নিউজ ডেস্ক: সরকারী, ব্যক্তিগত কিংবা কিছু দাতা সংস্থার অর্থায়নে গারো কৃষ্টি সংস্কৃতি উন্নয়ন আবহমানকাল ধরে চলছে যা কিছুটা দৃশ্যমান হলেও, আশানুরূপ নয়। সরকারী, বেসরকারী সংস্কৃতি কর্মকান্ডের পাশাপাশি ব্যক্তিগত উদ্যোগ ‘এনডি আ.চিক মাল্টিমিডিয়া’র প্রযোজনায় প্রথম বারের মত মেঘালয় এবং বাংলাদেশের সেরা আ.চিক গায়ক এবং গায়িকাদের নিয়ে নির্মাণ হচ্ছে লকডাউনের বা করোনাকালী প্রেরণামূলক বিশেষ গান, ‘আনচিংআন চেগেন সালসাও’ নামে। গানটি তিনটি ভাষায় নির্মিত, যথা আ.চিক, বাংলা এবং ইংরেজীতে। করোনা প্রাদুর্ভাবের ফলে গোটা বিশ্ব আজ স্তব্ধ। ফলে বাঁচার আকুতি যার যার অবস্থান থেকে। ঘুরে দাঁড়াবার ব্যাকুলতা বিভিন্ন শ্রেণী পেশা এবং সকল জাতিগোষ্ঠির। করোনাকে মোকাবেলা করে যাচ্ছি এক নতুন দিনের প্রত্যাশায়। করোনাময় কাল উত্তরণেকল্পে দু’দেশের জনপ্রিয় গারো শিল্পীদের প্রেরণাদায়ক গান নির্মিত হচ্ছে এবং গানটি সংগৃহীত বলে জানিয়েছেন প্রযোজনা সংস্থা। মেঘালয়ের সদ্য সিলভার প্লে বাটন প্রাপ্ত আ.চিক ইউটিবার প্রোনান্থ আ.গিটক (Pronantho A’gitok) কথা দিয়ে শুরু গানটি-
Agilsak Dasal Sosojengjeng
Corona Virusna Sabisiana
andalbangjok dasallo manderangni gisikrang
mai dakno chanchi manja dasal manderang. kenjano anching hai ia sabisina jokgen anching sal ia sabisiyani. mangen anching gital sal kadongna hai apsan.

মিউজিক নির্মাণে ডোলাল্ড হাউই এবং পরিচালনায় ইউটিউব চ্যানেল ‘এনডি আ.চিক মাল্টিমিডিয়া’র কর্ণধার নিটোল দিব্রা। পরিবেশিত গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন ভারত বাংলাদেশ মিলিয়ে মোট আট জন কণ্ঠশিল্পী। এবং দু’দেশের মধ্যে যারা রয়েছেন- শিল্পী এবং অভিনেতা, পরিচালক রনি ডি. সাংমা (মেঘালয়), রেভা. ফাদার জিমবার্ট কে. মারাক (মেঘালয়), শিল্প এবং অভিনেত্রী লাক্সমি মারাক (মেঘালয়), শিল্পী টগর দ্রং (বাংলাদেশ), মিউজিক এবং লিরিক কম্পোসার ডোনাল্ড হাউই (বাংলাদেশ), এফ মাইনর ব্যান্ড শিল্প পিংকী চিরান (বাংলাদেশ), শিল্পী নথুয়েল রিছিল (বাংলাদেশ) এবং শিল্পী দিবা চিছাম (বাংলাদেশ) প্রমূখ।

এমন ব্যতিক্রম আয়োজন এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ২০১৫ সালে ‘এনডি আ.চিক মাল্টিমিডিয়া’ মূলত বাংলাদেশের বসবাসরত গারো এবং অন্যান্য আদিবাসী জাতিগোষ্ঠির শিল্প সংস্কৃতি তুলে ধরার প্রয়াসে কাজ করে যাচ্ছে। ২০০৪ সালে প্রথম কা.সা, দো-দক্কা ভিডিও মিউজিক এলবাম, হাই চা.মে টেলিফিল্ম, এবং ডায়েরি নাটকের মাধ্যমে প্রচুর দর্শকদের সাড়া পান। সংস্থার কাজের ধারাবাহিকতায় মুণিপুরি, সাঁওতাল, চাকমা ত্রিপুরা, কোচ এবং হাজং সংস্কৃতির বিভিন্ন অংশ তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন এবং ভবিষ্যতেও কাজ করে যাবেন আশাবাদ ব্যক্ত করেন গারো উদ্যেমী কর্ণধার নিটোল দিব্রা।

এ ক্ষুদ্র প্রয়াশের মাধ্যমে দু’দেশ ভারত-বাংলাদেশের শিল্পীদের মাঝে মেলবন্ধন এবং নতুন আগামীর যোগসূত্র তৈরি হবে বলে কর্ণধারসহ সকলেই দৃঢ় আশাবাদী। গানটি দেখার জন্য চোখ রাখুন আগামী শুক্রবার ‘এনডি আ.চিক ইউটিউব’ চ্যানেলে।