীর্তন গায়, গারো এলাকা ছাড়া অন্য এলাকায় এটা দেখা যায় না।

‘চাচাৎ স-ওয়া’ বাংলায় ধুপের ধুয়া দেওয়া, এখানে পুরোহিতের দরকার নেই, নকমা একা তার ঘরে বড় বড় পাত্রে আগুন জ্বালিয়ে প্রচুর ধুপের গুড়া পুড়বে। আর প্রচুর ধোঁয়া ঘরের দরজা জানালা উপরের চালের ফাঁক দিয়ে বাহির হবে, আর ওয়ানগালায় উপস্থিত লোকেরা সবাই উঠানে দাঁড়িয়ে দেখবে। এই ধুপের ধোঁয়াকে তারা মেঘের প্রতীক হিসেবে দেখে, ধোঁয়া যত বেশী কালো হয়ে উড়বে সেই রকম মেঘ সমুদ্র থেকে কালো হয়ে উড়ে আসবে। আর সাংসারেকদের গ্রামে পাহাড় পর্বতে প্রচুর বৃষ্টি হবে, তাদের কষ্টের ফলানো ফসল ভালো হবে, অভাব দুর হবে। এই কারনে খুব সাবধানে ধুপের ধোঁয়া পুড়তে হয়, যদি কোন কারনে কম ধোঁয়া বাহির হয় তাহলে মহা বিপদ, সেই বছর বৃষ্টি কম হবে ফসল ফলবে না ইত্যাদি। এই পর্ব শেষ হলে প্রথমে উঠানে বাজিনার তালে তালে নাচবে, তারপর নকমার ঘরের ভিতরে ভাত ছিটিয়ে দিবে। এমনভাবে ভাত ছিটিয়ে দেবে যেন মাটি দেখা না যায়, তারা মনে করে প্রথম বৃষ্টির সময় যেন শিলা বৃষ্টি হয়, এমনভাবে শিলা পড়বে যেন মাটি দেখা না যায়, এই ভাত ছিটানোকে তারা সাদা শিলার প্রতীক হিসেবে ব্যবহা করে। পরে সবাই ঘরের ভিতর ঢুকে বাদ্য বাজনার তালে তালে নেচে পা দিয়ে মাটিতে ছিটানো ভাত মারিয়ে মাটিতেই মিশিয়ে দেবে।

‘ক্রাম গগাৎদা’ ওয়ানগালা কোনদিন একদিনে শেষ হয় না, গ্রামে একজন নকমা বা গ্রাম প্রধান থাকবে হয়তো আরো পাঁচটা ধনী পরিবার থাকবে। তারাও বলবে আমাদের বাড়ীতেও হতে হবে তাহলে আরো পাঁচ দিন, এরকম পর্বগুলোকে ওয়ানগালা বলে না, বলে ‘ওয়ান্না চাআ’। তারপর প্রতিটি বাড়ীতে ঘুরাতো আছেই তবে কোন বাড়িতে ওয়াক মাংস দিয়ে খাওয়া দিতে দেখিনি, এমন কি নকমার বাড়িতেও না। লোকেরা সকালে বাড়িতে খেয়ে আসে অনুষ্ঠান করে, দুপুরে বাড়িতে গিয়ে খায় বিকেলে এসে আবার অনুষ্ঠান করে। তবে পান-সুপারি, চা, চু দিতে দেখেছি, কঠিন নিয়মের মধ্যে পালন করতে হয়, কোন রকম সমস্যা সৃষ্টি করা যাবে না। সব সময় সন্মানিত লোকেরা দাঁড়িয়ে বসে লক্ষ্য করবে। দোষ করলে রক্ষা নেই, ওয়ানগালা অনুষ্ঠানে আর থাকতে পারবে না, অনুষ্ঠান শেষ হলে লোকজন ডেকে বিচার করে শাস্তি দিবে। শেষের সারাদিন নকমার বাড়িতে অনুষ্ঠান হয়, শুরু হয় নকমার বাড়ি  থেকে আবার শেষের অনুষ্ঠানো নকমার বাড়িতে হবে। এই শেষ দিনের নকমার বাড়িতে অনুষ্ঠানকে ওয়ানগালা বলে, এই দিন সন্ধ্যায় সমস্ত বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার্য জিনিসপত্র  নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলে দেবে।

বর্তমান সময়ে গারোরা অনেক ওয়ানগালা করে। ভালো নিজের আদি সংস্কৃতি স্মরণ করা, পরবর্তী ছেলে মেয়েদেরকে নিজের সংস্কৃতির সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। তা-না হলে জাতির সব কিছুই শেষ হয়ে যাবে। একটি জাতির রাজনীতি থাকবে, অর্থনীতি থাকবে, ধর্মনীতি থাকবে, সমাজনীতি সংস্কৃতি থাকবে তবেই তো পূর্ণ জাতি হবে। সমাজ কর্মী সমাজের কাজ করবে, রাজনীতির মানুষ রাজনীতি করবে, পুরোহিতেরা ধর্মীয় কাজ করবে কিন্তু সমন্বয় থাকতে হবে এইতো।

ক্যাথলিকেরা প্রতিটি মিশনে ওয়ানগালা অনুষ্ঠান করে, ফাদার বা বিশপ ইচ্ছে করলেই নিজের মনগড়া অনুষ্ঠান করতে পারে না। উপর ওয়ালার পারমিশন লাগে, তাইতো একি তারিখে একদিনে সব মিশনে ওয়ানগালা অনুষ্ঠান করে। উপর ওয়ালারাও বসে থাকে না কোন জাতির আদি সংস্কৃতির ভালো খারাপ হিসেব করে দেখে ভালোর দিক বিবেচনায় সংযোজন করে। গারোদের আদি পর্ব ওয়াগালায় ভালোর দিক খুঁজে পাওয়া যায়, নিজেদের কষ্টের ফলানো ফসল, প্রথম সৃষ্টি কর্তাকে উৎসর্গ দিয়ে তারপর নিজেরা খায়। এরকম ভালো নিয়ম অন্য জাতির সংস্কৃতিতে বেশী দেখা যায় না, তাই ক্যাথলিকেরা ওয়ানগালা নামের আগে আরো কিছু শব্দ সংযোজন করে যীশু খ্রীষ্টের নামে, খ্রীষ্ট রাজার পর্ব ওয়ানগালা নাম দিয়ে পালন করে।

The post is published by আবিমা টাইম নিউজ at The Abima Times 24 News - .

]]>
3508
ওয়ানগালা যেন ব্যবসায়িক ইভেন্টে পরিণত না হয়- উন্নয়ন ডি শিরা https://theabimatimes24news.com/%e0%a6%93%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%be-%e0%a6%af%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%ac%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a7%9f%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a6%87/?utm_source=rss&utm_medium=rss&utm_campaign=%25e0%25a6%2593%25e0%25a7%259f%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25a8%25e0%25a6%2597%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25b2%25e0%25a6%25be-%25e0%25a6%25af%25e0%25a7%2587%25e0%25a6%25a8-%25e0%25a6%25ac%25e0%25a7%258d%25e0%25a6%25af%25e0%25a6%25ac%25e0%25a6%25b8%25e0%25a6%25be%25e0%25a7%259f%25e0%25a6%25bf%25e0%25a6%2595-%25e0%25a6%2587 Tue, 12 Oct 2021 06:06:43 +0000 https://theabimatimes24news.com/?p=3332 The post ওয়ানগালা যেন ব্যবসায়িক ইভেন্টে পরিণত না হয়- উন্নয়ন ডি শিরা appeared first on The Abima Times 24 News.

ওয়ানগালা গারো সম্প্রদায়ের প্রধান উৎসব। এটি একসময় ধর্মীয় রীতিতে পালিত হলেও সাংসারেক থেকে খ্রিস্টান ধর্মে কনভার্ট হওয়ার ফলে সামাজিক উৎসবে পরিণত হয়েছে। অনেক গারো এখন ওয়ানগালা বললে নাক সিটকান, সাংসারেক রেওয়াজ বলে সন্তর্পনে এড়িয়ে যান। তাঁরা আবার এই উৎসবকে ‘খ্রিস্ট রাজার পর্ব’ হিসেবে পালন করেন, যা একেশ্বরবাদী ধর্মের আধিপত্যকেই নির্দেশ করে। একেশ্বরবাদীরা নিজধর্মকে শ্রেষ্ঠ জ্ঞান […]

The post is published by আবিমা টাইম নিউজ at The Abima Times 24 News - .

]]>
The post ওয়ানগালা যেন ব্যবসায়িক ইভেন্টে পরিণত না হয়- উন্নয়ন ডি শিরা appeared first on The Abima Times 24 News.

ওয়ানগালা গারো সম্প্রদায়ের প্রধান উৎসব। এটি একসময় ধর্মীয় রীতিতে পালিত হলেও সাংসারেক থেকে খ্রিস্টান ধর্মে কনভার্ট হওয়ার ফলে সামাজিক উৎসবে পরিণত হয়েছে। অনেক গারো এখন ওয়ানগালা বললে নাক সিটকান, সাংসারেক রেওয়াজ বলে সন্তর্পনে এড়িয়ে যান। তাঁরা আবার এই উৎসবকে ‘খ্রিস্ট রাজার পর্ব’ হিসেবে পালন করেন, যা একেশ্বরবাদী ধর্মের আধিপত্যকেই নির্দেশ করে। একেশ্বরবাদীরা নিজধর্মকে শ্রেষ্ঠ জ্ঞান করে, বৈচিত্র্যের সৌন্দর্য শক্তিকে অস্বীকার করে নিজের বিশ্বাসকে জোর করে অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়। এরফলে দেখা দেয় বিবাদ, সংঘর্ষ। সৃষ্টি হয় ধর্মযুদ্ধের। এই আলাপ আরেকদিনের জন্য তোলা থাক।
১৮৬২ সালে গারোরা প্রথম খ্রিস্টান হয়। এরপর আদি ওয়ানগালা পালন কমে যেতে থাকে, বলাবাহুল্য, পুরোহিতদের ছিল নিষেধাজ্ঞা। গির্জায় গারোদের সাংস্কৃতিক বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার ছিল নিষিদ্ধ, সম্ভবত দেব-দেবতার প্রতীক বলে। যদি কেউ আদি বাদ্যযন্ত্রগুলো গির্জায় আনতো তবে তাঁকে প্রায়শ্চিত্র স্বরূপ শাস্তি দেয়া হতো। গারোঞ্চলে এমন অনেক ঘটনা আছে। পরে পোপ মহোদয়ের নির্দেশনা পাওয়ার পর সারাবিশ্বের ক্যাথলিক ধর্মানুসারীর জনজাতির মানুষ যারযার সংস্কৃতি, আদি উৎসব উদযাপনের অনুমতি পায় তবে সেটি উদযাপিত হয় খ্রিস্টীয় রীতিতে।
খ্রিস্টীয় রীতিতে ওয়ানগালা উদযাপিত হচ্ছে— সেখানে মিসি সালজং, রক্ষী মেমা, রাক্কাসি আমুয়া কিংবা তাতারা রাবুগার জায়গায় যীশুর গুণকীর্তন গাওয়া হয়। তাতারা রাবুগারা বিতাড়িত, কিন্ত পরাজিত না। পরাস্ত হলে জনিক নকরেক, শীতল স্নাল কিংবা ওয়ারী নকরেকের মতো আদিপ্রাণেরা হৃদয়ে ‘সাংসারেক বিশ্বাস’ সযতনে পুষে রাখতো না, চুনিয়ায় আদি রীতিমতো ‘পিউর ওয়ানগালা’ হতো না।
রূপান্তর সংস্কৃতির ধর্ম— এটি মেনেই আপত্তি সত্ত্বেও বলা লাগে, যেভাবেই হোক ওয়ানগালা তো উদযাপিত হচ্ছে! গারোঞ্চলের মিশনগুলোতে ওয়ানগালা (খ্রিস্ট রাজার পর্ব) উদযাপন করা হয়, ঢাকায় তিনটা; এই তিনটি ওয়ানগালা নিয়ে আমি প্রচণ্ড আশাবাদী। ঢাকাবাসী গারো জনগোষ্ঠী অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে নিজস্ব অর্থায়নে ওয়ানগালা আয়োজন করে। এক্ষেত্রে সংবিধানের ‘সংস্কৃতি চর্চা ও বিকাশের অধিকার’ সংক্রান্ত ধারানুসারে অফিসিয়ালি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা দরকার।
ওয়ানগালায় ৭—৮ হাজার বা আরো ততোধিক মানুষের সমাগম ঘটে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বড় মাঠের প্রয়োজন হয়। মাঠের সংকট অনেক সময় ওয়ানগালা উদযাপনে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। সরকারি মাঠগুলো পেতেও বেগ পেতে হয়। এক্ষেত্রে জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি চর্চা, অধিকার নিশ্চিতে সরকারের সুনজর কাম্য।
ওয়ানগালা নিঃসন্দেহে একটি বড় ইভেন্ট। প্রায় তিন চার মাস আগে থেকে প্রস্তুতি নেওয়া লাগে। বড় অঙ্কের অর্থের প্রয়োজন পড়ে। এখান থেকে ওখান থেকে টেনেটুনে আয়োজন করা লাগে। যাঁরা অতিকষ্টে ওয়ানগালা আয়োজন করে, ঢাকাবাসী গারোদের একত্রিত করবার সুযোগ তৈরী করেন তাঁরা ধন্যবাদ পাবার যোগ্য।
কয়েকদিন আগে ঢাকার তিন ওয়ানগালার তারিখ জানিয়ে একটি পোস্ট করেছিলাম। সেখানে একজন প্রশ্ন তুলেছেন— ‘তিনটা কেন করা লাগে? একসাথে করলে সমস্যা কী?’ এই প্রশ্ন ওয়ানগালাকে অতি সরলীকরণ করে ফেলেছে। ওয়ানগালা তিনটা কেন আরো করলেও সমস্যা নেই, এটা ঐক্য কিংবা অনৈক্যের বিষয় নয়। প্রসঙ্গ সংস্কৃতি চর্চার। তবে কিন্ত থাকে যে, সংস্কৃতি চর্চা করতে গিয়ে রুগালা, ওয়ানগালা যেন ব্যবসায়িক ইভেন্টে পরিণত না হয়। এদিকটায় কড়া নজর দরকার।

The post is published by আবিমা টাইম নিউজ at The Abima Times 24 News - .

]]>
3332
ধানী জমিতে কেন লেক করা লাগবে? https://theabimatimes24news.com/%e0%a6%a7%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%80-%e0%a6%9c%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%95-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a6%be-%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%97/?utm_source=rss&utm_medium=rss&utm_campaign=%25e0%25a6%25a7%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25a8%25e0%25a7%2580-%25e0%25a6%259c%25e0%25a6%25ae%25e0%25a6%25bf%25e0%25a6%25a4%25e0%25a7%2587-%25e0%25a6%2595%25e0%25a7%2587%25e0%25a6%25a8-%25e0%25a6%25b2%25e0%25a7%2587%25e0%25a6%2595-%25e0%25a6%2595%25e0%25a6%25b0%25e0%25a6%25be-%25e0%25a6%25b2%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%2597 Tue, 21 Sep 2021 07:25:20 +0000 https://theabimatimes24news.com/?p=3267 The post ধানী জমিতে কেন লেক করা লাগবে? appeared first on The Abima Times 24 News.

মধুপুরের শালবনে প্রমোদ ভ্রমণে গিয়ে যেন থাকা নিয়ে পর্যটকদের (আসলে উচ্চবিলাসীদের) কোন ধরণের অসুবিধায় পড়তে না হয় সেজন্যে দোখলায় চার তলা বিশিষ্ট রেস্ট হাউজ নির্মাণ করা হচ্ছে। সেখানে যারা ঘুরতে যাবে তাদের বাড়তি খেদমত স্বরূপ ধানী জমিতে লেক নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যাতে তারা আনন্দ— মন ফ্রেশ করার সুযোগ পায়। যেহেতু শুরু থেকেই আদিবাসীরা লেক […]

The post is published by আবিমা টাইম নিউজ at The Abima Times 24 News - .

]]>
The post ধানী জমিতে কেন লেক করা লাগবে? appeared first on The Abima Times 24 News.

মধুপুরের শালবনে প্রমোদ ভ্রমণে গিয়ে যেন থাকা নিয়ে পর্যটকদের (আসলে উচ্চবিলাসীদের) কোন ধরণের অসুবিধায় পড়তে না হয় সেজন্যে দোখলায় চার তলা বিশিষ্ট রেস্ট হাউজ নির্মাণ করা হচ্ছে। সেখানে যারা ঘুরতে যাবে তাদের বাড়তি খেদমত স্বরূপ ধানী জমিতে লেক নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যাতে তারা আনন্দ— মন ফ্রেশ করার সুযোগ পায়। যেহেতু শুরু থেকেই আদিবাসীরা লেক নির্মাণের প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিল সেহেতু ‘হাওয়া বুঝতে’ স্থানীয় এমপি কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক গত শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) নৈতিক সমর্থন আদায়ের জন্য আদিবাসী নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করেন। কিন্তু নেতৃবৃন্দ সমর্থন না দিলে মন্ত্রী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান।
রেস্ট হাউজ ও লেক নির্মাণের নেপথ্যে কি লুকিয়ে আছে তা জানতে হলে ‘আগ্রহ-ব্যক্তকরণ বিজ্ঞপ্তি নং- ০১/২০১৮-২০১৯’ দেখতে হবে। টাঙ্গাইল বনবিভাগ ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসের ১১ তারিখে ‘স্থানীয় ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী জনগণের সহায়তায় মধুপুর জাতীয় উদ্যানের ইকো-ট্যুরিজম উন্নয়ন ও টেকসই ব্যবস্থাপনা’ প্রকল্পের নির্মাণ কাজের জন্য কনসাল্টিং ফার্ম নিয়োগের লক্ষ্যে আগ্রহ-ব্যক্তকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রদান করে। এমন সময়ে এই টেন্ডার আহ্বান করা হয় যখন গারোরা সচরাচর বড়দিন, বিয়ে, শ্রাদ্ধ ইত্যাদি নিয়ে ব্যস্ত থাকে। অন্যকিছুতে মনোনিবেশ করার ফুরসত মেলে না।
সেই বিজ্ঞপ্তিতে— দ্বিতল বিশিষ্ট নতুন রেস্ট হাউজ নির্মাণ, কানেকটিক রোড নির্মাণ, সারফেস রোড নির্মাণ, পানি সংযোগ, ভূ-গর্ভস্থ জলাদার নির্মাণ, পানির পাম্প বসানো, সীমানা প্রাচীর’সহ আরবোরটাম নির্মাণ, সেপটি বাউন্ডারী ওয়াল (গেটসহ) নির্মাণ, এইচবিধি রাস্তা ও স্টাফ ব্যারাক নির্মাণ, পার্কিং এরিয়া নির্মাণ, টয়লেট নির্মাণ, আরসিসি সিটিং বেঞ্চ ইত্যাদি নির্মাণের কথা জানানো হয়। মোট কথা ইকোপার্কের আবডালে ইকো-ট্যুরিজম নির্মাণ সরকারের বনবিভাগের মূল লক্ষ্য আর সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নের দিকেই তারা হাঁটছে এবং ইতোমধ্যে অনেক পথ পাড়ি দিয়ে ফেলেছে।
দোখলায় রেস্ট হাউজ কিংবা টেলকীর মাংরুদামে (আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী শ্মশান ভূমি) আরবোরাটামের নামে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কি সেটিই জানান দেয় না? ধীর গতিতে হলেও ইকো-ট্যুরিজমের কাজ চলছে— এটি বোঝার আর বাকি থাকে না। স্থানীয় জনগণের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও জীবন প্রকৃতি বিনাশী এইসব প্রকল্প কেন বাস্তবায়ন করতে হবে? গৃহীত প্রকল্পের চেয়ে জীবনের মূল্য অবশ্যই বেশি। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে স্থানীয় স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হবে, লেক নির্মাণ করা হলে কৃষকেরা হারাবে ধানী জমি, বনবাসী হারাবে বনে চলাফেরার অবাধ স্বাধীনতা, বিপদাপন্ন প্রকৃতি হারাবে নিজস্ব রূপ-স্বতন্ত্রতা।
ধানী জমি নষ্ট করে লেক কেন করা লাগবে— এমন প্রশ্ন তুললে প্রসঙ্গক্রমে সরকারের উন্নয়ন নীতির কঠোর সমালোচনা করতে হয়। সকারের সব উন্নয়ন যে প্রান্তিক মানুষদের জীবনমানে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে না বরং গলার কাটা হয়ে বিধেঁ থাকে সেটি বোঝাতে দুই মেরুর অধিবাসীর কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। এক মেরুর বাসিন্দা ইংরেজী ৯ সংখ্যাকে যেভাবে দেখবে বিপরীত মেরুর বাসিন্দা সেই ৯ সংখ্যাকে উল্টো ৬ দেখবে। দেখার দৃষ্টি ও অবস্থানগত কারণে একই জিনিস ভিন্ন হয়। সেই ভিন্নতায় কেউ যদি ক্ষতিগ্রস্থ হয় সেটি অবশ্যই গুরুত্বের— মূল্যায়নের দাবি রাখে। সেদিকে রাষ্ট্রকে কড়া নজর রাখতে হয়।
সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে আদিবাসীরা জমি, ভিটে-বসত, বাগান, শ্মশানভূমি হারিয়েছে— এমন বহু নজির আছে। আমরা খালিচোখে কেবল অবকাঠামোগত উন্নয়ন অবলোকন করি কিন্তু সেই উন্নয়নের আড়ালের তমসা দেখি না। তথাকথিত উন্নয়নের বাতির নিচে যে ঘুটঘুটে অন্ধকার, অজস্র মানুষের কান্না লুকিয়ে থাকে সেটি সামনে আসে না; অন্ধকারে থেকে যায়। অনালোকিত সেই অন্ধকূপে টর্চ লাইট জ্বালালে পাওয়া যাবে আদিবাসীদের ভূমি হারানোর তিক্ত অসংখ্য গল্প। এইসব গল্প মধুপুরের সচেতন আদিবাসীদের আরো হরিণের মতোই সদা সজাগ রাখবে বলে মনে করি।
আরেকটি কথা তুলে ধরা দরকার। এটা আওয়ামী সরকারের কৌশলও বলা যেতে পারে। যেকোন বড় প্রকল্প কিংবা স্থাপনা বঙ্গবন্ধু বা তাঁর পরিবার স্বজনের নামে বাস্তবায়ন করা, যাতে করে কেউ ওই উন্নয়ন স্থাপনার বিরুদ্ধে আঙুল তুলতে না পারে। যারা প্রশ্ন তুলবে তাদেরকে অতি সহজেই জামাত শিবিরের ট্যাগ লাগিয়ে দেয়া যায় এমনটা আমরা আগেও দেখেছি। দোখলার সেদিনের বৈঠকেও বঙ্গবন্ধুকে টেনে আনা হয়েছে। বলা হয়েছে— ‘১৯৭২ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্রাম নেওয়ার জন্য সপরিবারে দোখলাতে এসেছিলেন। এই কারণে দোখলার ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। সেই ইতিহাসকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে আনা দরকার।’ অবশ্যই আনা দরকার। কিন্তু লেক নির্মাণ করে স্মৃতি ধরে রাখতে হবে কেন? স্মৃতি ধরে রাখতে লেক একমাত্র যথোপযুক্ত পন্থা নয়।
স্মৃতির কথা যখন বলা হচ্ছে তখন সেইসময় (১৯৭২) বঙ্গবন্ধু যে দোখলায় বনবাসী আদিবাসী মানুষের অধিকার প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেটিও আমাদের সমানভাবে বলতে হবে। ইতিহাসের খণ্ডাংশ পাঠ সবসময়ই বিপত্তি ঘটায় এটি ভুললে চলবে না। তিনি দোখলায় আদিবাসী মানুষের প্রথাগত ভূমির অধিকার প্রদানের কথা বলেছিলেন— অথচ বনবাসী এখনো অধিকারহীন। বঙ্গবন্ধু যে মাপের আদর্শিক নেতা তাকে, তাঁর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নকে, দুঃখী মানুষের দুঃখকে লেক নির্মাণ করে দূর করা যাবে না। বরং এটি আরো দুঃখ বাড়াবে।
বঙ্গবন্ধু দোখলায় যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেটি বাস্তবায়ন করা আওয়ামী সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। সেই জেরে অচিরেই আদিবাসী বনবাসী মানুষের প্রথাগত ভূমির অধিকার নিশ্চিত করার পুনঃ দাবি জানাই।

তরুণ লেখক: উন্নয়ন ডি. শিরা, দর্শন বিভাগ,

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

The post is published by আবিমা টাইম নিউজ at The Abima Times 24 News - .

]]>
3267