বাপন নেংমিঞ্জ, শেরপুর: বেশ এক সপ্তাহ ও কিছু বেশি সময় ধরে শেপুর জেলার ঝিনাইগাতি থানার বাকাকুরা, গান্ধিগাও, হালচাতি, ছোট গজনী ও বড়গজনি ইত্যাদি গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় বাঘের আতংকে দিন কাটাতে শুনা গেছে এলাকাবসিকে। তাছাড়া বিভিন্ন টেলিভিশন, প্রিন্ট মিডিয়া ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার করার কারণে এলাকাবাসীদের মনে বেশ নাড়া দিয়েছি বিষয়টি। কিন্তু এলাকার কাউকে জিজ্ঞেস করা হলে সবাই বলছে তারা শুনেছেন; কিন্তু নিজ চোখে কেউ বাঘ দেখেনি। তবে এলাকার কিছু এলাকায় ছাগল, ভেড়া, গরু হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

এই বিষয় নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরিতে ১০ অক্টোবর বড় গজনী ও ছোট গজনী গ্রামে আ.বিমা টাইমস গেলে তারা জানান এটি একটি গুজব। বেশিরভাগ গারো আদিবাসী ও অন্যান্য আদিবাসীদের মতে পাহাড়ের সম্পদ চুরি করতে দুষ্কৃতিকারীরা ইচ্ছা করেই এমন গুজব ছড়াচ্ছে। এতে করে যাতে বন বা পাহাড় এলাকায় সাধারণ জনগণ প্রবেশ না করে আর ঐ সময়ে অবৈধ উপায়ে বনজ সম্পদ আহরণ করে পালিয়ে যাওয়া ফন্দি বলে সন্দেহ প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা।

 বড় গজনী ও ছোট গজনী এলাকার পাহাড়ী রাস্তা, ছবি: আ.বিমা টাইমস

সৃষ্ট এই আতংকের বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেছে এলাকার বনবিভাগ। তারাও কোন কোন মাধ্যমে বলেছেন, ‘বর্তমানে নতুন করে আবারও বনের পরিমাণ বৃদ্ধি হওয়ায় মেঘালয়ের এক প্রকার বাঘ হয়তো এখানে এসে আক্রমন চালাচ্ছে। তবে এই সংবাদের তেমন কোন আশানুরুপ উৎস পাওয়া যায়নি।’

উল্লেখ্য যে খুব অল্প কিছু মানুষ নিজের চোখে বাঘ দেখার কথা স্বীকার করলেও ঘটনার সত্যতা তেমন করে মিলেনি। তাছাড়া এলাকায় বর্তমানে গরু, ছাগল চুরি ও অন্যান্য বেআইনি কাজের দৌরাত্ব বেড়েছে যার কারণে বেশিরাভাগ আদিবাসীরা মনে করছেন এটি একটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত গুজব এবং এই খবরের কোন সত্যতা নেই।