নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত মেঘালয়ে উদযাপিত হবে ‘মেগং ফেস্টিভ্যাল’। এই উৎসবের দ্বিতীয় দিন ২রা ডিসেম্বর গান গাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে বাংলাদেশের তরুণ গায়ক অন্তু রিছিলকে। এই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মেঘালয়ের গারোদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। অন্তু রিছিলের পক্ষে-বিপক্ষে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

মেগং ফেস্টিভ্যাল

কসি সংবাদের কমেন্ট ট্রেডে ইমন মারাক লিখেছেন, ‘ষ্টুপিড ফেস্টিভ্যাল। কী শেখার আছে এই অন্তু রিছিলের কাছ থেকে?’ দিনা সাংমা নামে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘মিউজিকের আগা-গোড়া না জানা মানুষেরা আমন্ত্রণ জানিয়েছে মনে হয়। শুধু বিটটুকু উপভোগ করা যায়।’

সেংনাক নামের একজন লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের আ.চিক হলে নিয়ে আসতে দেওয়াই উচিত। তারা অন্য দেশের হলে স্বজাতি হওয়ার কারণে তাদেরকে তুলে ধরা দরকার। পশ্চিমা ব্যান্ডগুলো না আনাই ভাল। অন্য জাতিকে এনে টাকা খরচ করার চেয়ে নিজ জাতিকে এনে যত্ন করা ভাল।’

স্টিভ জান্ধি মারাক নামে একজন লিখেছেন, ‘এইটা রেসিজম! এটাই গারোদের বাজে অভ্যাস। অমুকে আসামের, বাংলাদেশের, উইলিমনগরের, ত্রিপুরার গারো বলে বিদ্বেষ ছড়ায়। এই চর্চা ভাল না!’

এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংস্কৃতিমনা একজন আ.বিমা টাইমসকে জানান, সোশ্যাল মিডিয়াতে ট্রল করে ভিডিওতে প্রচুর ভিউসের অর্থ জনপ্রিয়তা বুঝায় না। গানে ‘সুর’ ‘প্রতিভা’ ‘সাধনা’ বলে কথা আছে। সুতরাং মিউজিকের তালে গায়কীপনা থাকলেই প্রকৃত গায়ক বলা যায় না। সে ট্যালেন্ট হতে পারে তবে ঈশ্বর প্রদত্ত, গলায় প্রাকৃতিক সুর থাকা প্রয়োজন। যারা সমালোচনা আলোচনা করছে তারও কিছু যৌক্তিক কারণ আছে বলে তিনি মনে করেন। তবে কি যৌক্তিক কারণ তিনি তা ব্যাখ্যা করেননি।

মেগং ফেস্টিভ্যাল এমন একটি উৎসব যা আচিক সংস্কৃতি, অনন্যতা এবং জীবনধারাকে তুলে ধরে, একই সাথে এটি মেঘালয়ের পর্যটনস্থলকেও তুলে ধরে। মেগং ফেস্টিভ্যালের এটি দ্বিতীয় আসর। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত তুরার জেঞ্জাল এয়ারপোর্টে উদযাপিত হবে।