আ.বিমা টাইমস নিউজ ডেস্ক: শেরপুরের শ্রীবর্দীতে ক্ষতিগ্রস্ত ৫টি আদিবাসী পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিয়ে এই কাজের সাথে যুক্ত রেঞ্জ কর্মকর্তাসহ সকলকে অপসারণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস)। ২৬ আগস্ট বৃহস্পতিবার বেলা ১ টায় শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ওয়ার্ল্ড ভিশন অব বাংলাদেশ’র পুরাতন সাব সেন্টারে বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস) নালিতাবাড়ী থানা শাখার আয়োজনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। সম্মেলনে সমতল আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠনসহ আদিবাসীদেরকে তাদের ভূমি থেকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র বন্ধের আহবানও জানানো হয়।

উল্লেখ্য, গত ১২ আগস্ট শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী উপজেলার অন্তর্গত বালিজুরি খ্রিষ্টান পাড়ায় বন বিভাগ কর্তৃক পাঁচটি গারো আদিবাসী পরিবারের জুমের ফসল ফেলা হয়। উক্ত ঘটনার প্রতিবাদে এবং যথাযথ ক্ষতিপূরণের দাবিতে পূর্ব ঘোষিত ২৬ আগস্ট একটি বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয় বাগাছাস নালিতাবাড়ী থানা শাখা। কিন্তু জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে বাগাছাস, নালিতাবাড়ী থানা শাখা তাদের ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশ স্থগিত করে একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তারা তাদের দাবি উত্থাপন করেন।

বাগাছাস নালিতাবাড়ী শাখার সভাপতি সোহেল রেমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস) কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারন সম্পাদক অলিক মৃ। তিনি বলেন, “শুধু শেরপুরে নয় বন বিভাগ সারা বাংলাদেশে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় বন ধ্বংস সহ আদিবাসীদের ফসল কেটে দিচ্ছে। কিন্তু এর প্রতিকার না হওয়ায় আদিবাসীরা উচ্ছেদ আতঙ্কে রয়েছেন।” তিনি আরও কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “এই ঘটনার সুস্থু বিচারসহ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে যথাযথ ক্ষতিপূরণসহ এই পাশবিক কাজে যুক্ত বন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অপসারণ করতে হবে এবং শাস্তি প্রদান করতে হবে। অন্যথায় এই সমস্যার আশু সমাধান না হলে বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস)  কঠোর  আন্দোলনের ডাক দিতে বাধ্য হবে।”

সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাগাছাস নালিতাবাড়ী শাখার সহসভাপতি রাসেল নেংমিনজা, শিক্ষা ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক সঞ্জিতা চিছাম, শ্রীবরদী শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক কাঞ্চন ম্রং, ঝিনাইগাতী শাখার সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক শান্ত চিরান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

সংবাদ সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন বাগাছাস নালিতাবাড়ি শাখার সাধারণ সম্পাদক বাঁধন চাম্বুগং।