ধনেপাতা শীতকালীন জুটসই এবং জনপ্রিয় একটি খুবই সস্তা সবজি ও মশলা। যেকোন সবজি রান্নায়, কিংবা তরকারিতে ধনেপাতা মিশেলী সুগন্ধি এবং স্বাদ অসাধারণ করে তোলে। ধনেপাতার ভর্তার স্বাদ জুড়ি মেলা ভার।

দামে সস্তা হলেও ধনেপাতায় রয়েছে খুবই চমৎকার ঔষধিগুণ, যা আমরা অনেকেই জানি না। এই সবজি ও মশলা খাদ্য উপাদান মানুষের শরীরে হজম প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখাসহ পেটের পীড়া, কিডনি, রক্তচাপ, এলার্জি এবং চর্মরোগ; আরও বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে কাজ করে।

ধনেপাতায় কি কি উপাদান রয়েছে এবং শরীরের কোন কোন রোগ উপশমে, রোধে ভেষজ হিসেবে কাজ করে, যা জানলে আপনি অবাক হবেন। মানুষ নানান খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত। এ খাদ্যাভাসের দরুণ মানুষের শরীরে ধীরে ধীরে, নিজের অজান্তেই জমা হতে থাকে বেশ কিছু বিষাক্ত পদার্থ। যা মানুষের শরীরে পরবর্তীতে বহু দূরারোগ্য ব্যাধি যেমন মরণব্যাধি ক্যান্সার, হৃদরোগ, মস্তিষ্কের বিভ্রাট, মানসিক রোগ, কিডনি ও ফুসফুসের সমস্যা এবং হাড়ের দুর্বলতা ইত্যাদি জটিল রোগ তৈরি হতে পারে।

ধনেপাতার ভেষজ কয়েকটি অসাধারণ গুণসমূহ, যেমন-

ক) ধনেপাতা রক্তপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ এবং শরীরের সমস্ত ক্ষতিকর বা দূষিত উপাদান দূর করে শরীরকে সুস্থ ও সতেজ রাখতে সাহায্য করে।

খ) ধনেপাতায় থাকে পট্যাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, লোহা ও ম্যাগনেশিয়ামের মতো বেশ কয়েকটি উপকারী খনিজ, যা শরীরকে সুস্থ্য রাখতে সহায়তা করে।

গ) এ খাদ্য  ভিটামিন এ, সি ও কে’র জোগান দেয়; যা মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

ঘ) ধনেপাতায় অ্যান্টিসেপ্টিক, অ্যান্টিফাংগাল এবং যেকোন চুলকানি, চর্মরোগ ও চামড়ার জ্বলনে অব্যর্থ ঔষুধ হিসেবে কাজ করে।

ঙ) এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপ কমাতে ধনেপাতার জুড়ি নেই। ধনেপাতা ক্যালশিয়াম অ্যান্টাগনিস্টস উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

চ) খাদ্য হজমে সাহায্য করে ও পাকস্থলী প্রদাহ রোধ করে।

ছ) শরীরের জন্য ক্ষতিকর চর্বি হ্রাস করে ও উপকারী চর্বির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।

জ) মানুষের রূপচর্চায় উপাদান হিসেবে ধনেপাতা খুবই উপকারী।

ঝ) ধনেপাতার জোস কিডনির বিষাক্ত পদার্থ দূরিকরণে অন্যতম ভেষজ ঔষধি।

এছাড়াও ধনেপাতায় আরও বহুবিধি গুণাগুণ রয়েছে; যা নিয়মিত খেলে শরীরের কোন ক্ষতি নেই, বরং আপনার উপকারে আসবে।

লুই সাংমা, ফ্রান্স
ওয়েভ ডেভেলপার, ব্লগার, আন্তর্জাতিক ফ্রিল্যান্সার এবং
সাংস্কৃতিক কর্মী।