ইউরোপে করোনা সংক্রামনে দ্বিতীয় অবস্থানে ফ্রান্স। বৃটেন রয়েছে প্রথম স্থানে।  এমতাবস্থায় ফ্রান্সের এখনই বৃটেনের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া উচিত বলে জানিয়েছেন ফরাসি মহামারি বিশেষজ্ঞ আরনদ ফোন্টানেত। তিনি ফরাসি সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছেন।  বিএফএম একটি টেলিভিশন চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় তিনি এ আহবান জানান। তিনি বলেন, বৃটেনে করনাভাইরাসের যে নতুন স্ট্রেইন ছড়িয়ে পড়েছে তা থেকে বাঁচতে এখনই এই পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন, ফ্রান্সের উচিত মার্চ মাসের পূর্বেই ১০ থেকে ১৫ মিলিয়ন নাগরিককে ভ্যাকসিন প্রদান করা। জুন মাস নাগাদ এই সংখ্যা অন্তত ৩০ মিলিয়ন হওয়া উচিত।

করোনাভাইরাসের মহামারিতে ইউরোপের ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম যুক্তরাজ্য। দেশটির ইংল্যান্ডের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন তথ্য হাজির করেছেন বিশ্লেষকেরা। তাঁরা জানিয়েছেন, সেখানকার প্রতি পাঁচজনে একজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম গর্ডিয়ান এই খবর প্রকাশ করেছে। খবরে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা নির্ধারণে নতুন একটি মডেল উপস্থাপন করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এই মডেল অনুসারে, মহামারি শুরুর পর ১ কোটি ২৪ লাখ মানুষ এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন। ইংল্যান্ডের কোনো কোনো এলাকায় এই সংক্রমণের হার অনেক বেশি। নতুন এই মডেল অনুসারে, কোথাও কোথাও দুজনে একজন আক্রান্ত হয়েছেন।

এদিকে পুরো বিশ্বের কভিড-১৯ দ্বিতীয় ঢেউ আর অতি সংক্রামক নতুন ধরনের (স্ট্রেইন) মধ্যে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে সাড়ে ১৯ লাখ মৃত্যু দেখল বিশ্ব। ওয়ার্ল্ডো মিটারের মঙ্গলবার সকালের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯ হাজার ২১২ মৃত্যুতে মোট মৃতের সংখ্যা প্রায় ১৯ লাখ ৫৩ হাজারে দাঁড়িয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমিত হয়েছে ৫ লাখ সাড়ে ৭৮ হাজারের মতো যা আগের দিনের চেয়ে কিছুটা কম। মোট সংক্রমণ দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ১৩ লাখ ১৬ হাজারের মতো।