ফারুক সাংমা, ময়মনসিংহ: বাংলাদেশে পশ্চাৎপদ গারো আদিবাসী লেখকদের সুসংগঠিত, উৎসাহ প্রদান ও পাঠক সমাজ তৈরির লক্ষ্যে গতকাল ২৯ মে (শনিবার ২০২১) ময়মনসিংহ শহরের সেন্ট প্যাট্রিক ক্যাথিড্রাল চার্চে, লেখক গবেষকদের নিয়ে, কমিটি গঠনের লক্ষে এক  আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আলোচনার পর ময়মনসিংহ মহানগরে গারো লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট ও গবেষকদের নিয়ে “সালজাদ্রি আ.চিক রাইটারস ফোরাম”একটি নয়া পর্ষদ গঠিত হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমকে সংশ্লিষ্টরা জানান।

আ.বিমা টাইমসকে ঐ ফোরামের এক সদস্য জানান, গারো আদিবাসী লেখকরা নানাভাবে অবহেলিত। ফলে গারো লেখকদের মধ্যে এখনো ঐক্য, লেখালেখির ঘরানা সেভাবে তৈরি করতে পারে নি। সেই মানসপটে প্রাথমিকভাবে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে। ফোরামের পর্ষদের সদস্যগণ হলেন- ফাদার বাওলেন চাম্বুগং- সভাপতি (কনভেনর), ধীরেশ চিরান- সেক্রেটারী, মিসেস লীনা জাম্বিল, মিসেস সুবর্ণা পলি দ্রং ও মি. ফারুক সাংমা প্রমুখ (সদস্য)।

এছাড়াও ফোরামের উপদেষ্টাগণ হলেন, ফাদার পিটার রেমা, ফাদার শিমন হাচ্চা ও মি. সুভাষ জেংচাম। ফোরামের কর্মকাণ্ড ও জাতিগোষ্ঠি বিবেচনা করে ফোরামে নাম করণ করা হয় “সালজাদ্রি আ.চিক রাইটারস ফোরাম”। ফোরামের নাম করণ করেন উপদেষ্টা ফাদার পিটার রেমা। ‘সালজাদ্রি’ মানে দাঁড়ায় সূর্যদোয়ের বিচ্ছুরিত আলো বা ভোরের সূর্যদয়।

ময়মনসিংহ মহানগর গারো লেখক, রাইটারস ফোরাম গঠনের উদ্দেশ্য ও উক্ত সভায় আলোচিত এজেন্ডাসমূহ, যেমন- ১) ময়মনসিংহ মহানগরে অবস্থানরত গারো লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক ও গবেষকদের নিয়ে একটি লেখক, রাইটারস্ ফোরাম গঠন, ২) গারো সমাজের যে সকল কবি লেখক, প্রাবন্ধিক ও গবেষকগণ বিভিন্ন বিষয়ে বিক্ষিপ্তভাবে লেখেন তাঁদের সংগঠিত করা, ৩) গারো পাঠক সমাজ গঠন এবং বর্তমান প্রজন্মকে লেখালেখির জন্য উৎসাহিত করা, ৪) প্রকাশনাসমূহ সমাজের সর্বস্তরের পাঠকদের নিকট ছড়িয়ে দেওয়া, ৫) অনেক প্রতিভাবান লেখকদের লেখা, ডকুমেন্টসমূহ যথাযথ প্রকাশের জন্য উৎসাহিত করা, ৬) বর্তমান প্রজন্মকে লেখালেখিতে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে পাঠক সমাজ গঠন করা, ৭) গারোদের জীবন মানউন্নয়নে, শিক্ষা, কৃষ্টি-সংস্কৃতি, ধর্মীয়, ব্যবসা-বাণিজ্য ও কৃষিসহ স্বকর্ম সংস্থানের উপর প্রামাণ্য চিত্র তৈরী করা বা উৎসাহিত করা, ৮) সংগঠনের নাম করণ ইত্যাদি।

আগামী মিটিংয়ে ফোরামের কার্যক্রম তথা এ পদযাত্রা সম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে আলোচনা করে গণমাধ্যমকে জানানো হবে বলে  সংশ্লিষ্টরা জানান।