বাপন নেংমিঞ্জা, শেরপুর: গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টিপাত বেড়েছে শেরপুর জেলার ভারত সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে। পাহাড়ী ঢলে এলাকার উল্লেখযোগ্য নদীগুলোতে পানি প্রবাহের পরিমাণ যেমন বেড়েছে তেমনি নদীনালা খালবিলগুলো পানিতে থৈ থৈ করছে। শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী থানাধীন উল্লেখযোগ্য বড় নদীগুলো হল ভোগাই, মহারশি ও চেলাখালি। এই কয়েকটি নদী প্রায় বিপদসীমার কাছাকাছিতে প্রবাহিত হওয়ায় জনমনে দেখা দিয়েছে বন্যার আশঙ্কা।

শেরপুর বন্যা পিক২

গত তিনদিনে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত হওয়ায় ঝিনাইগাতি থানার মহারশি নদীর পানি ঢুকে পরেছে ঝিনাইগাতির সদর উপজেলায়। উপজেলার রাস্তাঘাটে হাটু পরিমাণ পানি ভোগান্তি দিচ্ছে থানাবাসীদের। তাছাড়া গারো অধ্যুষিত উইনিয়ন ধানশাইল এলাকার বেশ কিছু গ্রামে এর মধ্যেই মানুষের উঠানে ও আশেপাশের খালবিলে পানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে আংশিক বন্যার আকার ধারণ করেছে।

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী, শ্রীবর্দী থানাগুলিতে গারো, কোচ, বানাই হাজংসহ বেশ কিছু আদিবাসী জনগোষ্ঠীদের বসবাস । এই মুহুর্তে বৃষ্টিপাত চলতে থাকায় এলাকার নিম্নাঞ্চলে বসবাসরত আদিবাসীরা বন্যার আশঙ্কায় দিন পার করছেন। অন্যদিকে ধানশাইল ইউনিয়নের আরেকটি শাখা নদী সোমেশ্বরি নদীর পানি ইতিমধ্যেই বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাকাকুরা, ধানশাইল, গ্রামে বসবাসরত গারো আদিবাসীরা এই নদীর কারণে সৃষ্ট বন্যায় প্রতিবছর ক্ষতিগ্রস্ত হন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।