প্রতিবাদ লেখা শুরুর আগে আপনাদের কিঞ্চিৎ অবগত করতে চাই বুদ্ধিজীবীর নামে বুদ্ধিবেশ্যায়, প্রতারণায় নেমেছি আমরা গারোরাও এর একটি দুর্দান্ত প্রমাণ দিয়ে। এমন মুখোশধারী ব্যক্তিরা কতটা নীচে নামতে পারে, ব্যক্তি স্বার্থে কতবার রুপ বদলাতে পারে ইত্যাদি বিষয়। সাপ বিষধর হলেও বছরে একবার মাত্র খোলস বদলায়; কিন্ত তথাকথিত বুদ্ধিজীবী লেবাসের আড়ালে নিজের আসল রুপ কত সহস্রবার বদলাতে পারে সেটা খুব কম মানুষ বুঝতে পারে। সাধারণ মানুষগুলো না বুঝার সমস্যাটা ওখানেই; কারণ মিথ্যোচারী আসল রুপ বুঝতে দেয় না কখোনা সাধারণ মানুষদের। ওসব মূখোশধারীর কথা এবং তার নিজের ভেতর বিবেকের সংযোগ ঘটায় না। ফলে আপনি তার মুখের কথায় মুগ্ধ থাকবেন, কিছু না পেয়ে, পেটে চরম দারিদ্রের ক্ষুধা নিয়েও আত্মতৃপ্তির ঢেকুর তুলবেন এটাই স্বাভাবিক। এভাবেই তারা ব্যক্তি, জাতি এবং রাষ্ট্রের সঙ্গে গোচরে-আগোচরে প্রতারণা করে দিনের পর দিন এবং আমৃত্যু। মুখোশের আড়ালে সে ব্যক্তি একই আপরাধ করতে করতে এমন জায়গায় পৌঁছে, মাঝ পথে বা শেষ কেউ সে ব্যক্তির সম্পর্কে সত্য বাক্য উচ্চারণ এবং চাক্ষুষ প্রমাণ দিলেও বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। বরং সে ব্যক্তি সম্পর্কে উল্টো ভুল বুঝবেন, নয় কি! কিন্ত যারা বুঝে তারা ঠিক বুঝে। আজকে আমার দ্বিতীয়বার প্রতিবাদের বিষয়টিও আসলে তাই। জাতি হিসেবে ওদের কাছে আমরা গারোরাও কত হতভাগা !
‘ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থে গারো সংগঠন আজিয়ার ইতিহাস পাল্টানো নস্যি ব্যাপার’ শিরোনামে প্রথম প্রতিবাদ পত্রিকায় প্রকাশের পর সেই গভীর রাতেই ফেবুতে বাবুল ডি.নকরেক কি ধরণের বাতচিৎ হয়েছিলো লুই সাংমার সঙ্গে? সে সত্য চিত্র আপনাদের তুলে ধরছি; বুঝে নেয়ার দায়িত্ব আপনাদের সবার ওপর। বোধ করি আপনাদের কাছে এই একটি মাত্র উদারহণ যথেষ্ট হবে (সংযুক্ত স্ত্রীন শটটি দেখুন) ব্যক্তি সম্পর্কে এবং আজিয়া সংগঠন দুরবস্থার জন্য কে দায়ী? কে বা কারা ওঠে পরে লেগেছে সত্যকে আড়াল করতে, কিইবা তাদের স্বার্থ! বুঝনে ওয়ালাদের গাদা গাদা উদাহরণ নিষ্প্রভ। প্রয়োজন হলে আরও উদাহরণ দেয়া যেতে পারে, এবং এ আমি/আমরা তার কাছে প্রতারণার জলন্ত স্বাক্ষী, ভিক্টিম। যা হোক এহেন কোট আনকোট করে কিছু অংশ দেয়া গেল, যা আপনা বুঝতে সহায়ক হবে নিজের মুখে নিজের ভুল অবলীলায় স্বীকার করেও আবার কেমন স্বজ্ঞানে পুনরায় ভুল করেন; নাকি সেখানে তার ব্যক্তি স্বার্থ এবং জিঘাংসা জড়িয়ে আছে।
আজকের দ্বিতীয় প্রতিবাদটি আরও পরিস্কার হবে বাবুল ডি. নকরেক সম্পর্কে এটি তার ইচ্ছেকৃত ভুল, নাকি আসলে তিনি স্বজ্ঞানে, ব্যক্তি স্বার্থে খেয়াল খুঁশি মতো কাজ করেন! এবং এসব মানুষ ব্যক্তিস্বার্থের জন্য কত নীচে নামতেও দ্বিধা করেন না, একটি অসত্য বিষয়কে সত্য বলে চালিয়ে যেতে পারে দ্বিধাহীন। আজকে থকবিরিম নিউজে প্রকাশিত তার দ্বিতীয় প্রবন্ধের লেখাগুলো শিরোনাম এমন- ‘আবিমা গারো ইয়ুথ এসোসিয়েশন (আজিয়া)’র আহ্বায়ক কমিটি গঠন’- ‘সংগ্রামী সহযোদ্ধাগণ, সবাইকে আজিয়ার সংগ্রামী শুভেচ্ছা। আজ থেকে ২৪ বছর আগে ১৯৯৬ সালে মধুপুর আবিমার দুঃসময়ে আজিয়ার জন্ম হয়েছিল। শিক্ষা, সংস্কৃতি ও প্রগতি এই ৩ টি মূল বিষয়কে সামনে রেখে আমি, আমার বন্ধু প্রশান্ত চিরান, জর্জ নকরেক, প্রশান্ত রুগা, রেখা নকরেক, রজতি চিরানকে সাথে নিয়ে আজিয়া প্রতিষ্ঠা করি। আমরা বিশ্বাস করি, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও প্রগতিই পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রে সর্বোপরি বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারে। “WE NEED CHANGE” ছিল আমাদের…………….।’ ফেবুর চ্যাট ম্যাসেজে বাবুল ডি. নকরেক স্পষ্ট লিখেছেন লুই সাংমাকে ‘Apnar nam ta ichchha koira baad dey nai, vulkrome baad porse, Thik korte bolsigo, monokosto niyen na’ যদি তাই হয়, তার লিখিত দ্বিতীয় প্রবন্ধে পুনরায় যে ভুলটি করলেন, বা নাম বাদ পড়া তা আসলে ভুল নয়- বলতে হবে বুদ্ধিবেশ্যায় তিনি প্রবল তার একটি জলজ্যান্ত নমুনা, এবং সবার সঙ্গে দিনদুপুরে স্থুল চালাকি।
এ প্রসঙ্গে বাংলা প্রবাদ মনে পড়ে গেল, ‘রতনে রতন চিনে, শুকর চিনে কচু-গেছু’ বাবুল ডি. নকরেক সত্যকে যদি জীবনে ধারণ করেন, তাহলে দিনের আলোর মতোন সত্য বিষয়কে কেন মিথ্যে ইতিহাস গড়ার অপ্রয়াস চালাচ্ছেন? উনার যদি ব্যক্তি স্বার্থ, বুদ্ধিবেশ্যা যদি না থাকতো আ.বিমার ব্যক্তি উদ্যোগে গড়া নিউজ পোর্টাল আ.বিমা টাইমসে আজিয়ার প্রবন্ধ প্রকাশ না করে কেন অন্য পোর্টালের প্রকাশ করেন? আসলে মূল নাটকের গোমড় ওখানে। কারণ থকবিরিম নিজেও সমালোচনার উর্ধ্বে নয়; সেও এখনো দাগি আসামী। আপরাধে ঢেরায় বসে দেদারসে আপরাধ, অনৈতিক, জগতের সকল অযাচিত কাজ করা সম্ভব।
শেষাংশে বলবো, বুদ্ধিবেশ্যার মানুষ পৃথিবীতে সংখ্যায় কম। কিন্ত এদের কুপ্রভাব, তাদের প্রতি অন্ধবিশ্বাস, আবেগী অনুসারীদের অভাব নেই। বাবুল ডি. নকরেক কে ধন্যবাদ দেই তার নিজের সম্পর্কে স্বাক্ষ্য প্রমাণসহ জাতির সঙ্গে প্রতারণা আরেকটি প্রতিবাদ করার সুযোগটি আমাকে করে দেবার জন্য।
এছাড়াও সবিনয়ে বলতে চাই- ব্যক্তি হিসেবে আমাকে অনুসরণ করার প্রয়োজন নেই। আজিয়া মহৎ উদ্দেশ্যে জন্ম হয়েছিলো, বরং সেই মূলধারাকে আপনারা অনুসরণ করুন। আজিয়ার সঠিক ইতিহাস জানার চেষ্টা করুন। তাই আজিয়ার সকল সহযোদ্ধা এবং নতুনদের বিনীতভাবে বলতে চাই, সত্যকে ধারণ করুন; মিথ্যাকে নয়। তেমনি আপনারা অসৎ ব্যক্তিকে নয়; সত্য, মহৎ মানুষের জীবনাদর্শকে ধারণ করুন। যা দেশ ও দশের কল্যাণে, সামাজিক উন্নয়নের কাজে আসবে। আমাদের সকলের মনে রাখতে হবে, মুখোশধারী বিদ্যান হলেও জাতির উন্নয়নে আসবে না বরং তারা জাতির ক্ষতি করবে আজ অথবা কাল। আজকে আমার ক্ষতি করবে, করেছে; কাল হয়তো আপনারই পালা….।