আ.বিমা টাইমস নিউজ ডেস্ক : টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর থানাস্থ এক বর্মন আদিবাসী কিশোরীর সন্ধ্যান ৬দিন পরও খোঁজ মেলে নি। পরিবার থেকে অভিযোগ উঠেছে এটি সুপরিকল্পিত অপরহণ। এ নিয়ে আদিবাসী কিশোরীর পরিবারসহ এলাকায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

বাংলাদেশ কোচ আদিবাসী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের তথ্য বিবরণে জানা যায়, টাঙ্গাইলের মধুপুরে আব্দুল মান্নান নামে মুসলিম যুবকের বিরুদ্ধে এক বর্মন আদিবাসী কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। কিশোরীটি ফুলবাগচালা ইউনিয়নের হাগুড়াকুড়ি গ্রামের কোচ-বর্মণ সম্প্রদায়ের এবং পীরগাছা সেন্ট পৌলস উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। ওই উপজেলার কিশোরীকে গত বুধবার (৩১শে মার্চ ২০২১) থেকে অদ্যাবধি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

কিশোরীর পিতা শ্রী রাম চন্দ্র বর্মণ (৫০) এর অভিযোগ, গত ৩১ মার্চে তার নিজ বাড়ির পাশ থেকে মেয়ে সৃষ্টি রানী বর্মন (১৫)কে অপহরণ করে নিয়ে যায় পাশের গ্রামের মো: হাতেম আলীর (৫৫) ছেলে মো: মান্নান আলী (২১) এবং তাদের দলবল। অপহরণকারীর বাড়ি ওই একই উপজেলায়, গ্রাম সবকছনা (পূর্ব পাড়া), মধুপুর, টাঙ্গাইল।

এ ব্যাপারে কিশোরীর পরিবার ১লা এপ্রিল বৃহস্পতিবার মধুপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ দাখিল করার পরও অদ্যাবধি কিশোরীকে উদ্ধার এবং অপরহণকারীকে গ্রেফতার করতে পারে নি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন।

পরিবার জানান, ওই কিশোরী স্থানীয় পীরগাছা সেন্ট পৌলস উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। স্কুলে যাওয়া-আসার পথে মান্নান তাকে প্রায়শই উত্যক্ত করতো; অপহরণের হুমকি দিতো। মেয়েটি ভয়ে দুই মাস আগে নিজেই মধুপুর থানায় জিডি করে। গত বুধবার রাতে মেয়েটি নিখোঁজ হওয়ার পর অনেক খোঁজ করেও না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা মান্নানের বাড়িতে গিয়ে সেখানে কাউকে পাওয়া যায় নি বলে জানায়।

এ বিষয়ে মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিক কামাল বলেন, পুলিশ অভিযুক্ত মান্নানকে গ্রেপ্তার ও অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছে।

এদিকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার এবং অপরহণকারী আসামীকে এখনো পর্যন্ত গ্রেফতার করতে না পারায় টেলিফোনে হতাশা ব্যক্ত করেন বাংলাদেশ কোচ আদিবাসী ইউনিয়নের সদস্য সচিব (কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি) বকুল চন্দ্র বর্মন। তিনি এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থাসহ কিশোরীকে উদ্ধার এবং অপরহণকারীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় বাংলাদেশ কোচ আদিবাসী ইউনিয়ন সহ স্থানীয় অন্যান্য আদিবাসী সংগঠন আগামীতে কঠোর কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে বলে আ.বিমা টাইমস নিউজকে জানান।