আ.বিমা টাইমস নিউজ ডেস্ক: ফের ফিফা রেফারি হচ্ছেন জয়া চাকমা। ৪ সেপ্টেম্বর শনিবার ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফিফা রেফারি, সহকারি-রেফারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সেই পরীক্ষায় বাংলাদেশের একমাত্র নারী ফিফা রেফারি জয়া চাকমা উত্তীর্ণ হয়েছেন। পুরুষ রেফারিদের মধ্যে শুধুমাত্র বিটুরাজ বড়ুয়া পাশ করেছেন। সঙ্গে সহকারি রেফারি সাতজন পাশ করেছেন।
এর আগে অবশ্য পরীক্ষা দিয়েছিলেন জয়া। ফিটনেস পরীক্ষা দিয়ে এএফসি এলিট প্যানেলের রেফারি হতে গত আগস্টে ভারতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সেই পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হন। ফলে ফিফার রেফারি হওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হয় তার।
শনিবার ফিটনেস টেস্টের তিন পর্বেই দারুণভাবে উতরে গেছেন এই ফিফা রেফারি। ভারতে দুই পর্বে উতরালেও চক্করে গিয়ে ফেল করেছিলেন। ফিফা রেফারি হতে হলে ন্যূনতম দশটি চক্কর দিতে হয়। শনিবার নির্ধারিত দশ চক্কর ঠিক সময়ে পূরণ করেছেন জয়া। ভারতে ব্যর্থ হওয়ার পর থেকে নিজেকে আরো প্রস্তুত করেছেন।
জয়ার প্রত্যাবর্তনে বেশ উচ্ছ্বসিত বাফুফের হেড অব রেফারিজ আজাদ রহমান, ‘সে দারুণ কামব্যাক করেছে। ভারতে সে কাঙ্ক্ষিত মানের চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে ছিল। অল্প কয়েকদিনের মধ্যে নিজের ফিটনেস লেবেলকে উন্নতি করে আজ সুন্দরভাবে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে।’
শনিবার যারা ফিটনেস টেস্টে উত্তীর্ণ হলেন তারা আগামী বছর ফিফা রেফারি, সহকারি-রেফারির জন্য বিবেচিত হবেন। বাফুফে উত্তীর্ণদের নাম ফিফায় পাঠাবে। ফিফার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি মিললে তারা ফিফা ব্যাজধারী হবেন।
বাংলাদেশে পুরুষ রেফারিদের ফিফা কোটা পাঁচটি। শনিবার শুধুমাত্র একজন পাশ করেছেন। বাকি চারজনের কোটা পূরণের জন্য ২৫ সেপ্টেম্বর পুনরায় পরীক্ষা হবে। সেই পরীক্ষাতেও উত্তীর্ণ না হতে পারলে ফিফা রেফারির বাকি কোটাগুলো শূন্যই থাকবে।