নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামীকাল ২৮ অক্টোবর বৃহস্পতিবার থেকে উদযাপিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী বারোমারী ফাতেমা রাণী মা মারীয়ার তীর্থোৎসব। শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বারোমারীতে সাধু লিও’র ধর্মপল্লীতে উদযাপিত হবে এই তীর্থোৎসব। তীর্থ উৎসব উদযাপন কমিটির এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। এই বছরের তীর্থোৎসবের মূলসুর, ‘মিলন ও ভ্রাতৃসমাজ গঠনে ফাতেমা রাণী মা মারীয়া।’ গত বছর করোনা মহামারীর কারণে সীমিত পরিসরে উদযাপিত হলেও এই বছর তীর্থোৎসব উদযাপিত হবে মহাসমারোহে।

প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির আহবায়ক ফা. আশিষ রোজারিও সি.এস.সি জানিয়েছেন, আগামীকাল বিকাল ৩টায় পুনর্মিলনী/পাপস্বীকার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উৎসব শুরু। এরপর বিকাল ৪টায় খ্রীস্টযাগ। এইভাবে ধারাবাহিকভাবে আলোকশোভাযাত্রা, পবিত্র সাক্রামেন্টের আরাধনা এবং নিশি জাগরণ অনুষ্ঠিত হবে। পরদিন শুক্রবার সকাল ৮টায় জীবন্ত ক্রুশের পথ এবং সকাল ১০টায় মহাখ্রীস্টযাগ। মহাখ্রীস্টযাগ উৎসর্গ করবেন কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি. রোজারিও সিএসসি।

২০০০ খ্রীস্টাব্দের জুবিলী বর্ষের তিন বছরের প্রস্তুতির শুরুতে ১৯৯৭ খ্রীস্টাব্দে ময়মনসিংহ ধর্মপ্রদেশের তৎকালীন ধর্মপাল বিশপ ফ্রান্সিস এ গমেজ বারোমারীতে ফাতেমা রাণী মা মারীয়ার তীর্থস্থান ঘোষণা করেন। ১৯৯৭ খ্রীস্টাব্দে সাড়ম্বরে প্রথমবারের মতো তীর্থোৎসব উদযাপন শুরু হয়। সে সময় থেকে প্রতিবছর অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে তীর্থ উদযাপন হয়ে আসছে। এই তীর্থস্থান এখন নিজ ধর্মপ্রদেশের গন্ডি পেরিয়ে অন্য ধর্মপ্রদেশের পূণ্যার্থীদের আধ্যাত্মিক ক্ষুধাও পূরণ করছে।