আ.বিমা টাইমস নিউজ ডেস্ক: ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপির নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন এনডিএ জোটের প্রার্থী হচ্ছেন দ্রৌপদী মুর্মু। ওড়িশার প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী দ্রৌপদী ওই রাজ্যের সাবেক মন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদি সরকারের আমলে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল পদেও ছিলেন তিনি। নির্বাচিত হলে তিনি হবেন ভারতের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি।

২১ জুন মঙ্গলবার বিজেপির বৈঠকের পরে দলের সভাপতি জেপি নড্ডা তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের নেত্রী দ্রৌপদী মুর্মুর নাম ঘোষণা করেন। নড্ডা বলেন, ‘এনডিএ শরিকদের সাথে আলোচনায় সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ২০ জনের নাম এসেছিল। শেষ পর্যন্ত সর্বসম্মতভাবে দ্রৌপদী মুর্মুর নাম চূড়ান্ত হয়েছে।’

দ্রৌপদী মুর্মু , ভারতের রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী 

প্রার্থী ঘোষণার পরই দ্রৌপদী মুর্মুকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি জানিয়েছেন, ‘সমাজসেবা এবং গরিবদের ক্ষমতায়নে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন মুর্মু। তাছাড়া প্রশাসন সম্পর্কে তার অভিজ্ঞতাও অনেক। আমি নিশ্চিত উনি রাষ্ট্রপতি হিসাবে দুর্দান্ত কাজ করবেন।’

মঙ্গলবার একই দিনে বিরোধী জোটের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হিসেবে সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশোবন্ত সিনহার নাম ঘোষণা করা হয়। রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হতে এর আগে তিনজনকে প্রস্তাব দেওয়া হয়। তাঁরা হলেন ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) শারদ পাওয়ার, ন্যাশনাল কনফারেন্সের (এনসি) প্রধান ফারুক আবদুল্লাহ ও মহাত্মা গান্ধীর নাতি গোপালকৃষ্ণ গান্ধী। তাঁরা প্রার্থী হতে রাজি হন নি। এরপরই যশোবন্ত সিনহার নাম প্রস্তাব করে বিরোধী জোট।

২০১৭ সালেও ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থীর তালিকায় দ্রৌপদী মুর্মুর নাম ছিল। সেসময় বিহার রাজ্যের গভর্নর ও দলিত সম্প্রদায়ের রামনাথ কোবিন্দকে মনোনয়ন দেয় বিজেপি। ক্ষমতাসীন দলের সমর্থনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত কোবিন্দের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৫ জুলাই।

ভারতের নির্বাচন কমিশন বলেছে, পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে ১৮ জুলাই। ২১ জুলাই হবে ভোট গণনা। এরপর ২৫ জুলাই রাষ্ট্রপতি শপথ নেবেন।

দ্রৌপদী মুর্মুর জন্ম ২০ জুন, ১৯৫৮ সালে ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার একটি আদিবাসী পরিবারে। রামাদেবী মহিলা কলেজ, ভূবনেশ্বর থেকে তিনি স্নাতক পাশ করেন। শ্রী অরবিন্দ ইন্টিগ্রাল এডুকেশন সেন্টার, রায়রাংপুরে ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত শিক্ষতা করেন। ২০০০ ও ২০০৪ সালে বিধানসভা নির্বাচনে জিতে নবীন পট্টনায়কের নেতৃত্বাধীন বিজেডি-বিজেপি জোট সরকারের মন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। সামলেছিলেন, পরিবহণ, পশুপালন, মৎস্য দফতর। ২০০৭ সালে ওড়িশার সেরা বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি। দ্রৌপদী ২০১৫-র মে থেকে ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল ছিলেন।