আ.বিমা টাইমস নিউজ ডেস্ক: নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলায় স্কুল ছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে এক বখাটে। নিহত শিক্ষার্থী মুক্তি রানী বর্মন (১৫) উপজেলার বাউসী ইউনিয়ন এর প্রেমনগর ছালিপুরা গ্রামের নিখিল চন্দ্র বর্মনের মেয়ে এবং প্রেমনগর ছালিপুরা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। আর বখাটে মোঃ কাওছার মিয়া(১৮) একই গ্রামের শামছু মিয়ার ছোট ছেলে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অভিযুক্ত কাউছার মিয়াকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ মর্গে মুক্তি রানির মৃতদেহ, ছবি: সংগৃহীত
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার পথে মুক্তি রানীকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করছিলেন কাওছার। ২ মে মঙ্গলবার দুপুর পৌনে তিনটায় প্রেমনগর ছালিপুরা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বাড়িতে যাওয়ার সময় একই গ্রামের শামছু মিয়ার ছোট ছেলে, মোঃ কাউচার মিয়া (১৮) রাস্তায় দা দিয়ে মাথায় কুপিয়ে মুক্তি রানী বর্মনকে গুরুতর আহত করে। আত্মীয় স্বজন ও এলাকাবাসী দ্রুত মেয়েটিকে বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর বিকাল ৫ ঘটিকায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
অভিযুক্ত তরুণকে গ্রেপ্তারে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খোকন কুমার সাহা। নিহত মুক্তি বর্মণের লাশ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।