আ.বিমা টাইমস, শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতীতে অবস্থিত গজনী অবকাশ কেন্দ্রের গজনী গ্রামে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কালচারাল সেন্টার উদ্বোধন করা হয় । আজ ৬ মে ২০২২, শুক্রবার বিকাল তিনটায় এই কালচারাল সেন্টার উদ্বোধন করেন ময়মনসিংহ বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. শফিকুর রেজা বিশ্বাস ।
এছাড়াও উদ্বোধনের সময়ে উপস্থিত ছিলেন শেরপুর জেলার জেলা প্রশাসক মমিনুর রশিদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মুক্তাদিরুল আহমেদ, ঝিনাইগাতী উপজেলার ইউএনও ফারুক মাসুদ ও আরও অন্যান্য স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।
এ সময় উদ্বোধক বলেন বিরিশিরি কালচারাল একাডেমির আদলে এই কালচারাল সেন্টারকেও একসময় সরকারীভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে এবং এখানে গারো আদিবাসী সহ অন্যান্য কোচ, বানাই, হাজং আদিবাসী সহ সকলেই তাদের সাংস্কৃতিক কার্যক্রমকে প্রসারিত করতে পারবে।
তবে এই কালচারাল সেন্টার স্থাপনের প্রেক্ষিতে এলাকার আদিবাসীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। উল্লেখ্য যে বিভিন্ন মাধ্যমে এই কালচারাল সেন্টার স্থাপনের উদ্দেশ্যকে মূলত ঐ স্থানে বহুদিন ধরে স্থাপিত গজনী অবকাশ কেন্দ্র বা পর্যটনের একটি অংশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যার কারণে আদিবাসী তথা ঐ এলাকায় বসবাসরত গারো আদিবাসীদের কাছে উক্ত কালচারাল একাডেমী স্থাপনের মূল উদ্দেশ্য এখনো পরিষ্কার নয় বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক এলাকাবাসী অভিমত জানিয়েছেন। সীমান্তবর্তী জেলার শেরপুরের গজনীতে স্থাপিত এই ‘কালচারাল সেন্টার’ বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কালচারাল একাডেমীর আদলে পরিচালিত বা সম্প্রসারিত হবে কিনা এই ব্যাপারে এখনো তেমন কোন সুস্পষ্ট তথ্য পায় নি এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য যে বাংলাদেশে সরকারী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কালচারাল একাডেমী বাংলাদেশের ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোনায় একটি রয়েছে। যেটি বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ, পরিচর্যা, উন্নয়ন ও চর্চা এবং লালনের লক্ষ্যে ১৯৭৭ সালে সংকৃতি মন্ত্রণালয়ের একটি বিশেষ প্রকল্পের মাধ্যমে তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলার নেত্রকোণা মহকুমার দুর্গাপুর থানাধীন বিরিশিরিতে এ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমিটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।