আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: ফ্রান্সে করোনা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল এবং অচল অবস্থায় রয়েছে। ফলে দেশটিতে তৃতীয় লকডাউনের সম্ভাবনার কথা জানালেন ফ্রান্সের মেডিকেল বিষয়ক শীর্ষ উপদেষ্টা প্রফেসর জ্যাঁ-ফ্রাসিস ডেলফ্রাসি। তিনি বলেছেন, করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য খুব শিগগিরই দেশজুড়ে তৃতীয় লকডাউন দেয়া হতে পারে। গত সপ্তাহে কঠোর কারফিউ দেয়া হয়েছিল। কিন্ত তা সত্ত্বেও দেশে করোনা কমেনি বরং আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। তাই তিনি করোনা ইস্যুতে নেতাদের পরামর্শ দিয়েছেন এবং দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি আরও মনে করেন, নতুন ধরনের করোনা ভাইরাস যে গতিতে সংক্রমণ বৃদ্ধি করেছে তা নিয়ে উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি এও বলেছেন, এর আগে প্রথমবার বৃটেনে নতুন যে করোনা ভাইরাসের ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করা হয়েছে তা খুবই সংক্রামক। বর্তমানে ফ্রান্সে যে পরিমাণ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন এই ভাইরাসে, তার মধ্যে শতকরা ৭ থেকে ৯ ভাগই এই ভাইরাসের সংক্রমণ। এই সংক্রমণকে দ্রুত থামাতে হবে। তবে তিনি বলেন, ইউরোপের অন্য দেশগুলোর তুলনায় ফ্রান্সের অবস্থা ভাল।

তিনি স্থানীয় বিএফএম টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেন, ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টকে দ্বিতীয় মহামারির সমতুল্য বলে মনে করেন। প্রফেসর ডেলফ্রেসি আরও বলেন, আমরা যদি বিধিনিষেধ আরো কঠোর না করি, তাহলে মধ্য মার্চ থেকে অত্যন্ত কঠিন একটি অবস্থায় নিজেদেরকে দেখতে পাবো।

এছাড়াও ফ্রান্সে আরো কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করার প্রয়োজন আছে কিনা তা ক্ষতিয়ে দেখছেন এবং এ ব্যাপারে আলোচনা করতে বুধবার বৈঠকে বসার কথা রয়েছে ফরাসি সরকারের। তবে এখন পর্যন্ত জানা যাচ্ছে অনেক সরকারি কর্মকর্তা তৃতীয় লকডাউন দেয়ার বিরোধী। তারা এক্ষেত্রে বেশি রাত পর্যন্ত কারফিউ দেয়ার পক্ষে, যাতে করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা রাখা যায়।

এদিকে ফ্রান্সে এখনো সন্ধ্যা ৬টা থেকে কারফিউ বহাল আছে। কিন্তু গেল সাতদিনে সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছেই। গড়ে প্রতিদিন দেশটিতে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন ২০ হাজারের উপরে। এ অবস্থায় ফরাসি প্রধানমন্ত্রী জ্যাঁ ক্যাসটেক্স বলেছেন, অবস্থার এর চেয়ে আরও অবনতি হলে বিলম্ব না করে বিধিনিষেধ আরো কঠোর করা যেতে বলেও তিনি জানান। সূত্র/টিএফআই