ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট থানাধীন গোবরাকুড়া গ্রামের সোহাগ দাজেল (২৯) দুটো কিডনি বিকল অবস্থায় ছটফট করছেন হাসপাতালের বিছানায়। এ বছর ফেব্রুয়ারী মাসে তার এই সমস্যা ধরা পরে বলে জানান সোহাগ দাজেলের স্ত্রী মৌটুসী মানখিন। সোহাদ দাজেল গোবড়াকুড়া গ্রামের সিল্ভানুষ ঘাগ্রা ও লেনিতা দাজেলের সবার বড় সন্তান। তারা দুই ভাই ও এক বোন। তার বোন নিশি দাজেল ঢাকায় অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সাইন্স নিয়ে পড়াশোনা করছেন এবং ছোট ভাই শশী ঢাকায় একটি কোম্পানীতে ট্যাকনিক্যাল লাইনে কাজ করছেন।
সোহাগ দাজেলের কিডনি সমস্যা হওয়ার পর থেকে এই পর্যন্ত তাকে ২২ – ২৩ বার ডায়ালোসিস করাতে হয়েছে। তার পরিবারের সাথে কথা বলে জানা গেছে ঢাকায় প্রতিবার ডায়ালোসিস করাতে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হতো। এখনো ডায়ালোসিস প্রক্রিয়াটি চলমান রয়েছে। এমতাবস্থায় পারিবারিক আর্থিক সামর্থ্য আর নেই বলে জানান সোহাগ দাজেলের পরিবার। আর তাছাড়াও তার বড় ধরণের চিকিৎসা করাতে মোটা অঙ্কের টাকার দরকার; কিন্তু সেই পরিমাণ অর্থ যোগান দিতে অক্ষম বিধায় ভেঙে পরেছেন গোটা পরিবার।
চিকিৎসাধীন অবস্থায়, ছবি: সোহাগ দাজেল
আ.বিমা টাইমস টুয়েন্টি ফোরের সাথে ফোন আলাপে সোহাগ দাজেলের বাবা সিল্ভানুস ঘাগ্রা জানান, বারডেম হসপিটালে কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য মোট অর্থ চেয়েছেন ১০ লক্ষ টাকার অধিক। উল্লেখ্য যে এক্ষেত্রে কিডনি ডোনার ফেমিলিকেই বহন করতে হবে। রোগীর স্ত্রী মৌটুসী মানখিন ফোনালাপে আ.বিমা টাইমসকে জানান, তার স্বামীর সাথে তার নিজের রক্তের গ্রুপ মিল আছে এবং তিনি একটি কিডনি প্রদান করার জন্য রাজি আছেন। কিন্তু কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য যে পরিমাণ অর্থ লাগছে তা তার এবং তার স্বামীর পরিবারের পক্ষ থেকে বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। পরিবারের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয় তারা এই পর্যন্ত ডায়ালোসিস থেকে শুরু করে রোগীর অন্যান্য যাবতীয় খরচ বহন করছেন বিভিন্ন জায়গা থেকে ধার দেনা করে। কিন্তু ১০ লক্ষ টাকা দেওয়ার মতোন তাদের সাধ্য না থাকায় আজ সোহাগ দাজেল এর জীবন প্রায় সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে।
পিতা সিলভানুস ঘাগ্রার সাথেও রক্তের মিল থাকায় পিতা নিজেও একটি কিডনি দিতে চাচ্ছেন নিজের পুত্র সোহাগ দাজেলকে বাঁচাতে। কিন্তু তার হার্টের সমস্যা থাকায় হসপিটালের কর্তৃপক্ষ রাজি হয় নি তার কিডনি নিতে। এ ক্ষেত্রে রোগীর স্ত্রী তার স্বামীর অনিচ্ছাতেই তার শারীরিক পরীক্ষা করিয়েছেন যাতে তিনি তার স্বামীর এই ক্রান্তি কালে তার একটি কিডনি দিয়ে তাকে নতুন জীবন দিতে পারেন। পরিবারের এই অসীম ইচ্ছা ও সোহাগ দাজেলের নতুন জীবন দানের ক্ষেত্রে একান্ত প্রচেষ্টা থাকলেও তা পিছিয়ে পরছে শুধু মাত্র অর্থের অভাবে। এমতাবস্থায় সবার কাছ থেকে আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন রোগীর পিতা-মাতা ও রোগীর স্ত্রী মৌটুসী মানখিন।
সোহাগ দাজেলের একজন ফুটফুটে পুত্র সন্তান রয়েছে। নাম আয়ান সাংমা। যার বয়স মাত্র ২ বছর । শিশু এবং শিশুর পিতার অনিশ্চিত ভবিষ্যতের আশঙ্কায় এই মুহুর্তে মানসিকভাবে ভেঙে পরেছেন সোহাগ দাজেলের স্ত্রী মৌটুসী মানখিন।
‘মানুষ মানুষের জন্য’ কথাটি যেমন সত্য তেমনি আমরা কি পারি না এই পরিবারকে আমাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে? আপনার সামান্য আর্থিক সহযোগীতা ফিরিয়ে দিতে পারে সোহাগ দাজেলের নতুন জীবন। আমরা কি পারি না নিষ্পাপ শিশু আয়ান সাংমার বাবাকে নতুন জীবন দিতে? আয়ান সাংমার বাবাকে বাঁচাতে আর্থিক সাহায্য করতে পারেন নিচের দেওয়া বিকাশ নাম্বারে।
আসুন আমরা মানবতার হাত বাড়িয়ে দেই। বাঁচিয়ে দেই সোহাগ দাজেলকে। আপনার সাহায্য পাঠাতে পারেন নিম্নের বিকাশ এবং নগদ নম্বরে-
বিকাশ নম্বরঃ ০১৯১৪১৩৮২৭৩ (সোহাগ দাজেলের পিতার মোবাইল)
অথবা
অল গারোস ফ্যামিলি (এজিএফ)
প্রদীপ ম্রং কোষাধ্যক্ষ, বিকাশ নম্বর ০১৮২১৬৭৪০০৬ , নগদ ০১৮২১৬৭৪০০৬
Our Bangladesh Garo social welfare Association ( BGSWA) organisation internally collecting some money for Shuhag Dajel. After collecting complete then we will handover to All Garo’s Family groups. Thank you.
Great! Please go ahead and advance thanks