বাপন নেংমিঞ্জা, শেরপুর প্রতিনিধি : স্থানীয় সরকার জেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ২০১৬ এর বিধি ১০ মোতাবেক সংরক্ষিত মহিলা আসনে প্রার্থী হিসেবে লড়বেন গারো আদিবাসী নেত্রী কেয়া নকরেক। শেরপুর জেলাধীন নালিতাবাড়ী থানার আন্ধারুপাড়া গ্রামের নালিতাবাড়ী ট্রাইবাল চেয়ারম্যান মিঃ কোপেন্দ্র নকরেকের কন্যা কেয়া নকরেক আ.বিমা টাইমসকে উক্ত নির্বাচনের প্রার্থীতা সম্পর্কে নিশ্চিত করেন।

তিনি বর্তমানে দুদক এর দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি নালিতাবাড়ী উপজেলার সদস্য হিসেবে নিযুক্ত আছেন। এ ছাড়াও তিনি বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ এর জয়েন্ট সেক্রেটারী হিসেবেও কর্মরত আছেন ।

কেয়া নকরেক পিক২

ছবি: আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস, আদিবাসী নেত্রী কেয়া নকরেক

টেলিফোনে কেয়া নকরেক জানান, নালিতাবাড়ী এবং ঝিনাইগাতী থানা যেহেতু একটি আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা এবং এই আসনে তার বিজয় হলে এসব এলাকার আদিবাসী তথা সব ধরণের উন্নয়নমূলক কাজে নারীদের অগ্রাধিকার দেবেন বলে জানান এই গারো নারী নেত্রী। শেরপুর জেলায় এই নির্বাচনকে মূলত দুভাগে ভাগ করা হয়েছে। ওয়ার্ডের ভিত্তিতে ভাগ করা এই আসনের মধ্যে কেয়া নকরেক ওয়ার্ড ২ এর অধীনে নির্বাচনে অংশ নিবেন। ওয়ার্ড দুই এর অধীনে থাকছে নালিতাবাড়ী, নকলা ও ঝিনাইগাতী থানা।

তিনি আরও জানান, এই এলাকার আদিবাসী জনগোষ্ঠী এখনো শিক্ষা, সংস্কৃতির উন্নয়ন দেখে নি। তার মধ্য দিয়ে যাতে এই খাতে বিশাল একটি উন্নয়ন ও সমাজে নতুন কিছু আসতে পারে সেদিকে খেয়াল রেখে তিনি আগামী দিনে প্ল্যান মাফিক কাজ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ফলে এই আসনে জয়ী হতে হলে এলাকার সকল স্তরের আদিবাসীদের তার প্রতি আস্থা রেখে তাকে সমর্থন করে যেতে হবে।

নির্বাচনের এই প্রক্রিয়া এক সময় শুধু একটি থানাতেই আওতাভুক্ত ছিল। বর্তমানে তিন থানা মিলিয়ে নির্বাচন এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। সংরক্ষিত মহিলা আসনের ভাবি প্রার্থী কেয়া নকরেক বলেন, রাষ্ট্রীয় কাঠামোর মূল স্থানগুলোতে আদিবাসী কেউ না থাকলে নিজেদের সমস্যা, কান্না সরকারের কাছে কখনো পৌছাবে না । এই সমস্যার সমাধান কল্পেই মূলত তিনি এই পদে লড়বেন বলে আ.বিমা টাইমসকে নিশ্চিত করেছেন এই আদিবাসী নেত্রী।

নির্বাচনী বিধি মোতাবেক এই পদে কোনরকম দলীয় প্রতীকে নমিনেশন নেয়ার সুযোগ থাকছে না। ফলে বিজয়ী প্রার্থীই মূলত এই আসনে স্থান করে নেবেন বলে জানিয়েছেন আদিবাসী নেত্রী কেয়া নকরেক ।

উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী আসন্ন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২। এরপর প্রার্থীটা যাছাই বাছাইয়ের পর ২৬ সেপ্টেম্বর প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১৭ অক্টোবর ২০২২, সকাল ৯টা হতে বেলা ২টা পর্যন্ত ইভিএম পদ্ধতির মাধ্যমে ভোটগ্রহণের কথা রয়েছে।