নিজস্ব প্রতিবেদক:  টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার দোখলা আমতলী বাইদে বনবিভাগ কর্তৃক প্রস্তাবিত কৃত্রিম লেক খনন প্রকল্পের প্রতিবাদে উপজেলার পঁচিশমাইল বাজার থেকে একটি মশাল মিছিল বের করে ‘সম্মিলিত আদিবাসী ছাত্র-জনতা’। ১৯ জুন রবিবার সন্ধ্যা ৭.৩০টায় মশাল মিছিলটি উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সহ-সভাপতি অজয় এ মৃ। মিছিলটি পঁচিশমাইল বাজার থেকে শুরু হয়ে জলছত্র পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ঘুরে পুনরায় পঁচিশমাইলে এসে শেষ হয়।

আবাদি জমিতে লেক খনন প্রকল্পে বনরক্ষী বাহিনী কর্তৃক লাগানো সাইনবোর্ড

অজয় এ মৃ তার বক্তব্যে বলেন, “১৯৬২ সালে ন্যাশনাল পার্ক ঘোষণার পর থেকে সরকার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রকল্পের নামে আদিবাসীদের উচ্ছেদের পায়তারা করছে। ১৯৮৪ সালের ১৯ জুলাই রিজার্ভ ফরেস্ট ঘোষণা করে যে নোটিশ জারি করা হয় আদিবাসীরা সেই নোটিশের বিপক্ষে আবেদন করে আসছে। কিন্তু সরকার থেকে কোনো সাড়া মেলেনি।” তিনি আরো বলেন, ” ২০১০ সালে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন করা হয়। সেই রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে মাননীয় হাইকোর্ট একটি নির্দেশনা দেয়। সেই নির্দেশনা অনুসারে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করে আদিবাসীদের জমি চিহ্নিতকরণসহ রিজার্ভ ফরেস্টের জমি চিহ্নিত করে আদিবাসীদের ভূমির অধিকার প্রতিষ্ঠা করার কথা ছিল। কিন্তু তা না করে বনবিভাগ ইদানিং লেক খনন প্রকল্পের নামে আদিবাসীদের ভূমি দখলের পায়তারা করছে।”

উল্লেখ্য টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার দোখলা আমতলী বাইদে আদিবাসীদের কৃষি জমিতে বনবিভাগ কর্তৃক লেক প্রকল্প ঘোষণা করার পর থেকে আদিবাসী – বনবিভাগ পরস্পর সাংঘর্ষিক অবস্থানে রয়েছে। লেক প্রকল্পের মধ্যে ১৩ টি আদিবাসীর জমি রয়েছে। শুরু থেকেই জমির মালিকসহ আদিবাসীরা এই কৃত্রিম লেক খনন প্রকল্পের বিরোধীতা করে আসছেন। তাদের দাবী ওই জমিতে লেক খন করা হলে আদিবাসীদের একমাত্র আবাদী জমি হারাবে। এছাড়াও লেকের চারপাশে অবস্থিত আদিবাসীদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যহত হবে। সামাজিক, সাংস্কৃতিক পরিবেশ বিপর্যস্ত হবে।