আ.বিমা টাইমস নিউজ ডেস্ক: ঢাকার রাজধানী শাহবাগে, জাতীয় যাদুঘরের সামনে গারো আদিবাসী নারী অধিকার নিয়ে ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ উপলক্ষে আজ “বাংলাদেশ গারো বিউটি পার্লার ওনার্স ওয়েলফেয়ার সোসাইটি”র উদ্যোগে ‘চয়েজ টু চ্যালেঞ্জ’ মূলসুরে এক বণার্ঢ্য র্যালি ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন। র্যালি ও মানববন্ধন কর্মসূচীটি সোমবার সকাল ১০টায় স্বপ্না আজিম এর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি সেংচি লুসি দ্রংয়ের সঞ্চালনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঢাকাসহ ঢাকার আশপাশের গারো নারী উদ্যেক্তা ও অন্যান্য গারো পেশাজীবী সংগঠন এ র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন।
ঢাকার শাহবাগে, জাতীয় যাদুঘরের সামনে গারো আদিবাসী নারী পার্লার উদ্যোক্তাদের র্যালি ও মানববন্ধন কর্মসূচী
ঢাকা সহ ঢাকার আশেপাশে ১২০টি গারো নারীদের উদ্যোগে বিউটি পার্লার গড়ে উঠেছে। এবং তাদের দ্বারায় এসব পার্লারগুলো পরিচালিত হয়ে আসছে দীর্ঘদিন। নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নে একসাথে কাজ করতে হবে, সামনে আরও এগিয়ে যেতে হবে এবং দক্ষ হাতে ব্যবসাগুলো টিকিয়ে রাখতে হবে। রাজধানীর বুকে নানা বৈরী আবহাওয়ার কাজ করতে হয়; যার ফলে গারো নারীদের অধিকার বাস্তবায়ন ও ব্যবসায় উন্নতি করতে হলে সংঘবদ্ধভাবে কাজ করার কোন বিকল্প পথ নেই। আজকের র্যালি ও মানববন্ধনের মাধ্যমে তারা এই বলে-ই জানান দেন।
ঢাকাস্থ নকমান্দি কমিনিউটি সেন্টারের সরাসরি তত্বাবধানে এবং উদ্যোগে, গেল বছর ২৬শে আগষ্ট ২০২০ সালে করোনা মহামারীর সময় “বাংলাদেশ গারো বিউটি পার্লার ওনার্স ওয়েলফেয়ার সোসাইটি” রাজধানী সহ ঢাকার আশেপাশের গারো বিউটি পার্লার নারী উদ্যোক্তাদের সংগঠিত করতে সংগঠনটি গঠিত হয়। সংগঠনের মূল লক্ষ্য হলো গারো নারী উদ্যোক্তা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও সমবন্টনের মাধ্যমে নিজেদের অর্থনৈতিক উন্নতি লাভ। নকমান্দির এক সমীক্ষানুযায়ী (অনুমানিক) ঢাকাসহ ঢাকার বাইরে প্রায় মোট ১৫০টির মতোন গারোদের উদ্যোগে বিউটি পার্লার পরিচালিত হয়ে থাকে।
গারো ওনার্স সোসাইটি সম্পর্কে নকমান্দির সমন্বয়কারী মি. প্রতাব রেমা বলেন, দেশের আনাচে-কানাচে গারোদের বিউটি পার্লার গড়ে উঠেছে; কিন্ত তাদের দেখভাল, এবং প্রয়োজনে আর্থিকভাবে প্রণোদনা দেবার মতোন কেউ নেই। সরকারী কিংবা বেসরকারী পৃষ্টপোকতা থাকলে গারো নারীরাও বাঙালী জাতিগোষ্ঠির মতোন ব্যবসা বাণিজ্যে সমান তালে এগিয়ে যেতে পারতো বলে আ.বিমা টাইমসকে জানান তিনি।