আ.বিমা টাইমস নিউজ ডেস্ক: আজ মঙ্গলবার (১লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ খ্রি:) সকাল ১০ ঘটিকায় খাগড়াছড়ি সদরস্থ শাপলা চত্বরে অধ্যক্ষ ভদন্ত বিশুদ্ধা মহাথের মহোদয়কে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে ও সুষ্ঠু তদন্ত করে দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে সম্মীলিতভাবে মানববন্ধন আয়োজন করেছেন বৌদ্ধ ধর্মীয় ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।
মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন মারমা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য সাথোয়াইপ্রু মারমা। বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্টস্ কাউন্সিল (বিএমএসসি) এর পক্ষ থেকে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সাবেক সভাপতি নিঅং মারমা এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সাহিত্য ও প্রকশনা বিষয়ক সম্পাদক আপ্রুসী মারমা।
ভদন্ত বিশুদ্ধা মহাথেরকে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন, ছবি: বিএমএসসি
উক্ত মানবন্ধনে সংহতি প্রকাশ করেন বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্টস্ কাউন্সিল, বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদ, মারমা উন্নয়ন সংসদ, বাংলাদেশ বুদ্ধ শাসন ভিক্ষু কল্যাণ পরিষদ, মারমা ওয়ালফেয়ার এ্যাসোসিয়েশন, মানিকছড়ি ভিক্ষু সংঘ, দি ওয়ার্ল্ড বুদ্ধিষ্ট পিচ অফ সংঘ, বাংলাদেশ মারমা ভাষা ধর্মীয় শিক্ষা পরিষদ, খাগড়াছড়ি শাসনা রক্ষিতা ভিক্ষু সংঘ ও গুগড়াছড়ি ধর্মসুখ বৌদ্ধ বিহারের সকল দায়ক-দায়িকাবৃন্দসহ বেশ কিছু বৌদ্ধ ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠন।
মানবন্ধনটি সকাল ৯টায়, শাপলাচত্ত্বর থেকে শুরু হয়ে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব প্রদক্ষিণ শেষে আবারও শাপলা চত্ত্বরে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ বাংলাদেশ’র অধিকরণ বোর্ডের সম্মানিত সভাপতি ও উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ভদন্ত সুমনা মহাথেরো’র সভাপতিত্বে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও নিন্দা জানানো হয় এবং বক্তারা বলেন, এই ঘটনা কোন সাধারণ ঘটনা নয়, অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে। এই নেক্কারজনক ঘটনা সুষ্ঠু তদন্ত করে শাস্তির আওতায় আনা হোক। এ ছাড়াও গত রাতে (৩১ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের বায়োজিদ এলাকায় চাদিগাং বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ জ্ঞান জ্যোতি ভান্তেকে হত্যার চেষ্টার সংন্ত্রাসীদের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনার দাবিও করা হয়।
এহেন উল্লেখ্য, গত রোববার (৩০ জানুয়ারি) গভীর রাতে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা গুগড়াছড়ি গ্রামে ধর্মসুখ বৌদ্ধ বিহারের ভিতরে ভদন্ত বিশুদ্ধা মহাথের মহোদয়কে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শ্রীমৎ বিশুদ্ধা রাতের বেলায় বিহারের ভেতরে একা ছিলেন। এই সুযোগে দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে টাকা ও মোবাইল নিয়ে চলে যায়। সকালে প্রতিদিনের মত এক দায়িকা ছোয়াং (আহার) দান করতে গেলে রুমের ভেতরে পড়ে থাকতে দেখেন তার মরদেহ। পরে ওই দায়িকা এলাকার সবাইকে বিষয়টি জানান। সূত্র/বিএমএসসি