আ.বিমা টাইমস নিউজ ডেস্ক: সারা বিশ্বে করোনা প্রকোপ থাকলেও আজ খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ বড়দিন (ক্রিসমাস)’ পালিত হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। তেমনি খ্রীষ্ট ধর্মের অনুসারীরা করোনা মহামারী উপেক্ষা করে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রবাসী বাংলাদেশী খ্র্রীষ্টান কমিউনিটি প্যারিস ফ্রান্স সংগঠনের উদ্যোগে বাংলাদেশী খ্রীষ্ট ভক্তদের উদ্দেশ্যে বাংলা খ্রীষ্টযাগের আয়োজন করেন। বিশেষ প্রার্থনা ও খ্রীষ্টযাগ দেশটির স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় সেন্ট ইভস চার্চ ল্যাকুরনবে অনুষ্ঠিত হয়। খ্রীষ্টযাগ অর্পন করেন রেভা. ফা. যোসেফ গোনছালভেজ সি.এস.সি। ফ্রান্সে খ্রীষ্টান প্রবা
আয়োজন প্রসঙ্গে আ.বিমা টাইমসকে সংগঠনের সভাপতি মি. দীপক গোমেজ ও মি. শঙ্কর ডি. ক্রোজ দু :খ প্রকাশ করেন জানান, প্রতি বছর বড়দিন উৎসবটি অনাড়ম্বরে এবং প্যারিসের সকল খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের নিয়ে দিনব্যাপি নানা কর্মসূচীর মাধ্যমে পালিত হলেও এবার করোনা প্রকোপের ফলে তা পরিপূর্ণভাবে আয়োজন করা সম্ভবপর হয় নি।
বড়দিন হলো খ্রীষ্টমন্ডলীর প্রধান ধর্মীয় উৎসব। দিনটি খ্রীষ্ট ধর্মাবলম্বীদের জন্য সবচেয়ে আনন্দের এবং গৌরবের দিন। খ্রীষ্ট ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, মানবজাতিকে সত্য, সুন্দর ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করার জন্য ফ্রান্সে খ্রীষ্টান প্রবা যীশুখ্রীষ্টের জন্ম হয়। তাঁর জন্মদিনটিকে খ্রীষ্ট ধর্মাবলম্বীরা তাই ধর্মীয় নানা আচার ও উৎসবের মধ্য দিয়ে উদযাপন করে থাকেন।
কিন্ত এবার দেশটিতে করোনা পরিস্থিতি এবং স্বাস্থ্যবিধি বিবেচনা করে এ বছরই আহার ও অন্যান্য কর্মসূহী ব্যতিত ব্যতিক্রম আয়োজন বলে জানান আয়োজক কমিটি। এছাড়াও করোনা প্রসঙ্গে সংগঠনের সভাপতি মি. দীপক গোমেজ নোহার মহা প্রলয়ের কথা সরণ করিরে দিয়ে বলেন, ‘করোনা শুধু মহামারী নয়, এটা মানুষের পাপাচার সংশোধনে ঈশ্বরের প্রেরিত উসিলা মাত্র। তাই এই করোনা মহামারীর রোগ মুক্তি কামনা করি এবং বিশ্বে আবার শান্তি বিরাজ করুক ‘
খ্রীষ্টযাগে করোনা মুক্তির বিশেষ প্রার্থনাসহ বিশ্বের সকল মানুষের সুখ শান্তি কামনা করে প্রার্থনা করেন। গীর্জা শেষে দূরত্ব বজায় রেখে বড়দিনের প্রতীকী কীর্তন, পারস্পরিক শুভেচ্ছা বিনিময় এবং পরে খ্রীষ্ট ভক্তদের মাঝে ঐতিহ্যবাহী চকলেট বিতরণ করা হয়।
খ্রীষ্টযাগে করোনা মুক্তির বিশেষ প্রার্থনাসহ বিশ্বের সকল মানুষের সুখ শান্তি কামনা করে প্রার্থনা করেন। গীর্জা শেষে দূরত্ব বজায় রেখে বড়দিনের প্রতীকী কীর্তন, পারস্পরিক শুভেচ্ছা বিনিময় এবং পরে খ্রীষ্ট ভক্তদের মাঝে ঐতিহ্যবাহী চকলেট বিতরণ করা হয়।