আ.বিমা টাইমস, মধুপুর: মধুপুরে রোববার ইকো-ট্যুরিজম ও আরবোরেটুম বাগানের নামে প্রাচীর নির্মাণ, প্রাচীন সামাজিক কবরস্থান (মাংরুদাম) এর উপর স্থাপনার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচী আয়োজন করেছে মধুপুরের বিক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা। কাল ৯ মে (রোববার ২০২১) সকাল ১০টায় জলছত্র (২৫ মাইল) বাসস্ট্যান্ডে এ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হবে।
এহেন উল্লেখ্য বর্তমানে টাঙ্গাইল জেলা মধুপুর থানার টেলকী গ্রামে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প (১লা জুলাই ২০১৮ হতে ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত গৃহিত) ‘স্থানীয় ও নৃ-গোষ্ঠি জনগণের সহায়তায় মধুপুর জাতীয় উদ্যানের ইকোট্যুরিজম উন্নয়ন ও টেকসই ব্যবস্থাপনা প্রকল্প’। এ বিষয়ে স্থানীয় আদিবাসীদের দাবির পক্ষে স্মারকলিপির কিছু অংশ নিম্নে দেয়া গেল-
১. প্রকল্পের শিরোনামে স্থানীয় ও নৃ-গোষ্ঠী জনগণের সহায়তার কথা উল্লেখ থাকলেও স্থানীয় আদিবাসীগণ সুস্পষ্ট অবহিত নয়। আদিবাসীদের সাথে যথাযথভাবে অর্থপূর্ণ আলোচনা না করেই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, যা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নীতিমালা ও শিষ্টাচার বহিঃর্ভুত।
২. টেলকী গ্রামে তথাকথিত আরবোরেটুম/উদ্ভিদ সংরক্ষণ উদ্যানের নামে স্থানীয় আদিবাসীদের পূর্বপুরুষদের বিদ্যমান প্রাচীন মাংরুদাম তথা সামাজিক কবরস্থান/শশ্মান এর স্থানে কোনো ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন না করা।
৩. পরিকল্পিত প্রকল্প এলাকায় আরবোরেটুম/উদ্ভিদ সংরক্ষণ উদ্যানের নামে প্রাচীর নির্মাণ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য স্থাপনা বন্ধ করা।
৪. পরিকল্পিত প্রকল্প এলাকা ও তৎসংলগ্ন স্থানীয় আদিবাসীদের বাইদ/নিচু ফসলি জমি ও চালা/উঁচু স্বত্বদখলীয় জমিতে প্রকল্পের কোনো ধরনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন না করা …..ইত্যাদি।
স্থানীয় আদিবাসীদের দাবি, আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় কোনো ধরনের প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হলে আদিবাসীদের সাথে অথপূর্ণ আলোচনা করতে হবে। ইকোট্যুরিজম উন্নয়ন ও টেকসই ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের নামে যে ধরনের স্থাপনা তথা দোখলা নামক স্থানে গেষ্ট হাউস নির্মাণ, লহড়িয়া বিট ফরেষ্ট অফিসে গেষ্ট হাউস ও প্রাচীর নির্মাণ, জলই মহুয়া কটেজে গেষ্ট হাউস ও প্রাচীর নির্মাণ তা বিনোদন পার্কের রূপান্তর মাত্র।
এই ধরনের প্রকল্প স্থানীয় আদিবাসীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ও জীবন-জীবিকার সাথে সাংঘর্ষিক ও মৌলিক অধিকার এবং মানবাধিকার লংঘন বলে স্পষ্ট প্রতিয়মান বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বিক্ষুব্ধ আদিবাসী।