আ.বিমা টাইমস, নেত্রকোনা: নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দায় এক গারো নারীকে (২৭) ধর্ষণ করে তারই স্বজাতি গারো পুরুষ। ওই ঘটনার মামলার পর আসামীকে গ্রেপ্তারের অভিযান চলছিল। ঘটনার ৬ দিন পর সোহাগ নংমিন (৩২) নামে ওই গারো যুবক নেত্রকোনা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
গতকাল বুধবার দুপুরে নিজের আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন ওই যুবক। তিনি আত্মসমর্পণের পর আদালতের কাছে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে নেত্রকোনা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলমাকান্দা থানার এসআই মো. সুলতান আহম্মেদ আত্মসমর্পণের পর কারাগারে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নে একটি পতিত ভিটায় ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে সোহাগ নংমিন। পরে গত বৃহস্পতিবার ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ বাদী হয়ে কলমাকান্দা থানায় সোহাগ নংমিনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলার ছয় দিন পর সোহাগ নংমিন নিজের আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
ওই ঘটনার বিবরণে জানা যায়, বান্ধবীর নিমন্ত্রণে পার্শ্ববর্তী কান্দাপাড়া গ্রামে গিয়েছিলেন তাঁর আরেক বান্ধবী। ওই দাওয়াত খেতে গিয়ে গত ১লা মার্চ সন্ধ্যা আনুমানিক ৭.৪৫ টায় মামাতো ভাই সোহাগ নংমিনের কাছে ধর্ষণের শিকার হন তিনি। সন্ধ্যায় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নে একটি পতিত ভিটায় ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে সোহাগ নংমিন। পরে গত বৃহস্পতিবার ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ বাদী হয়ে কলমাকান্দা থানায় সোহাগ নংমিনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন গত বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ)। গারো ধর্ষক সোহাগ নংমিনের (৩২) বাড়ি একই উপজেলার বড় মনগড়া গ্রামে। সে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালায়।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলমাকান্দা থানার এসআই মো. সুলতান আহম্মেদ বলেন, মামলা দায়েরের পর আমরা ওই গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে বলেন তিনি। বুধবার দুপুরে সোহাগ নংমিন নিজের আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত সোহাগকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।