(লুই সাংমা’র ডায়েরী থেকে নেয়া কবিতা)
০১.
সেংথিম্মা (আবেং)
হাও’আ হাওদা বিলনি চনবাতগিপা হিজল পাং
সাকসান নিচাকাসুঙা স্কু দি’চায়, নিগুদ্দুয়ে
মিক্কা ওয়াচাক্কে, হা’আরান সালদিঙা চাকচিক্কে, কামচাক্কে
স্রংস্রঙ হা’দকো চাদেংআরিহা সেংথিম্মা।
সালনি আন্থামমিদ্দিংঅনি সিল্গা রিং’রাং
নিথুবিয়া রিম্মিতগিপা মি’চিকনি মিক্কাং
নিয়ে দঙো জাজাফিল্লা, আইয়াও চানচিমান্না
সানাবা সেংসোঙাহাকনবা, আংনামা!
আং’গিসিকনি দগাচল্লো সাবা নেংথাকে
সালগিম্মিক জাকসি দকথ্যাকথ্যাকে
স্রি-স্রা আগিলসাকনি সুক সেংসোয়াগিতা
হাজাল বিলসি খিংখিং আংনাবা সেংসোখান,
আংনি গিসিকো দংনা নাঙা, নাংনি মিকখাং।
১৫ আগস্ট ২০১২ খ্রী:
প্যারিস।
অপেক্ষা (বাংলা অনুবাদ)
হাওদা বিলের ঐ ছোট্ট হিজল গাছটা
সেই হিজল গাছটা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে এখনো,
ঠিকঠাক ওখানটায় , খড়া বৃষ্টিতে ভিজে একা ;
মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে লাজুক মাটির বুক চিড়ে।
সন্ধ্যে হলে মনে হয় সূর্য ডুবার লাল টিপ পরে
যেন কোন সুন্দরী যুবতী; অথবা
গোধূলি বেলার লাল হলুদ শাড়ী পরে
যেন কোন যৌবনা রমণী।
অপলক মুগ্ধ চোখে সহসায় ভাবি,
কারোর অপেক্ষায় হয় তো!
ঠিক এমনটিই আমার ভিতর দরজায়
কেউ দিনভর কড়া নাড়ে,
কিছু বিক্ষিপ্ত অপেক্ষার পরশা সাজিয়ে,
আকাশ ছেঁচা আবেগের ভাজে ভাজে;
এমন অপেক্ষা আমার জন্য কেউ করুক
প্রতিদিন কিংবা লক্ষকোটি বছর৷
০২.
নিকগিজাখো’ওন নামনিকা (আবেং)
স্মিলাগ্রি, রিম্মিত্তাগ্রি, অইখরগ্রি হঙোবা
আন্দালগ্রিপগ্রিপ নিকগিজাখো’ওন নামনিকা।
ওয়াল-জাবুচ্ছিমো সাং’এতরাংনি চিংছেত্তারাং
আস্কিরাংনি খি’আরাংবা বালওয়ানি ফুং’আনা
সিলগাওন গিম্মাআওবা, নিকগিজাখো’ওন নামনিকা।
বালওয়ানি খা’সিনাও সালদুরিনি রিম্মিত্তারাং
আংনি গিসিকখো, চানচিয়াখোবা রিম্মিতেত্তেঙা
উনদাক্কে রিম্মিত-নিথুজাওবা, না’আ বাজুগ্রি হঙোদে
আগিলসাক হাওয়াংখো; নিকগিজাখো’ওন নামনিকা।
দঙা-নিক্কারাং, সিম্মিলা নিথুয়ারাং গিম্মারিওদে
গিম্মা’ই দঙে না’বা মিকখাঙো সকবাআরিওদে,
স্মিলাগ্রি, রিম্মিত্তাগ্রি, আন্দাল জ্রিপজ্রাং হঙোবা
রিপ্পেং নাংখো-নিকগিজাখো’ওন নামনিকা।
৩০ জানুয়ারী ২০১১ খ্রী:
প্যারিস।
ভালোবাসি অদৃশ্য তোমাকেও (বাংলা অনুবাদ)
বর্ণহীন, গন্ধহীন, রঙ-ছন্দহীন ঘোর তমসা-
খুব ভালোবাসি; যেমন তুমি অদৃশ্যকেও।
ঘুটঘুটে অন্ধকারে জোনাক আলো ঝিমুলেও,
দুর আকাশে ধূমকেতুর আলোক হারালেও
ভালবাসি; এবং দৃষ্টির অন্তরালের তোমাকেও।
হিমেল আকাশে রংধনুর তার রক্তিম আভা
ছড়ানো আত্মায়, শিরায় শিরায়; সংগোপনে।
মহাবিশ্ব জুড়ে তুমি নিঃসঙ্গ বলে রূপহীন;
তাই ভালবাসি ঠিকানাহীন এ পৃথিবীকেও৷
দৃশ্যমান সব যদি চোখের পলকে হারায়,
অদৃশ্য তুমিও হঠাৎ দৃশ্যমান হও সম্মুখে-
স্বমহিমায়; বর্ণ-গন্ধহীন, রঙ-ছন্দহীন হলেও
ভালবাসি ঘোর তমসা; অদৃশ্য তোমাকেও।
০৩.
পইদ’পানি নকদাং (আবেং)
বন’আ জিম্মাং’আনি ইয়া নকদাঙো কা’সানিরাং বাং’ওবা
জাংগিনি কা’সারা বিবালকো রনগ্রিকনা রামাবিদিং চাঙোবা,
পইদপানি নকদাঙো æকা’সারা রিপেং” আগানানি অংজা
ইয়াহা নাঙামুং, ইন্দাকেহা দাকনামুং চানচিনাবা স্রংজা।
কাদঙানি বিচুও; জাংগিনি আরারা লেক্কাও চক্কাঙোদে নাম্মামুং
নাংনি আখিং দাকবেয়ালকো, হারাতাও গিসিক রা’এ দংনামুং।
‘কা’সারা রিপেং’ আগাননাবা দংজানে, পইদপানি নকদাঙো
রামা রি’না, আ’চিক মালনা বাজুগ্রি; মিকগিতালো, জুমাঙো।
০৯ মার্চ, ২০১৩ খ্রী:
প্যারিস।
কবি সংসার (বাংলা অনুবাদ)
ক্ষনিক জগৎ সংসারে মোহ অনেক কিছুই
কবি সংসারে ’তুমি, প্রিয়’’ বলতে কেউ নেই
চুলোহীন; দু’চারটা সখের ঘটিবাটিও নেই,
হৃদ কমলের রেওয়াজ রোজ হয় না তেমন;
হয় না তেমন কিছুই আর।
জীর্ণ ক’টি পাতায়; জীবনের শূন্য খাতায়
শুধু রেখে যাও অজস্র স্মৃতি তুমি।
কবি সংসারে ’তুমি, প্রিয়’ বলতে কেউ নেই;
অতঃপর নেই তাঁর আপন, পর।
০৪.
মিক্রন মিকজ্রিমা (আবেং)
পান্থে গিচ্ছাকমিত্তিঙো
দো’খা মিক্রনগিত্তা নাংখো’ন নিকমানচেঙা
নাংখো’ন নামনিকবাত্তা, আরো খাদঙনি আসেল।
দাওবা আংনি চশমানি লেন্সখো আঙা থারিফিল্লা
স্কাংগিত্তা দো’খারাংনি মিক্রনগিত্তা নিকমাননা।
স্কু মিকমাকাগিত্তা গিসিকবা, মিক্রনবা
নাংনা সেঙে দংখুয়েঙা সাকগ্নিনা চন্না নক-বিথিপে কা’না।
১ আগস্ট, ২০১৩ খ্রী:
প্যারিস।
নেশাখোর চোখ (বাংলা অনুবাদ)
সেই কাঁচা যৌবনে
কাক চোখে যাকে ভালোবেসেছি
সেই ছিল ভালোবাসা
সেই ছিল স্বপ্নভরা আশা।
অনেকদিন পর পুরনো চশমার লেন্স পাল্টিয়েছি
সেই কাক দৃষ্টিতে আবার দেখবো বলে
নেশাখোর চোখে কাটেনি ঘোর নেশা
এখনো অপেক্ষোয় বাঁধবো
দু’জনে ছোট্ট একটি বাসা।