জীবন ও জীবিকা নিয়ে আমাদের অনেকের মধ্যেই একটা ভ্রান্ত ধারণাবোধ কাজ করে। অথবা পড়াশুনা শেষ করেও শঙ্কা থেকে যায়। পড়াশুনা করলে, ভালো রেজাল্ট করলে তবেই চাকরী; অথবা না করতে পারলে চাকরী কপালে নেই। ঠিক এমন চুলচেড়া বিশ্লেষণ আমরা সবাই কমবেশি করি।
পড়াশোনা করেই জীবনের ধাপটা কাটিয়ে দিতে হবে তা কিন্ত নয়। শুধু লেখাপড়া নিয়ে ব্যতিব্যস্ত থাকলে জীবনটা নিতান্তই একঘেয়ে ও বৈচিত্র্যহীন মনে হয়। হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। নিজের ইচ্ছা ও যোগ্যতার সমন্বয় ঘটিয়ে চাইলেই ছাত্র জীবন থেকে বিভিন্ন ধরণের অভিজ্ঞতা অর্জনের পাশাপাশি স্বনির্ভর হওয়ার সুযোগ করে নেয়া যায়।
আমাদের মনে রাখতে হবে, শিক্ষা প্রক্রিয়ায় যেকোন ব্যক্তির অন্তর্নিহিত গুণাবলীর পূর্ণ বিকাশে উৎসাহ দেয়া হয়, যাতে একজন উৎপাদনশীল সদস্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ফলে সকলের দক্ষতার প্রয়োজন হয়, এবং শিক্ষার পাশাপাশি তা সমানভাবে অর্জন করতে হয়। সাধারণ অর্থে জ্ঞান বা দক্ষতা অর্জনই শিক্ষা। ব্যাপক অর্থে পদ্ধতিগতভাবে জ্ঞান লাভের প্রক্রিয়াকেই শিক্ষা বলে থাকি। তবে শিক্ষা হল সম্ভাবনার পরিপূর্ণ বিকাশ সাধনের অব্যাহত অনুশীলন। এরিস্টটল বলেন “সুস্থ দেহে সুস্থ মন তৈরি করাই হল শিক্ষা”। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায় “শিক্ষা হল তাই যা আমাদের কেবল তথ্য পরিবেশনই করে না বিশ্বসত্তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে আমাদের জীবনকে গড়ে তোলে।”
এই প্রবন্ধের সংক্ষিপ্ত বিষয়, যে ৫টি শিক্ষা ১০০% চাকরী পাওয়ার নিশ্চয়তা দেয়। আপনারা জানেন দিব্যি পড়শুনা শেষ করেও চাকরি পায়নি এমন মানুষের সংখ্যাও সমাজে অনেক আছে। আপনার চারপাশে অহরহ দেখতে পাওয়ায়। ভালো রেজাল্ট, ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠ চুকিয়েও চাকরী না পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় মানবেতর জীবন যাপন করছে তাও আপনার অজানা নয়। তাহলে এবার নিজেকে বুকে হাত দিয়ে একবার নিচের এই প্রশ্নগুলো করেই দেখুন ! আপনি আপনার প্রশ্নের উত্তরটা পেয়ে যাবেন ঠিক এইভাবে-
১। প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা
২। কারিগরী শিক্ষা (ইলেট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল এবং কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রোগ্রামিং)
৩। ফ্রিল্যান্সিং (গ্রাফিক্স ডিজাইন, লেখালেখি, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ফটোগ্রাফি, অডিও ভিডিও ইডিটিং…..)
৪। ইংরেজী দক্ষতা
৫। অতীত এবং সমসাময়িক বিষয় জ্ঞান
ছাত্রজীবন মানুষের জীবনের সবচেয়ে বেশি বৈচিত্র্যপূর্ণ অধ্যায়। এই সময়কালে অধ্যয়নের পাশাপাশি নানাবিধ অর্থ উপার্জনের পথ খুঁজে নিয়ে স্বনির্ভর হতে পারার মাঝে অন্য ধরণের এক মানসিক প্রশান্তি কাজ করে। এছাড়াও নিজের এবং নানাবিধ সমাজ ও সমাজের মানুষের জন্য কল্যাণকর কাজ করা যায়। অতএব জীবনের হরেক রকম পেশাদার স্বাদ পেতে আজই নেমে পড়ুন কাজে এবং ধীরে ধীরে নিজেই আত্মনির্ভশীল হয়ে উঠুন।
লুই সাংমা, ফ্রান্স
ওয়েভ ডেভেলপার, ব্লগার, ফ্রিল্যান্সার এবং সাংস্কৃতিক কর্মী।