সোশ্যাল মিডিয়াতে শোরগোল ফেলে দিয়েছে আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। যিনি হিরো আলম নামে অধিক পরিচিত। একদিকে হিরো আলমকে নিয়ে সমাজের কিছু স্তরের মানুষের তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের অন্ত নেই; তেমনি এই হিরো আলমের প্রতি গভীর সহানুভূতিশীল, সংবেদনশীল, দানশীল মানুষেরও অভাব নেই। শুধু তাই নয়, হিরো আলম সকল কাজের কাজী, হিরো আলম শিক্ষিত নেতার চেয়েও সুযোগ্য নেতা, প্রান্তিক মানুষের জন্য অদম্য আইকন তকমা দিতেও অনেকেই দ্বিধা করছেন না। অর্থাৎ ওঁরা কেও কেও হিরো আলমকে নেতা, সমাজ সেবক হিসেবে দেখতে চাইছেও। প্রসঙ্গত তিল পরিমাণ বাড়িয়ে বলছি না। মোদ্দা কথা, এ দুপক্ষই হিরো আলমের পক্ষে বিপক্ষে যুক্তির ওপর পাল্টা যুক্তি দিতে আগ্রহের ঘাটতি নেই।
সাংবাদিক এবং নির্বাচনে হিরো আলম
হিরো আলমের কোন বিষয় নিয়ে এতো প্রশ্ন উঠছে- হিরো আলমের এ চেহেরায় কীভাবে হিরো বা নায়ক হয়, কাক কন্ঠে কীভাবে গায়ক হয়, অভিনয়ে তালিম নেই অভিনেতা কি করে হয়, সামঞ্জস্যহীন ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে কীভাবে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়, আর সর্বশেষ ইস্যূ হলো শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই কীভাবে সাংসদ বা এমপি হবে, সাংসদে কি অবদান রাখবে ইত্যাদি বিষয় জন মানুষের কাছে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন হিরো আলম। এই হিরো আলম থেমে নেই, কখন এবং কোথায় থামবে তাও জানা নেই কারোর!
হিরো আলমকে নিয়ে কেন এতো প্রশ্ন উঠছে- হিরো আলমের অতীত থেকে পাঠ নিয়ে যা বুঝতে পারি, অর্থাৎ অতীতে হিরো আলম সোশ্যাল মিডিয়াতে তুলকালাম কিছু ঘটনা ঘটানোর পর মানুষের এমন প্রশ্ন জাগতেই পারে। তাঁর যোগ্যতা নিয়ে সন্দিহান থাকতেই পারে, প্রশ্ন তোলা যেতেই পারে। যেহেতু প্রশ্ন তোলার ব্যাপারে হিরো আলম কোন প্রশ্নাতীত, সন্দেহাতীত বা পরিক্ষীত কোন ব্যক্তি নয়। অর্থাৎ তিনি এমন কোন অসাধ্য কর্ম সাধন করেনি কিংবা বংশ পরাম্পর উত্তারাধিরী সূত্রে পাওয়া তকমাও তাঁর নেই।
আরও প্রশ্ন জাগে মনে- এসব ইস্যূ নিয়ে হিরো আলমের প্রতি আমরা অন্যায় করছি কি না; অথবা হিরো আলমের প্রতি খামকা সংবেদনশীল হয়ে উঠছি কি না। আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে নিচের আলোচনা থেকে বুঝে নেয়ার চেষ্টা করবেন, এবং নিজে নিজেই সিদ্ধান্ত নিবেন; এসব সঠিক সিদ্ধান্ত নেবার দায়িত্বও আপনার-
আমরা জানি, সোশ্যাল মিডিয়াতে সামঞ্জস্যহীন কনটেন্ট ক্রিয়েট করতে গিয়ে হিরো অলমের স্পর্ধা প্রশাসন পর্যন্ত গড়িয়েছিল। সেখানেও হিরো আলম থামেনি। নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে এবার হিরো আলম স্পর্ধা দেখিয়েছে রাজনীতির ময়দানে; অর্থাৎ বগুড়া-৪ দুটি আসনে সংসদ নির্বাচন করে। নির্বাচনের ফল নিয়ে সেখানেও হিরো আলম ওপেন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন আওয়ামী লীগের সম্পাদক জনাব ওবায়দুল কাদেরকে যে, আসুন খেলা হবে! তিনি শক্তিশালী দলের সঙ্গে খেলতে চান। ওখানেও হিরো আলম থামবেন কি না আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। হিরো আলমকে নিয়ে ভদ্র, অভদ্রসমাজে কখন স্বস্তি ফিরবে তাও ঐ হিরো আলম জানে, নয়তো এক আল্লাহ মাবুদই জানে ভালো।
যদিও কিছু বুদ্ধিজীবি বলছেন সর্বশেষে সংসদের উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে আমাদের এই ভদ্রসমাজের মানসিকতাকে আরও উন্মোচিত করেছেন তিনি। আবার কেউবা বলছেন লেখাপড়া, ডিগ্রি, শিক্ষাগত যোগ্যতা ওয়্যালা চোর, বদমাইশ নেতা দিয়ে কি হবে? ওখানেই শেষ নয়, কেউবা স্বস্তির ঢেকুর ফেলবেন অনেকেই এটা ভেবে যে অশিক্ষিত ভাগ্য মডেল হিসেবে। যদি সত্যি সত্যিই তিনি এমপি হয়ে যান, হ্যাঁ হিরো আলমকে জীবন সংগ্রামের বিরল সফল ব্যক্তি হিসেবে পাঠ নেয়া যেতে পারে; তার মানে এ নয় যে সকল ক্ষেত্রে, সফলভাবে এবং সমানভাবে জনকল্যাণে হিরো আলম সকলকে পাঠ দিতে পারবেন, পারবেন কি!
হিরো আলমের কাছে পাঠ নিতে পারেন জাস্ট কিছু স্পর্শকাতর বাক্য দিয়ে, এবং এসব বিষয়ে শিক্ষা নেওয়ার বিষয়টি হিরো আলম ভালো জানেন। তিনি মিডিয়াতে অহরহ বলেছেন, ‘শিক্ষিত সমাজের কিছু লোক আছেন, যাঁরা আমাকে মেনে নিতে চান না। তাঁরা মনে করেন, আমি পাস করলে বাংলাদেশের সম্মান যাবে। আমরা এত শিক্ষিত, হিরো আলমের মতো মূর্খকে স্যার ডাকতে হবে। এ জন্য তাঁরা আমাকে মানতে চান না।’
যদিও হিরো আলমের এসব অভিযোগ আমরা অস্বীকার করতে পারবো না। হিরো আলমের অভিযোগ যেমন অস্বীকার করারও উপায় নেই; তেমনি হিরো আলমের সামান্য যোগ্যতা দিয়ে কাজে প্রমাণ না করা পর্যন্ত হিরো আলমকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করার যৌক্তিকতা নেই। আমরা যারা হিরো আলমের সাংসদ হবার যোগ্যতা প্রশ্নে, এটা সমাজের কণ্ঠহীন, অবয়বহীন আর ক্ষমতাহীন মানুষদের প্রতি আমাদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য বলে বাহব্বা দিচ্ছেন, হিরো আলম এমন সুবিধাবঞ্চিত সমাজ থেকে উঠে এসেছে তাঁর কণ্ঠ, চেহারা, এমনকি ক্ষমতা আমাদের দেখাতে পারছেন সদর্পে, এটা সহ্য হয় না মনে করছেন তাদের জন্য বলি, কোথায় আমরা বরং আমরা অভিযোগ করবো যে, হিরো আলম রুচিহীন ও নিম্নমানের, তাঁর গান ও অভিনয় সহ্য করা যন্ত্রণাদায়; সেখানে তাঁর পক্ষ নিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেবার দু:সাহস যুগিয়ে যাচ্ছি। হিরো আলমের অযোগ্যতাকে আপনারা আমরা আবেগের তাড়নায়, জেনেশুনে জনসম্মুখে স্বীকৃতি দিয়ে, এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে অন্যকেও করতে উৎসাহিত করছিনাতো!
হিরো আলম সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আমাদের যে বিষয়গুলো ভেবে দেখা উচিত, যেমন- তিনি সাংসদ তাহলে যে দায়িত্ব অর্পিত হবে তা পালন করতে আদৌ পারবেন কি না, এমন যোগত্য তাঁর আছে কি না- তা ভালো করে বিবেচনা করুন। একজন সাংসদের আসলে কাজটা কি – দেশের আইন বিভাগ হিসেবে আইন প্রণয়ন সংসদ সদস্যদের প্রধান কাজ হলেও রাষ্ট্রের যেকোনো অভ্যন্তরীণ কিংবা আন্তরাষ্ট্রীয় বিষয়ে সরকারি নীতি নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা-সমালোচনা হওয়ার জায়গা সংসদ। সংসদের আলোচনার মাধ্যমে একটা রাষ্ট্রের আইন তৈরি এবং রাষ্ট্রীয় নীতি ঠিক হওয়ার কথা। অন্তত তাত্ত্বিকভাবে সংসদীয় গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সংসদই সব রকম কর্মকাণ্ড পরিচালনার মূল কেন্দ্রবিন্দু। এহেন আমরা খুব সহজে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছি কোন একজন সংসদ সদস্য যখন সংসদে যান, তাঁর জানা থাকার কথা যে তিনি আইন প্রণয়ন এবং রাষ্ট্রীয় নীতি পর্যালোচনা এবং সংশোধনে সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখবেন। সংসদের রাষ্ট্রের নানা বিষয়ে আইন তৈরি হবে। দ্বিমত প্রকাশ করতেও পারবেন। আসল কথা হলো, উত্থাপিত বিলে তিনি পক্ষে না বিপক্ষে, ভোট দেবেন, সেই সিদ্ধান্ত স্বাধীনভাবে দেওয়ার জন্য বিলটি সম্পর্কে তাঁর যথেষ্ট ধারণা প্রয়োজন হবে। সংসদে গিয়ে সত্যিকারের সংসদ সদস্য হয়ে উঠতে হবে।
সর্বপরি সংসদে নির্বাচিত সদস্যরা যে একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড থেকেই আসুক না কেন, প্রতিটি বিষয়ে তাঁদের মৌলিক ধারণা নিতেই হবে। না হলে তাঁর পক্ষে স্বাধীনভাবে কোনো বিলের পক্ষে কিংবা বিপক্ষে অবস্থান নেয়া কঠিন হবে। অপর দিকে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং আন্তর্জাতিক ভূরাজনৈতিক ইস্যুতে দেশের অবস্থান কেমন হবে, সেটার জন্য একজন সংসদ সদস্যকে এসব বিষয়েও যথেষ্ট ধারণা রাখতে হবে। সেটার ভিত্তিতেই এসব ক্ষেত্রে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের পক্ষে কিংবা বিপক্ষে, ভূরাজনৈতিক অনেকে বিষয়ে গঠনমূলক অবস্থান নিতে হবে। অর্থাৎ সংসদে অনেক বিষয়ে আলোচনা হবে সে বিষয়ে কিছু না কিছু মৌলিক ধারণা থাকা অবশ্যক, কিন্ত সে এটা বলতে পারবেন না, এ বিষয়ে তাঁর কোন ধারণা নেই। সর্বোপরি একজন সংসদ সদস্য যেহেতু আইনপ্রণেতা, তাই তাঁর পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান থাকতে হবে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন, সংবিধান সম্পর্কে। এ ক্ষেত্রে আমি আইনজ্ঞ কিংবা সংবিধানবিশেষজ্ঞ নই, এ কথা বলার কোনো সুযোগ নেই।
হিরো আলম যেভাবে সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁর গান, আর অভিনয় দেখতে না চাইলেও পরোক্ষভাবে দেখতে মানুষকে বাধ্য করছেন, এও মিথ্যে নয়। আর গান, অভিনয় আর সংসদের ভূমিকা বিষয়টি এক নয়। হিরো আলম গান, অভিনয় না পারলেও উনি বলেই ফেলেন যে, ওঁরা পারলে আমিও পারবো। কথার কথায় হিরো আলম সবই করতে পারবেন, অর্থাৎ পারেন না বলে তাঁর অভিধানে কোন শব্দ নেই। এসব শাখায় তিনি গ্রহণযোগ্য কোন কিছুই কিন্ত করতে পারেন নি, দেখাতে পারেননি এখনো। হিরো আলমের ’আমিও পরি’ এবং ‘পারার’ বিষয়টি এখনো প্রুফ নয়, ভবিষ্যতেও পারবেন এর কোন নিশ্চয়তা নেই, সে দিতে পারবেন না। পারলে আমাকে তখন বিশ্বাস করতেই হবে যে তিনি আসলেই যা মুখে বলেন তা বাস্তবেও করতে পারেন। এখনই হিরো আলম ‘আমি পারবো, আমিও পারি’ বলে জনগণের সঙ্গে মিথ্যাচার করছে। একজন সাংসদ, কিংবা জনপ্রতিনিধি হলে আজকের এই হিরো আলম কতশত মিথ্যে বলবে, সেও আট দশটা নেতার মতোন হরহামেশায় মিথ্যে বলতে পারে হয়তো তা সময় বলে দিবে আমাদের।
আমার ব্যক্তিগতভাবে আরও প্রশ্ন জাগে, কিছুদিন আগেও হিরো আলমকে নিয়ে যে সোশ্যাল মিডিয়া চোখ উল্টিয়ে কথা বলতো, আজ সেসব সোশ্যাল মিডিয়া বিনয়ের চোখে তাঁর পক্ষে কথা বলেন। তাঁর পক্ষে কথা বলেন আরও কিছু এলিট শ্রেণীর মানুষও। বিষয়টি ভাবতে অবাক করে আমাকে বৈকি! নাকি বলবো এক হিরো আলমের জন্য বাংলাদেশের সকল মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গেছে, বদলে গেছে কি!
এহেন আমার শেষ কথা হলো, হিরো আলম বলেছেন তিনি নেতা হয়ে দেশের সেবা করবেন। এর জন্যে তিনি ভোটে নির্বাচন করছেন। তিনি ব্যতিক্রম এবং ভালো নেতা হবেন। খুব ভালো কথা। যাতে তাঁকে মানুষ অনুসরণ করেন। যদি তাই হয়, ভালো কাজ, অথবা অনুসরণ করার পৃথিবীতে অনেক উপায় রয়েছে। অনেক ভাবেই উদাহরণ তৈরি করা যায়। সমাজে রাষ্ট্রে রোল মডেল বা আইকন হওয়া যায়। মোদ্দা কথা, আপনার যদি আলু পটল বিক্রির যোগ্যতা থাকে; তাহলে আলু পটল বিক্রি করে কোটিপতি হোন, সমাজ সেবা করেন। কোটিপতি হতে, সমাজ সেবা করতে আপনার কোন বাধা নেই, দেখি না। আলু পটলের যোগ্যতা দিয়ে সাংসদ, মন্ত্রী হবার, দেশ পরিচালনা স্বপ্ন আপনার সঙ্গে যায় না এটা প্রত্যেককে বুঝতে হবে। সে লজ্জা আপনার নয়, তা হবে দেশ এবং জাতির। সেটি বুঝার যোগ্যতাও আপনার থাকতে হবে। আলু পটল বিক্রি করে কোটিপতি হয়ে দেশ ও দশেরও সেবা করা যায়, যদি আপনার সে ইচ্ছা থাকে। সে জন্য আপনাকে এমপি, মন্ত্রী, নেতা হতেই হবে এমনও নয়। বেশির ভাগ এমপি, মন্ত্রী, নেতা হয়ে তাঁরা কি দায়িত্ব পালন করেন তা আমাদের অজানা কিছু নয়।
সংবিধানে নির্বাচন করার অধিকার নিশ্চিত হলেও আপনাকেই নিশ্চিত হতে হবে যে, সে দায়িত্ব বা কাজ করার যোগ্যতা আপনার মধ্যে রয়েছে কি না। মানুষ হিসেবে, দেশের নাগরিক হিসেবে ভাত কাপড়ের অধিকার সমান হতে পারে; কিন্ত ক্ষেত্র বিশেষে, পেশাদারিত্বে পার্থক্য এবং সেটি যোগ্যতার ভিক্তিতে নির্ণয়মান হয় এবং হওয়া উচিত। নিজের অধিকার নিশ্চিত করতে গিয়ে দেশ ও দশের ক্ষতি করবেন না, অযোগ্য বিষয়টি নিয়ে নিজেই হাসির পাত্র হবেন না। ‘তেজপাতা’ নাম দিয়ে সকল কাজে তেজ দেখিয়ে লাভ নেই। আপনি হিরো আলম যা পারেন তা করে যান, সময় বলে দিবে আপনি হিরো আলম আসলে কি পারেন, আর কি পারবেন না। এ হিরো আলম যদি এ দেশের প্রান্তিক মানুষের জন্য অদম্য আইকন হন, সত্যিকার হিরো হিসেবে তাঁদের ‘স্যার’ বলতে, স্যালুট দিতেও কারোর অসুবিধা থাকার কথা নয়।
আপনাদের প্রতি আমার ব্যক্তিগত প্রশ্ন হলো- যদি এমন কোন গুণ হিরো আলমের মধ্যে নাই থাকে; তাহলে হিরো আলম এমন কি যাদু ভেলকিতে সেই আপনি আপনারা তাঁর ভালোবাসায় মজে গেলেন, সে এক হিরো আলমের প্রতি আপনি কেন এতো সহানুভূতিশীল, সংবেদনশীল হবেন! হিরো আলমের কিছু যোগ্যতা আগে প্রমাণীত হোক, তবেই না বলতে পারবেন ‘তেজপাতা’ নাম হয়েছেতো কি, এবার সে তেজপাতার তেজ দেখে যাও। তখন তেজপাতার তেজ দেখতে, মানতে কারোর অসুবিধা থাকার কথা নয়। শুধু হিরো আলম নয়, সংসদে এমন অযোগ্য ব্যক্তি যাঁরা রয়েছেন তাঁদের প্রতিও এটি সুস্পষ্ট বার্তা দেয়, দেয় কি ! হিরো আলমের অদম্য ব্যর্থ প্রচেষ্টাকে আমরা আপনারা যারা আইকন মনে করছেন আপনাদের বিবেচনাবোধ নিয়ে প্রশ্ন জাগা অস্বাভাবিক কিছু নয়! এক হিরো আলমকে বাহবা দিয়ে দেশের ইমেজের বারোটা বাজাচ্ছেনাতো !
লুই সাংমা
সাংস্কৃতিক কর্মী, ফ্রান্স।