নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ ১৫ জুন বুধবার টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ৩টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার ও মেম্বার পদে মোট ১৪জন আদিবাসী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে ৩টি ইউনিয়নের ভিন্ন ভিন্ন ওয়ার্ডে মেম্বার পদে ৬জন ও সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার পদে ২জন গারো প্রার্থী প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছে।

১১ নং শোলাকুড়ি ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে ফুটবল মার্কা নিয়ে ৬৯৫ ভোট নিয়ে তুহিন নকরেক নির্বাচিত। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ৪ বারের সাবেক মেম্বার রঞ্জিত নকরেক মোরগ মার্কা নিয়ে ৫৭০ ভোট পায়। উভয়ের গ্রামের বাড়ি জয়নাগাছায়। একই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে ফুটবল প্রতীক নিয়ে ৩৮৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয় আমরুশ সিমসাং। তার গ্রামের বাড়ি কাঁকড়াগুণি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইব্রিয় মানখিন মোরগ মার্কা নিয়ে ২৮৯ ভোট, তুষার নেকলা তালা প্রতীক নিয়ে ১৯১ ভোট পেয়েছে।

৪ নং কুড়াগাছা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে লেমন মাজি মোরগ মার্কা নিয়ে ৩৫১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফারুন নকরেক ফুটবল ২৫০, নূন দফো তালা প্রতীক নিয়ে ১৮০ ভোট পেয়েছে।

৩ নং বেরিবাইদ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে ফুটবল প্রতীক নিয়ে ৪৭১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে তুষার রেমা। তুষার রেমার বাড়ি জলছত্র গ্রামে। একই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে রুবেল রিছিল নির্বাচিত হয়েছে। তার বাড়ি মাগন্তীনগর গ্রামে।

ঐ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে লরেন্স নকরেক ফুটবল প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এই দুই জনের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা জানা যায়নি।

এছাড়াও ১১নং শোলাকুড়ি ইউনিয়নে ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার পদে নির্বাচিত হয়েছেন কনা নকরেক। তিনি হেলিকপ্টার প্রতীকে ২২৭৮ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তিরলা চিরান বই প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৮৮০ টি।

এরপর ৪নং কুড়াগাছা ইউনিয়নের ১,২,৩ নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার পদে নির্বাচিত হয়েছেন অর্চনা নকরেক। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা এখনো জানা যাইনি।

আজ বিকেল চারটায় ভোট গ্রহণ শেষে শুরু হয় ভোট গণনা। এরপর বেসরকারীভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য এবারের ইউপি নির্বাচনে ইভিএম ভোট পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। যার ফলে ভোটার এবং প্রার্থীদের মনে এ নতুন ইভিএম মেশিন পদ্ধতি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। আবার কেউ কেউ এ পদ্ধতিতে সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচন হয়েছে বলে দাবি করেন।