নিউজ ডেস্ক:বিশেষজ্ঞরা শুরু থেকেই বাংলাদেশকে করোনা সংক্রামনের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ জোন হিসেবে পূর্বাভাস দিয়ে আসছিলেন। আজকে যে কথা সেই কাজ, তাঁদের কথাগুলো ঠিক এমনি ফলে যাচ্ছে এবং করোনা রেকর্ডে চীনকে টপকে গেল বাংলাদেশ।

২০১৯ সালে ডিসেম্বরে চীনের উহান থেকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস। এরপর দেশটিতে তাণ্ডব চালিয়ে ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, জার্মানিসহ ইউরোপের বেশ কটি দেশে করোনা ভাইরাস কেড়েছে অসংখ্য প্রাণ। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে করোনা প্রাণ কেড়েছে লাখেরও বেশি মানুষের। এখনো বিভিন্ন দেশে সংক্রামন অব্যাহত রয়েছে এবং প্রচুর মানুষ মারা যাচ্ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে।

জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত চীনে মোট করোনা ভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৮৪ হাজার ২২৮ জন। আর বাংলাদেশে মোট আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৮৪ হাজার ৩৭৯ জন।

মোট আক্রান্তের সংখ্যার হিসেবে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৮তম। আর মৃত্যুর সংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বে ৩১তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।

এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টাসহ বাংলাদেশে আরও মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,১৩৯ জনে।

মজার ব্যাপার হলো, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যখন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অসংখ্য মৃত্যুর খবর আসছিল; তখনো বাংলাদেশের অবস্থা এতটা নাজুক ছিল না। দেশটি মনে করেছিল সিজন গরম, তাপমাত্র উর্ব্ধগতি হবার ফলে ভাইরাসটি আক্রমনের সক্ষমতা থাকবে না; কথাগুলো শুনে বিশ্ব তখন অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল বলা যায়। অর্থাৎ ভৌগোলিকসহ নানা কারণে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি দেশে সংক্রামনের ঝুকি অত্যান্ত বেশি ছিল তা বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞরাই মনে করেন।

বাংলাদেশের ভারইরাস নথিনুযায়ী, ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ১৪ এপ্রিল একদিনে ২০৯ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়ে এক হাজার ছাড়িয়ে যায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। প্রথম এক হাজার শনাক্ত হতে সময় লেগেছে ৩৮ দিন। এরপরে ১২ দিনে ৪ হাজার আক্রান্ত হয়ে ৫০ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এরপর ১৫ মে একদিনে সর্বোচ্চ এক হাজার ২০২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়ে ৬৯ দিনে ২০ হাজার ছাড়ায় আক্রান্তের সংখ্যা। ২২ মে একদিনে সারাদেশে ১ হাজার ৬৯৪ জন আক্রান্ত হয়ে আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছিল ৩০ হাজার ২০৫ জনে। এরপর আজ ১৩ জুন পর্যন্ত ৮৪ হাজার ৩৭৯ জন করোনা ভাইরাসে মোট আক্রান্ত দাঁড়িয়েছে।

বাংলাদেশে এরপর থেকে ভাইরাসের তান্ডব লাফিয়ে বাড়তে থাকে এবং আক্রান্তের সংখ্যা দিনকে দিন এখনো বাড়ছে।