আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: করোনা মহামারী মোকাবিলায় ফ্রান্সে দ্বিতীয় দফায় লকডাউন ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। দেশটিতে সংক্রমণের হার দ্রুত বেড়ে চলায় নতুন করে সীমিত আকারে লকডাউনের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট ইম্মানুয়েল ম্যাক্রোঁ বৃহস্পতিবার রাতে  (২৮ অক্টোবর ২০২০) রাতে এক ভাষণে এ তথ্য প্রকাশ করেছেন। দেশটিতে আগামী শুক্রবার (৩০ অক্টোবর ২০২০) থেকে শুরু হবে সীমিত আকারের নতুন এই লকডাউন। কমপক্ষে নভেম্বরের শেষ নাগাদ স্থায়ী হবে। এ ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেছেন, শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এই লকডাউনে জনগণ শুধু চিকিৎসার ও অত্যাবশ্যকীয় কারণ ছাড়া বাইরে যেতে পারবে না। তিনি বলেছেন, করোনার প্রথম ঢেউ থেকে দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব আরও বেশি পড়বে বলে আশঙ্কা করেন।

 

এদিকে ইউরোপজুড়ে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) সংক্রমণের হার ফের বেড়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে বিভিন্ন দেশে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ফলে জার্মানিও লকডাউন দিতে যাচ্ছে। তবে তা ফ্রান্সের মতো কঠোর হবে না। সেখানে রেস্তোরাঁ, জিম এবং থিয়েটার বন্ধ থাকবে বলে বুধবার জানিয়েছেন চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেল মার্কেল। দেশটিতে আগামী ২ নভেম্বর থেকে শুরু হবে সীমিত আকারের নতুন এই লকডাউন।

শুধু ফ্রান্স বা জার্মানি নয়, পুরো ইউরোপেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজন হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বুধবার ব্রিটেনে নতুন করে ৩১০ জন মারা যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে সরকারিভাবে। এদিন আক্রান্ত হয়েছেন কমপক্ষে ২৪ হাজার ৭০১ জন।

অন্যদিকে ইংল্যান্ডে নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন সেখানে প্রায় এক লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। গবেষকরা বলেছেন,  সংক্রমণের এই হার নিয়ন্ত্রণে আনতে আঞ্চলিক নীতিমালায় পরিবর্তন আনতে হবে। বেশ কিছু দেশে জারি রয়েছে রাত্রিকালীন কারফিউ। এর আওতায় রয়েছেন ফ্রান্সের ৪ কোটি ৬০ লাখ মানুষ।