নিউজ ডেস্ক: সোমেশ্বরী নদীর ভাঙ্গনে পাড়ের মানুষের কান্না যেন থামছে-ই না। ভাঙ্গনের নীলা খেলায় নদীর দু’ধারে বহু কালের গোছানো বসতবাড়ী, ফসলের মাঠ, পুকুর, পুরোনো গাছ গাছালী, উপাসনালয়, শিক্ষাকেন্দ্র, বাজার নদী গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে। ফলে নদী পাড়ের মানুষের দু’চোখে বাপদাদার ভিটেবাড়ী হারানোর দীর্ঘশ্বাস বেড়েই চলেছে। ভাঙ্গনে নদী পাড়ের মানুষের হাজার বছরের স্মৃতি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে চোখের সামনে। আর আগামীর স্বপ্নগুলো যেন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। দখলদারের মতোন নদী পাড়ের মানুষের মুখের টুটি চেপে ধরে নদী বলছে ‘জমির ভাত নয়, বেটা তোর মাটি দে’ এমন এক পৈশাচিক অবস্থা অনুভব করছে এলাকাবাসী।

সোমেশ্বরী নদীর তীব্র ভাঙন ঠেকাতে এবং সেখানে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবিতে কামারখালী গ্রামে প্রায় পাঁচশত অধিক; যেমন বিজয়পুর, কমলাবারি, রানীখং, বহেড়াতলী, মাধপপুর, বেনাকান্দা, বিরিশিরিসহ অন্তত ১০টি গ্রামের সাধারণ জনগণের উপস্থিতিতে “দাবি একটাই স্থায়ী বাঁধ চাই ” এই স্লোগানকে সামনে রেখে মানববন্ধন করে এলাকাবাসী।  মানববন্ধনে মাননীয় জেলা প্রশাসক জনাব কাজি মোঃ আবদুর রহমান মহোদয় নিজে সরেজমিন এলাকাটি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে গ্রামবাসীকে ২৫ লক্ষ টাকা দিয়ে দ্রুত প্রাথমিক ব্যবস্থা নেওয়াসহ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ৭০০ কোটি টাকা বাজেট পেশ করা হবে বলে  মানবন্ধনে এ কথা জানান।

মানব বন্ধন কর্মসূচীতে কামারখালী এলাকার কামারখালী যুব শক্তির প্রতিনিধি, বিভিন্ন এলাকাবাসী এবং বাগাছাস সংগঠন (দূর্গাপুর উপজেলা শাখা) সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। মানব বন্ধন কর্মসূচী সম্পর্কে আ.বিমা টাইমসকে যুব প্রতিনিধিরা বলেন, এবার আমরা এলাকায় মানবন্ধন কর্মসূচী পালন করেছি, নদীর ভাঙ্গন রোধে অতিসত্তর ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে এর চেয়েও কঠোর কর্মসূচী নেত্রকোনা জেলা সদরে আমরণ অনশন কর্মসূচী করা হবে বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানান।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সহায়তায় প্রকল্পটি পাশ হলে এলাকাবাসীর ধারণা প্রকল্পটি নদীর জিরো পয়েন্ট থেকে  দু’ধারে প্রায় ১৫ কিলোমিটার নদীতে বাঁধ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানা যায়। বাঁধের ফলে এলাকার শত শত বসতবাড়িসহ ফলসী জমি নদী গর্ভে বিলীন থেকে রক্ষা পাবে।

এছাড়াও উক্ত স্থান পরিদর্শনকালে সফর সঙ্গী হিসেবে ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা খানম এবং নেত্রকোনা জেলার এসিল্যান্ড জনাব রুয়েল চিসিম।