নিউজ ডেস্ক: আজকাল ছোট পর্দার বিনোদন মানেই যেন ইউটিউব। জনপ্রিয়তার দিক থেকে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকেও ছাড়িয়ে গেছে অনলাইন ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব। নির্দ্বিধায় বলা যায় ইউটিউব বর্তমান সময়ে অর্থ উপার্জনেরও একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে আপনি যেমন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন, তেমনই আয় করতে পারেন; যা অনেকে এখনো জানে না।
তেমনি একজন এ প্রজন্মের এবং গারো সম্প্রদায়ের ইউটিউবার নীল নন্দিতা রিছিল। ইউটিউবের মাধ্যমে একটি উপার্জনের উৎস খুঁজে পেয়েছেন। চ্যানেলের অগ্রগতি দেখে সহজেই অনুমেয় তার চ্যানেলের প্রতি মানুষের ভালবাসার পাশাপাশি আয়ের ফলে তাকেও অনুপ্রাণিত করেছে। তার ভাষ্য মতে, ঢাকায় আসার পর ইন্টারনেটের সঙ্গে ধীরে ধীরে পরিচিত হয়ে উঠে, এবং ২০১৮ এর শুরুতে তিনি ইউটিউব সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে উঠেন। নন্দিতা রিছিল লক্ষ্য করেছিল যে ভারতে গারো সম্প্রদায়ের কয়েকটি ইউটিউব চ্যানেল থাকলেও বাংলাদেশের সংস্কৃতি উপস্থাপনের জন্য তেমন কোন চ্যানেল নেই। এছাড়াও দেশে জাতিগত সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠির মানুষ হিসেবে তাকে ইউটিউবে চ্যানেলটি খুলতে উদ্বুদ্ধ করেছিল।
নীল নন্দিতা রিছিলি এর জন্ম এবং বেড়ে ওঠা নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার প্রত্যন্ত বিরিশিরি দক্ষিণ ভবানীপুর গ্রামে। এবং বর্তমানে ঢাকায় বসবাস করেন।
চ্যানেলের নথিনুযায়ী ২০ জুলাই ২০১৭ সালে অর্থাৎ তিনি দুই বছর আগে ইউটিউবার হিসাবে নথিভূক্ত হন। ইউটিউব চ্যানেলটির নাম ‘বিডি গারো প্রোডাকশন’ এবং বর্তমান গ্রাহক সংখ্যা ৫২,০০০ ছাড়িয়েছে। মোট চ্যানেল ভিউস দাঁড়িয়েছে ৪,৪৫৯,৩২৯ জন।
ইউটিউব মনিটাইজেশানের মাধ্যমে নন্দিতা রিছিল অর্থ উপার্জনের উৎস যেমন খুঁজে পেয়েছে; তেমনি নিজের আয়ের পাশাপাশি চ্যানেলের প্রতি মানুষের ভালবাসা আরও তাকে অনুপ্রাণিত করে এবং অন্যকেও উৎসাহিত করবে বৈকি! শুধু তাই নয়, বাংলাদেশে প্রথম গারো মহিলা ইউটিউবার হিসেবেও প্রতীকি হয়ে উঠতে পারেন নীল নন্দিতা রিছিল।