(বিশ্বের সকল নারীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধায়)
হে নারী তুমি মন-বাগের শ্রেষ্ঠ গোলাপ কিংবা সুগন্ধি রজনীগন্ধা
যে ফুলের রূপে-রসে-গন্ধে মোহিত কর, নিমিষেই
বিলিয়ে দাও অকাতরে নিজেকে উপভোগ্য; শ্রেষ্ঠ নির্যাসে,
বিনিময়ে পাও নি কিছুই, তবুও নেই কোন অভিযোগ ৷
নারী, মনের মাধুরীতে মালী সাজিয়ে নেয় যেভাবে খুশি,
অঙ্গ বিলাসী আয়নার সামনে মানিয়ে নেয়া অপরূপে
রাঙিয়ে দাও মালিকে, ভরিয়ে দাও মোহময় আবেশ
ছড়িয়ে দাও অজস্র সুখের মহিমা, আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ৷
নারী, তুমি এক অদম্য রাত জাগা সুরশ্রী বিহঙ্গ
ভোর-আঁধার বিদীর্ণ করে গেয়ে যাও সুরের গান
যে গানে ঝিমিয়ে পড়ে প্রেমলোভী অট্টালিকার হাওয়া
আর জেগে ওঠে মৃত মানুষের সারা অঙ্গ ৷
নারী, তুমি কখনোবা তীব্র কামনার ধনাঢ্যের নাইট কুইন
ক্ষণিকের রানী সেজে সিংহাসনে, রাজ্যের শাসক তুমি
তোমার লুকায়িত ধন, সমস্ত সুখ তবু শোষকরা নেয় কেড়ে,
বিনিময়ে তুমি পাওনি কিছুই, পারো নি ধরে রাখতে বিন্দু সুখ
রসালো লেবুখানা ক’ফোটা রসের আশায় খামছে, নিংড়ে
রস-সুধা আস্বাদনে, শেষ বিন্দুটাও রাখে নি কেউ।
নারী, কখনো কখনো তুমি অবহেলিত পথের নিঃসঙ্গ পথিক
ঠাঁইহীণ সুশীল সমাজ, পারোনি সুখীর খাতায় নাম লিখাতে ৷
হে নারী, তোমার জীবনের সাধ বলতে কিছু নেই বুঝি !
তুমি কি চাওনা হাত বাড়িয়ে উন্মুক্ত আকাশ ছুঁয়ে দেখতে,
নির্মল হাওয়ার গন্ধ মেখে সমাজে উঁচু শীরে দাঁড়াতে,
কেনইবা মূল্যহীন; নিজেকে উজাড় করে দাও নিমেষে।
কবেইবা সু-বোধ উদয় হবে মেকি ভঙ্গুর সমাজে
কবেইবা হবে তুমি সমাজের উত্তম মহিয়ষী নারী ৷৷
কাব্যগ্রন্থ : শুধু মুগ্ধতার জন্য ২০১৩