আ.বিমা টাইমস নিউজ ডেস্ক: আফ্রিকার দেশ কঙ্গোর গোমা শহরের পার্শ্ববর্তী এলাকার সুপ্ত আগ্নেয়গিরি নাইরাগঙ্গো আকস্মিকভাবে সক্রিয় হয়ে উঠার পর গতকাল শনিবার থেকে পর্বতের জ্বালামুখ থেকে ছিটকে বেরিয়ে আসছে লাভা। সে অঞ্চল লাভার তীব্রতায় লাল হয়ে উঠেছে। অগ্নুৎপাতের ফলে উপদ্রুত অঞ্চল ও সংলগ্ন এলাকাগুলোর বাসিন্দারা জীবন বাঁচাতে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন।

কঙ্গোর গোমা শহরের পার্শ্ববর্তী এলাকার ভোক্তভোগী এলাকাবাসীর একাংশ

এরই মধ্যে দেশটির সরকার দুর্যোগ মোকাবেলায় গোমা শহর খালি করার নিদের্শ দিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের সরকারিভাবেও তাদের অপেক্ষাকৃত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। নাইরাগঙ্গো পর্বতে আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরণের পর স্থানীয় সময় রোববার এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

কঙ্গোতে আগ্নেয়গিরি3

উপদ্রুত এলাকার বাসিন্দারা বাতাসে সালফারের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। অল্প দূরেই পাহাড় থেকে আসা আগুনের শিখা দেখা যাচ্ছে বলে জানান। আকস্মিক অগ্নুৎপাতের ফলে সবাই আতঙ্কগ্রস্ত। প্রত্যেকেই নিরাপদে স্থানের খোঁজে ছুটছে।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালে সর্বশেষ এই পর্বতটিতে অগ্নুৎপাত হয়েছিল। তখন অগ্নুৎপাতে প্রায় আড়াইশ মানুষের মৃত্যু হয়। বাস্তুচ্যুত হয় আরও লক্ষাধিক মানুষ। ১৯৭৭ সালেও সেখানে অগ্নুৎপাতে ছয় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। নাইরাগঙ্গোকে দুনিয়ার অন্যতম সুপ্ত ও ভয়ঙ্কর আগ্নেয়গিরি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

বিস্ফোরিত আগ্নেয়গিরিটি গোমা শহর থেকে মাত্র ছয় মাইল দূরে। শহরটিতে প্রায় ২০ লাখ মানুষ বসবাস করে বলে জানিয়েছে বিবিসি। সূত্র/ টিএফআই