নিজস্ব প্রতিনিধি, মধুপুর: মধুপুর পঁচিশ মাইলে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় জলছত্র কর্পোস খ্রীষ্টি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর উপর শ্লীলতাহানির চেষ্টার প্রতিবাদ ও গ্রেফতারকৃত বখাটে যুবক আব্দুর রউফের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ মানববন্ধন কর্মসূচীর আয়োজন করে কর্পোস খ্রীষ্টি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ এলাকার আদিবাসী ছাত্র সংগঠন বাগাছাস, জেএসএফ, গাসু, অনান্য সংগঠন এবং এলাকাবাসী।
মধুপুর জলছত্রে শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ ও মানববন্ধন কর্মসূচীতে শিক্ষার্থীরা
উক্ত মানববন্ধনে বক্তারা গ্রেফতারকৃত ঐ যুবকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ এলাকায় সকল শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিধানে প্রশাসনকে আরও তৎপর ও ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামের নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় আব্দুর রউফ (২৫) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে অরণখোলা ফাঁড়ির পুলিশ। গত মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর ২০২১) জনতার হাতে ধৃত হওয়ার পর সকালে ঐ যুবককে আদালতে সোর্পদ করা হয়। আব্দুর রউফ জামালপুর সদর উপজেলার সালাতপুর গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে।
এলাকাবাসীর সূত্র মতে, তিনি স্থানীয় বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীর বাড়ী উত্তর জাঙ্গালিয়া। পঁচিশমাইল ও জাঙ্গালিয়ার মধ্যবর্তী এলাকার জঙ্গল বেষ্টিত সড়কে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার সময় আব্দুর রউফ নামে এক বাঙালী যুবক তার পিছু নেয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছলে যুবকটি কিশোরীর পথরোধ করে অনৈতিক প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় যুবকটি তার মুখ চেপে ধরে জঙ্গলের ভেতরে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। এ সময় মেয়েটি চিৎকার করলে ভ্যান চালক সবুজ মিয়া এগিয়ে আসে। এ সময় যুবকটি দৌড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় এলাকাবাসী আশপাশের এলাকায় সন্ধান করে আব্দুর রউফকে আটক করে উত্তম মধ্যম দেয়। সংবাদ পেয়ে অরণখোলা ফাঁড়ির পুলিশ গিয়ে যুবকটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক মো. রেজাউল করিম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, রাতেই বিষয়টি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে তাকে টাঙ্গাইল জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এমন ঘটনার প্রায় দু’দিন পর প্রতিবাদ ও মানববন্ধন দেরীতে কেন হলো, এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক আ.বিমা টাইমস নিউজকে জানান, প্রতিবাদ ও মানববন্ধন আয়োজন, মিডিয়াতে ছবি, এবং সংবাদ প্রকাশ না করার জন্যে উচ্চ মহল থেকে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চাপ আসছিল বলে উল্লেখ করেন। এছাড়াও এ ব্যাপারে স্থানীয় কিছু নেতৃবৃন্দের সঙ্গে গোপনে আপোষের চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মানববন্ধনে আদিবাসী ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় ইউপি মেম্বার প্রবীর বর্মনসহ এলাকাবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।